Sylhet View 24 PRINT

হবিগঞ্জে কোরবানির পশু নিয়ে ত্রিমুখী শঙ্কায় খামারিরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১১ ২০:০১:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ :: প্রতিটি ঈদকে ঘিরেই চাঙ্গা হয়ে উঠে ব্যবসা-বাণিজ্য। বিশেষ করে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদে সব চেয়ে বেশি জমজমাট হয়ে উঠে গরুর বাজার।

এই ঈদকে সামনে রেখে সারা বছর গরু মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন খামারিরা। এ বছরও হবিগঞ্জের খামারিরা গরু মোটা তাজাকরণে শ্রম দিয়েছেন সারা বছর। ফলও পেয়েছেন ভালো। কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে ত্রিমূখি শঙ্কা ঘিরে ধরেছে তাদের।

বৈষিক মহামারি করোনায় বাজার বসবে কি-না? বাজার বসলেও করোনার ক্রান্তিকালে সঠিক দাম পাওয়া যাবে কি-না? আর প্রতি বছরের মতো এ বছরও গলার কাটা হয়ে দাঁড়াবে কি ভারতীয় গরু? মনের মধ্যে এমন তিন প্রশ্নে দিশেহারা খামারিরা। সেই সাথে গরুর হাটে করোনা সংক্রামণের ভয়ও কাজ করছে তাদের মনে। তবে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বলছে পশুর হাট বসানো নিয়ে সর্বাত্ত¡ক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার খামারে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য লালন পালন করা হচ্ছে। সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে হাওরের ও পাহারের সবুজ ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে এসব গরু-ছাগলদের। যে কারণে ক্রেতাদের কাছে দেশীয় এসব গরুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এ বছর জেলায় ৩৫ হাজার গরু, ১৯৬টি মহিষ, ৭ হাজার ছাগল ও ৩ হাজার ৭৬৬টি ভেড়া কোরবানীর পশু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এরও চেয়ে বেশি পশু বাজারে উঠবে বলে আশা করছেন তারা।

খামার মালিক তাজুল ইসলাম জানান, ‘সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে কোন প্রকার মেডিসিন ছাড়া তার খামারে প্রায় ৫০টি পশু লালন পালন করছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভাল দামের আশায় রয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, করোনার কারণে এবারের ঈদে কোরবানির পশু বিক্রি কমে যেতে পারে। কারণ অনেকেই কর্মহীন হয়ে দিন যাপন করছেন।

খামারী কাজল মিয়া বলেন, ‘করোনার কারণে বাজার বসা নিয়েতো দুশ্চিন্তা আছেই। এর মধ্যে প্রতি বছর ভারতীয় গরু এসে আমাদের লোকসানের মূখে পেলে দেয়। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব স্বাস্থ্য বিধি মেনে যেন গরুর হাট বসানোর ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ভারতীয় গরুর যেন না আসে সেদিকে লক্ষ রাখা হয়।’

খামারি আলমগীর হোসেন তালুকদার বলেন, ‘প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ বছর গরুরগুলো স্বাস্থ্য ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় আছি। একদিকে গরুর বাজার বসবে কি-না, আবার বসলেও দাম কেমন হবে? অন্যদিকে ভারতীয় গরু প্রতি বছরই আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। এসব সমস্যার কারণে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসক নিয়াজ আহমেদ খান চৌধুরী বলেন, ‘গরু মোটাতাজা করতে খামারীদের সার্বক্ষণিক সেবা দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে প্রতিটি কোরবানির হাটে গরুর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম থাকবে।’

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস জানান, গরুর হাট বসা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তকে শীঘ্রই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে। করোনার কথা মাথায় রেখে এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই হাটগুলো বসানো হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও এবারের ঈদে ভারতীয় কোন পশু আসবে না।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ জুলাই ২০২০/কেএস/এসডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.