আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আজমিরীগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-০৮ ১০:৪৮:৪৯

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: আজ ৮ ডিসেম্বর; আজমিরীগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্ত হয়েছিল ভাটি বাংলার রাজধানী খ্যাত হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা। মুক্তিযুদ্ধের বিরত্বগাঁথা দিনগুলোর মধ্যে একটি দিন হল আজমিরীগঞ্জ মুক্ত দিবস।

১৯৭১ সালের এদিন পূর্বাকাশে সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মেঘনা রিভার ফোর্সের কোম্পানী কমান্ডার, ১১নং সেক্টরের ট্রেনিং ইনচার্জ ফজলুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭ ঘন্টা সম্মুখযুদ্ধ শেষে পাকসেনা, রাজাকার, আলবদরদের হটিয়ে মুক্ত করেন আজমিরীগঞ্জ উপজেলা। যুদ্ধের পর আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদরে পাক সেনা, পুলিশ, আলবদর-রাজাকারদের বিতারিত করে বীর যোদ্ধাদের মুহর্মুহ গুলি ও জয় বাংলা শ্লোগানের মাধ্যমে বীরদর্পে এগিয়ে আসে কয়েক হাজার মুক্তিকামী জনতা।

ফুলের মালা গলায় দিয়ে বরণ করে যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. ফজলুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। এসময় আজরিমীগঞ্জ থানার প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐতিহাসিক গরুরহাট ময়দান ও থানা কম্পাউডে উত্তোলন করা হয় কাঙ্খিত সেই বাংলাদেশের লাল সবুজের রক্তিম পতাকা।

এসময় এফ আর চৌধুরীর সহযোদ্ধা অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন- তৈয়বুর রহমান খান বাচ্চু, বৃটিশ সেনাবাহিনী সদস্য নুর ইসলাম মুন্সি, নেত্রকোণার সারফান আলী, আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, আক্কাছ মিয়া, মর্তুজ আলী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, সালাহউদ্দিন মিয়া, সিরাজ মিয়া প্রমুখ।

পরে হাজারো জনতার আনন্দে উদ্দেলিত ভালবাসায় শিক্ত হয়ে কমান্ডার মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী আবেগ জড়িত কন্ঠে স্বাধীনতা পাওয়া এবং চাওয়ার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। শুধু আজমিরীগঞ্জ থানাই নয় ফজলুর রহমান চৌধুরীর কমান্ডে বলিষ্ট নেতৃত্বে পাকহানাদার আলবদর রাজাকারদের হটিয়ে হবিগঞ্জ জেলার পাশ্ববর্তী ইটনা, অষ্টগ্রাম, নেত্রকোণা জেলার তৎকালিন কমলাকান্দা থানা সম্মুখ সমরে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে মুক্ত করেন এবং শত সহস্র রাজাকার, আলবদর, পাকসেনা, পুলিশ মিলিডিয়া আত্মসমর্পন করে ও নিহত হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৮ ডিসেম্বর ২০১৮/কেএস/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন