Sylhet View 24 PRINT

নবীগঞ্জে বন্যায় কুশিয়ারা ডাইকে ভাঙ্গন, উপজেলায় আতংক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৪ ২০:৫০:১১

এস এম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি  :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কুশিয়ারা ডাইকে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

রবিবার (১৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ডাইকের জামারগাও রাধাপুর জামে মসজিদের কাছে ভেঙ্গে ডাইক ভেঙ্গে যায়। ফলে নবীগঞ্জ উপজেলার ৫০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে এবং তিনটি হাওরের কয়েক হাজার একর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

ডাইক ভাঙ্গনের ফলে হবিগঞ্জের তিনটি উপজেলা নবীগঞ্জ, বাহুবল, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জের ভাটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। রাতের মধ্যে কয়েক হাজার বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনেরর পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বন্যার পানি বৃদ্ধি থাকায় এ বাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ।

বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার অবনতি হয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। এখনো কোন সরকারী কোন ত্রান এলাকায় পৌছেনি। পানিবন্দি মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া ইনাতগঞ্জ ও দীঘলবাক বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাইমারি স্কুলে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে পানি প্রবেশ করেছে এবং ওই এলাকার পাঁচটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। বর্তমানে নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা, বিজনা ও বরাক নদীর পানি  বিপদসীমার ৫২  সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৌহিদ বিন হাসান তার কার্যালয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কন্টোলরুম খুলেছেন। তিনি বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্বক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পানির প্রবল স্রোত থাকায় বাঁধ মেরামত করা যাচ্ছে না।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৪জুলাই) বিকাল সাড়ে  ৪টায় নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার বিকাল ৪টা থেকে কুশিয়ারা ডাইকে মেরামতের কাজ পুনরায় শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ।

দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ এওলা বলেন, আমরা সারারাত পাহারা দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রক্ষার চেষ্টায় থাকলেও বিকালে হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়ে প্রায় ১০০ হাত জায়গা নিয়ে ভেঙ্গে যায়।  রাতের মধ্যে ভাঙ্গন বিশাল আকার ধারন করবে। আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।

আউশকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুন জানান, কুশিয়ারা ডাইক ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তার ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। জোয়াল ভাঙ্গা হাওর, বেলী বিলের হাওরে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। রাএখনো সরকারি কোন ত্রাণসামগ্রী তার এলাকায় পৌছেনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ জুলাই ২০১৯/আহা/পিডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.