সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৩-০২ ১৮:৫৭:০৩
সিলেট :: ২০১৪ সাল থেকে নেই সাধারণ সভা। নেই হিসেব-নিকাষ। শেয়ার হোল্ডাররা পাওনা আদায়ের চেষ্টা করলে তাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমানে সিলেটের পুলিশ সুপারের নাম বিক্রি করে সেন্ডমার্ক এগ্রো ফার্ম লিমিটেড কোম্পানি দখলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইয়াসমিন আক্তার।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে কোম্পানীর চেয়ারম্যান সুনীল নাথ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জৈন্তাপুরের সেন্ডমার্ক এগ্রো ফার্ম কোম্পানী গঠন করি। ২০১০ সালে আইসিবি ইইএফ সংক্রান্ত কৃষি বিষয়ক মঞ্জুরি বোর্ড শর্তসাপেক্ষে কোম্পানীকে সমমূলধন সহায়তায় এক কোটি আট লাখ তিন হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। মৎস্য চাষ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি বিশ লাখ সাতচল্লিশ হাজার টাকা। বরাদ্দকৃত টাকায় প্রয়োজনীয় জমি ক্রয় অসম্ভব, এমন চিন্তায় আকমল কবিরী ও নিজাম উদ্দিন কোম্পানী থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেন। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে সুনীল নাথ ও পরিচালক হিসেবে বিবেকানান্দ নাথ অন্তুর্ভুক্ত হন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুছ ছাত্তার কোম্পানীর নিজস্ব একুইটির ৫১ ভাগ দেখাতে প্রতারণার আশ্রয় নেন। তারা বায়নাকৃত ও আমার পিতার ১২ একর ভূমি ৮০ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে একটি চুক্তিনামা তৈরি করেন। ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি এসব ভূমি কোম্পানীর নামে নামজারী সাপেক্ষে এ্যকুইটি ৫১ ভাগ নিশ্চিত দেখিয়ে ইইএফ ফান্ডের ১ম কিস্তির ৩২ লাখ টাকা ছাড় করান। ২০১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ১ম কিস্তির ৩২ লাখ টাকার ব্যাখ্যা আইসিবিকে দেখানো সম্ভব হলেও দ্বিতীয় কিস্তির ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ের ব্যাখ্যা সম্ভভ হয়নি। শেয়ার হোল্ডারদের টাকা পরিশোধ হলেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের শেয়ারের বিপরীতে কোনো টাকা পরিশোধ হয়নি। তাছাড়া ইয়াসমিন আক্তার হালিমা আক্তারের শেয়ার কিনতে ১৭ লাখ টাকার দুটি চেক দিয়েছিলেন যা রিটার্ন আসে। হালিমা ২০১৩ সালে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এদিকে ২০১৪ সালে ইয়াসমিনের স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকালের করলে তিনি নানা অনিয়ম শুরু করেন। ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ করি। এ ব্যাপারে একাধিক সালিশে শেয়ার হোল্ডারদের ন্যায্য পাওয়ান প্রদানের অনুরোধ জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি। ৫ বছরের জন্য তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হলেও ১১ বছর ধরে পদটি আঁকড়ে রেখেছেন ইয়াসমিন। বর্তমানে তিনি সিলেটের পুলিশ সুপারকে ভাই বলে প্রচার চালিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন। তার সাজানো মামলায় আমরা ৯৪ দিন জেল খেটেছি। বর্তমানে তিনি সপরিবারে কোম্পানীর প্রকল্প এলাকায় বাস করছেন, যা মেমোরেন্ডামের পরিপন্থী। তাছাড়া কোম্পানীর ৩ একর ৬৯ শতক ভূমি বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন। তিনি এককভাবে পুরো কোম্পানী দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইয়াসমিন কোম্পানীর হিসাব, বার্ষিক এজিএম, অডিট, রিটার্ন দাখিল এমনকি আইসিবির ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধেও কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
এ পরিস্থিতিতে শেয়ার হোল্ডাররা ন্যায্য পাওনা ও কোম্পানী টিকিয়ে রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সুনীল নাথের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোম্পানীর পরিচালক বিবেকানন্দ নাথ।
উপস্থিত ছিলেন আরেক শেয়ার হোল্ডার রানা নাথ।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/প্রেবি/এসডি-১৫