সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৫ ২১:৪১:১৩
এস এম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: সময় যত যাচ্ছে কুশিয়ারা নদীর হবিগঞ্জ অংশ ততোই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এ নিয়ে নদীতীরের বাসিন্দাদের আতঙ্কের শেষ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আর মাত্র এক ফুট পানি বৃদ্ধি পেলেই ডুবে যাবে কুশিয়ারার দুই কুল। এতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বিভিন্ন ধরণের ফসলি জমির।
পানি উন্নয়ন বোর্ড স‚ত্রে জানা যায়, কুশিয়ারার নদীর পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি তিন ঘন্টায় ১ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে কুশিয়ারার পানি। ইতোমধ্যে কুশিয়ারা পাড়ের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় সেখানের বাসিন্দাদের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আর এক ফুট পানি বৃদ্ধি পেলে নদীর দুই কুল ডুবে যাবে। এতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেবে নদী পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বিভিন্ন ধরণের ফসলি জমির। গৃহহীন হয়ে পড়বেন কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে, কুশিয়ারা নদীর বাঁধের নিচুঁ অংশগুলোতে বালুর বস্তা ফেলে উচুঁ করার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বিভিন্ন দ‚র্বল ও ঝুঁকিপ‚র্ণ বাঁধেও ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও গ্রামবাসী দিনরাত পরিশ্রম করে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান। তিনি জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বন্যার্তদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে সরকারি ত্রাণ মজুদ রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা ছাড়াও একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার (১৪ জুলাই) কুশিয়ারা নদীর জামারগাঁও রাধাপুর ‘কুশিয়ারা ডাইক’ অংশে ভেঙে অন্তত ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমির।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ জুলাই ২০১৯/আহা/পিডি