সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-১৯ ০২:৩১:১৩
এ.জে লাভলু, বড়লেখা:: রাতের
আঁধারে একটি দোকানের তালা ভেঙে একটি কম্পিউটার, পাঁচটি মুঠোফোন ও নগদ
কিছু টাকা নিয়ে গিয়েছিল চোরেরা। দোকান চুরির ঘটনায় দোকান মালিক দারস্থ হন
পুলিশের। দোকান মালিকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই চোরদের গ্রেফতারে নামে
পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে এক চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর একে
একে আরও চার চোর ধরা পড়ে পুলিশের জালে। তাদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা
হয়েছে কম্পিউটার ও পাঁচটি মুঠোফোন।
মৌলভীবাজারের
বড়লেখায় দোকানের তালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে যাওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন
উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত পাঁচ চোরকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে
পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা
হলেন-উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে
হালিমুর রশীদ হালিম (২০), বড়লেখা সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রামের শফিক
উদ্দিনের ছেলে জহির আহমদ (২১), একই এলাকার আব্দুল খালিকের ছেলে সুজন আহমদ
(২২), জফরপুর গ্রামের মৃত মনির আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০) ও
নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামের মৃত মখদ্দছ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম
(২২)।
পুলিশ ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত
রাতে বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের মার্কেটের
ব্যবসায়ী আশীষ চন্দ্র নাথের অন্নপূর্ণা এন্ড আঁখি ফটোস্ট্যাট ও
কম্পিউটারের দোকানে চোর হানা দেয়। চোরেরা দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশে
করে একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও
ক্যাশবক্স ভেঙে নগদ ৪ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে যায়। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর
মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয়রা দোকান মালিক আশীষ চন্দ্র নাথকে জানান তার দোকানের
শার্টার খোলা। পরে তিনি দোকানে এসে দেখেন তার দোকানের তালা ভাঙা ও শার্টার
খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন দোকানের একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও ক্যাশবক্স থাকা নগদ টাকা ৪ হাজার ৮০০ টাকা
নেই। এই ঘটনায় তিনি ওইদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের
পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে
বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস ও সহকারি পুলিশ পরিদর্শক
(এএসআই) কামাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চুরির সঙ্গে
জড়িত হালিমুর রশীদ হালিমকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে
একে একে জহির আহমদ, সুজন আহমদ ও শফিকুল ইসলাম গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া
তথ্যমতে চুরি হওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন চান্দগ্রাম বাজারের আরিয়ান টেলিকম
থেকে উদ্ধার এবং দোকান মালিক সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
বড়লেখা
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত
করে বলেন, দোকান মালিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তে নেমে গোপন
তথ্যের ভিত্তিতে হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে
একে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার চুরির কথা স্বীকার করে হালিমুর
রশীদ হালিম ও জহির আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক
তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০/এজেএল