আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

এগুলো গল্প নয়

সৈয়দ হক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-০৮ ১২:০৫:১০

(এক)
যারা একটু বড় হয়েছেন তাঁদেরও একটি কিশোর বেলা ছিলো । কিশোর বেলাটা এডবেঞ্চারময় । আমাদের সময় “সেবা”র কিশোর ত্রিলার ছিলো । জুল বার্নের ‘আশিদিনে বিশ্ব ভ্রমণ ‘ টা  দেখুন । আশিদিনে কিন্তু তাঁরা মেইক করেছে বিশ্ব ভ্রমণ । এরই মধ্যে আমরা পড়ে ফেলেছি ’দুনিয়া কাঁপানো দশদিন ’ । বিদেশে আছি প্রায় দেড় যুগ । আলাদা টিন এজ চ্যানেল গুলো দেখি মেয়েদের সাথে । বাবা মায়ের সম্পর্কে টানা পোড়ন বাচ্চারা ঠিক করে দিয়েছে । এনিয়ে হলিউডের বিখ্যাত মুভি আছে । হিন্দি ‘রং দে বাসন্তী ‘ আমির খানের মুভিটি দেখতে পারেন ইতিহাসের আলোকে । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর ’ একা এবং কয়েকজন ‘ এর সিস্টেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ টা অনেকে হয়তো পড়েছেন । আর সমরেশ মজুমদারের ’কাল বেলা ’ তোঁ আমি নিজেই উদ্বুদ্ধ  হই !

(দুই)
সিলেটে আমাদের গর্ভমেন্ট পাইলট স্কুলে ষষ্ট / সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় হঠাৎ একদিন শুনলাম আমাদের স্কুলের বন্দরে অবস্থিত ছাত্রাবাসটি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী শাহ আজিজ সাহেব বিক্রি করে দিয়েছেন । তাও রাগিব আলী নামের এক উঠতি শিল্পপতির কাছে গোপনে পানির দরে । সেদিন আমরা সকলে বের হয়ে এসেছিলাম স্কুল থেকে একযোগে । আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলো রাজা স্কুল , এইডেড স্কুলের বন্ধুরা , বড় ভাইরা । পরবর্তীতে মদনমোহন কলেজ, এমসি কলেজ , সরকারী কলেজের ভাইয়েরা , উইমেন্স কলেজের বোনেরা । আমাদের বয়স তখন কতো ১২/১৩ । আমার বন্ধু ’হপারি’ সাইদুল স্কুলে “সাতঘাটি” নিয়ে  আসতো ! আমরা তাঁকে ভয় পেতাম । সে দেখি মিছিলের সবার আগে । স্কুল পালানো যুবক , ভাল ছাত্র , খারাপ ছাত্র , বেঞ্চি পাঁশ সবাই মিছিলে । স্লোগান , ”আজিজ যাবে গোরস্তান , রাগিব যাবে গুলশান ” । পরবর্তীতে  আমাদের রাজনৈতিক বড় ভাইদের বেঈমানি দেখেছি । মধুবন মার্কেটের দোকানের বিনিময়ে তাঁদের বিক্রি হতে আমরা দেখেছি । তবে আমাদের এই ক্ষোভ , ঘ্বনা ’এই মার্কেট ‘ এর প্রতি এখনও বহন করি । একটা সময় ছিলো আমাদের স্কুলে পাওয়া এই দুহখ আমরা এখনো ভুলতে পারিনি । অনেকটা প্রথম প্রেমের মতো প্রথম দুহখ । ছি ।  অনিমেষ মনে করে নেতা বিপ্লবের জন্ম দেয় না , বিপ্লবই নেতার জন্ম দেয় !অনিমেষ এর  বয়স কত ছিলো ?

(তিন)
ভূমিকাটা একটু বড় করলাম । নিরাপদ সড়ক চাই - আন্দোলনের দাবিতে এই ছাত্রদের প্রতি সরকারের ”বিহেভিয়ার” নিয়ে বলতে চাচ্ছি । ট্যাকলিং এ ”ম্যানুভারিং ” পুরো রং হয়েছে । আন্দোলন দমন করতে গিয়ে নিজ ছাত্র সংগঠন লেলিয়ে দেওয়া । আহত ছাত্রদের রক্তাত্ত দ্বশ্য । এগুলো ভীষণ ভাবে আলোড়িত করেছে পুরো কিশোর কিশোরীদের । যাঁদের বয়স ১২/১৭ । এ প্রজন্মের একটি ঘ্বনা , ক্ষোভ বেঁচে থাকবে সরকারের প্রতি , আওয়ামীলীগের প্রতি । একটি প্রজন্মকে এভাবে ”শত্রু মানা ” ঠিক হয় নি । বলছিলাম । দলদাস হতে পারলাম না বলে দুঃখিত । এই পুরো প্রজন্ম ই সরকারকে ভোট দিয়েছিলো ২০০৮ এ । এই দেড় কোটি নতুন ভোটার এবং পরবর্তীতে যারা নতুন ভোটার হবে তারা “ভুলবে না ” । মানুষের কথাবার্তায় “ছাত্ররা ” ফিরে এসেছে । এঁরা আবার আসবে । ”গুলুই বাঁশ “ দিয়ে প্রতিরোধ করা এঁরা শিখে গেছে । ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এঁরা আছে । ” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ...”  গানটা তোঁ আছেই ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৮ আগস্ট ২০১৮/শাদিআচৌ/আআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন