Sylhet View 24 PRINT

রাসপুতিনের মৃত্যু রহস্য

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-১১ ০১:২২:৩১

ইতিহাসের রহস্যময় পুরুষ রাসপুতিন। একইসঙ্গে তিনি ইতিহাসের খলনায়ক হিসেবেও পরিচিত। কথিত আছে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন বলেই সবাই মনে করে। অনেকে দাবি করেন ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতাও নাকি ছিল এই রহস্য পুরুষের। রাশিয়ার ভবিষ্যৎও দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। যা ছিল তার মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত।

তাকে কোনো আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়নি কখনো তবুও তার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে বড় রহস্য।তৎকালীন রাশিয়ার জারের স্ত্রীকে নানা কুমন্ত্রণা দিতেন রাসপুতিন। উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন পদ্ধতি, অতিরিক্ত মাত্রায় এলকোহল সেবন, নারীদের প্রতি অশালীন আচরণ প্রভৃতি কারণে রাশপুতিনের প্রচুর শত্রু তৈরি হয়।

পরবর্তীতে তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন শত্রুরা। তাকে খুন করার উদ্দেশে সাতজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে এমন পরিমাণে বিষ খাইয়ে রাশপুতিনকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তিনি বেঁচে যান। ১৯১৬ সালে রাশিয়ার প্রভাবশালী সন্ন্যাসী রাসপুতিনকে বরফের নিচে পানিতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাসপুতিনের দেহ নদীতে জমাট বরফ কেটে গর্ত করে তার মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তার শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। এমনকি অস্ত্রোপচার করে তাকে পুরুষত্বহীনও করা হয়েছিল। আসলে বহু নারীতে আসক্ত রাসপুতিনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল তার খুনিরা। তা ছাড়া তার মাথায়, ফুসফুস ও কলিজাতে উপর্যুপরি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন পদ্ধতি, অতিরিক্ত মাত্রায় এলকোহল সেবন, নারীদের প্রতি আসক্তি প্রভৃতি নানা কারণে রাসপুতিনের প্রতি ক্ষোভ জন্মেছিল অনেকের মনে। যার ফলেই এক করুণ মৃত্যু ঘটে এই সন্ন্যাস পুরুষ রাসপুতিনের।

প্রতিশোধ নিতেই রাসপুতিনকে ১৯১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর সেন্ট পিটার্সবার্গে তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে প্রথমে রাসপুতিনকে সায়ানাইড মিশ্রিত মদ আর কেক খাওয়ানো হয়, কিন্তু রাসপুতিন মারা যায়নি। এরপর ফেলিক্স রাসপুতিনের বুকে গুলি করেন। এরপরও রাসপুতিন মারা যাননি। এমনকি রাসপুতিন এরপরও পালিয়ে যেতে উদ্ধুত হলে আরও দুবার গুলি করে রাসপুতিনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু তখনো রাসপুতিন মারা যায়নি। আহত রাসপুতিনের ওপর নানাবিধ অত্যাচার করা হয়। পরে বরফ ঢাকা নেভা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। যার কিছুদিন পর তার লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু তার মৃত্যু কিন্তু বিষক্রিয়ায় ঘটেনি। কারণ নিজের দেহকে সব প্রকার বিষক্রিয়ার প্রভাবমুক্ত করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন রাসপুতিন। প্রতিদিন নির্দিষ্টমাত্রার বিষ নিজের দেহে প্রবেশ করাতেন তিনি। এতে তার দেহে বিষের এন্টিবডি তৈরি হয়েছিল। তার মৃত্যু হয়েছিল বরফ শীতল নদীর পানির কারণে। তীব্র শীতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি।

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.