Sylhet View 24 PRINT

কমলগঞ্জে ইউনিক আইডি কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৫-২৬ ০১:১৪:২৯

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরী কার্যক্রম শুরু করেছে শিক্ষা বিভাগ। ৪ পাতার তথ্য প্রদানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্ম নিবন্ধন তথ্য নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই।

অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তথ্য ফরম সংগ্রহ করে ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্রসহ রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আর অভিভাবকরা জন্ম নিবন্ধন তৈরীতে দৌঁড়াচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। অনলাইন জন্মনিবন্ধনে পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন করার পর শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন করতে হয়। এতে অনেক ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হয়। ফলে ভোগান্তির সাথে যোগ হয়েছে অর্থ ব্যয়। এ সুযোগে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা রক্ত পরিক্ষা নির্ণয়ে নিচ্ছেন দেড়গুন বেশী টাকা।

জানা যায়, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরীর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে তথ্য ফরমসহ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ৪ পাতার তথ্য ফরমে শিক্ষার্থীদে ডিজিটাল নম্বরযুক্ত জন্ম নিবন্ধন ফরম, বাবা মার ডিজিটাল নম্বরসহ জাতীয় পরিচয় পত্র ও ইউনিয়নের ডিজিটাল নম্বরসহ জন্ম নিবন্ধন ফরম আনতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেও তথ্য প্রদান করতে হচ্ছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুন নাহার পারভীন বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য গ্রহনে ইউনিক আইডির ভেতরে আনতে কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। তথ্য ফরমে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে অবশ্যই তথ্য প্রদান করতে হবে।

নতুন করে পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন করতে হলে শিক্ষার্থীদের দাদা-দাদী ও নানা-নানীর জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে, মৃত হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মৃত্যসনদ সংগ্রহ করার পর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অনলাইন জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এদিকে মাধবপুর ইউনিয়ন এর টিলাাগাঁও গ্রাম থেকে আসা অন্তরা হক অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন পূর্বে ছেলে মেয়ের জন্মনিবন্ধন কার্ড সংগ্রহ করতে ৬ শত টাকা খরচ হয়েছে। এখন শুনি জন্মনিবন্ধন কার্ডগুলি অনলাইন হয়নি, তাই আবার নতুন করে আমাকে প্রতিটি কার্ডের জন্য পুনরায় অর্থ খরচ করে নিতে হচ্ছে।

করোনাকালীন সময়ে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই না করে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র এবং ডায়াগনিস্ট সেন্টারে ভিড় করছেন।

আলাপকালে নুরুল মোহামীন, আলমগীর হোসেন, সামসু মিয়া, তামান্না ইসলাম, চম্পা রানী নাথ, কাজলি সিনহা বলেন, অভিভাবকরা নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে তাদের বাবা- মার জন্ম নিবন্ধনের তথ্য উপস্থাপন করতে হয়। এদের অধিকাংশ এখন মৃত। বেশির ভাগই জন্ম নিবন্ধন কার্ড করেননি। তাই ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গিয়ে নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে পারছেন না।

পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, অনেক অভিভাবক জন্ম নিবন্ধন কার্ড করেননি। এখন প্রয়োজনে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তাদের বাবা মা মৃত হলে মৃত্যু সনদ প্রদান করা হবে। আর যারা দরিদ্র তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানে বিবেচনার দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ শাদিআচৌ-০৭

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.