আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
বিপ্লব কুমার পোদ্দার :: রাজনীতির পারদের উচ্চতা বৃদ্ধি, ফের রাজনৈতিক শংকা। হঠাৎ করে বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চুপ থাকা এবং ঝিমিয়ে পড়া মানুষদের উপস্থিতি এবং অন্যদিকে বড় দুটি রাজনৈতিক দলে জোট সম্প্রসারণের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা অথবা ক্ষমতা গ্রহণের এক প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কোন পক্ষ থেকেই জনকল্যাণের জন্য কোন আশার বানী শোনা যাচ্ছে না। কারণ, ইতিমধ্যে নমিনেশন কেনা-বেচার বাজার দর এবং তার শেয়ার মার্কেট যেকোন সময়ের চেয়ে উচ্চ সূচকে অবস্থান করছে। যদি, এই তথ্যটি সঠিক হয়, তাহলে এ নির্বাচনও কি জনগণের কোন কল্যাণ অথবা দেশের জন্য ইতিবাচক এবং অর্থবহ কোন অাদৌ পরিবর্তন নিয়ে অাসতে পারবে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নাকি অাসামের বাঙালী খেদাও বিষয়ে অালোচনা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রকাশিত খবরে মোদীজি অাশ্বস্ত করেছেন, বাঙালী খেদাবার বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে বাংলাদেশের কোনে উদ্বেগের কারন নেই বলে অামাদের প্রধানমন্ত্রীকে অাশ্বস্ত করেছেন তিনি। এখানে অামার শংকা থেকেই বিনীতভাবে জানবার থাকে, নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ পড়া বাঙালীকে ভারত সরকার তাহলে কোন দেশে পাঠাবেন?
বার্মাও কিন্তু, অনেকদিন ধরেই রোহিঙ্গা বিষয়ে হোম ওয়ার্ক শুরু করেছিল। কিন্তু, তার সর্বশেষ ফলাফল অামরা দেখছি, কক্সবাজারের বাংলাদেশীরা অাজ নিজদেশে পরবাসী। অাবার অারেকটু পেছনে তাকালে দেখা যায়, ভারত সরকারের ফারাক্কা বাধঁ তৈরীর চেষ্টা তৎকালীন পাকিস্তান জানতেও পারেনি অথবা গুরুত্বহীন মনে করেছিল। যার অভিশাপে অাজ অভিশপ্ত অামার প্রিয় বাংলাদেশ।
হঠাৎ করেই বর্তমান সরকার যেন অপ্রয়োজনীয় ভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে। সে হোক কোটা সংস্কার কিংবা দেশের সাধারন মানুষের জন্য স্বাভাবিক মৃত্যুর দাবীতে অকুতোভয় কিশোরদের নিরাপদ সড়কের অান্দোলন। এই উভয়ক্ষেত্রে সরকারের উপদেষ্ঠারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যেটা নাকি শেষ খারাপ যার, সব খারাপ তার- কথাটার মতো রূপক অর্থে সমার্থক।
অামি বিশ্বাস করি, সবকিছু এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অামি অাপনার সমর্থক নই। অামি একজন অতি নগন্য স্বার্থপর প্রবাসী নাগরিক। দেশের অামার কাছে অনেক কিছু পাবার ছিল, দিতে পারিনি। তাই অার কিছুই নিজের জন্য দেশের কাছে চাইবার নেই। এখন যে অাবেদন করছি, তা হলো অাগামী প্রজন্মের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য একবিংশের পৃথিবীতে বাংলাদেশের মাথা উচুঁ করে দাড়াবার জন্য। তাই অনতিবিলম্বে কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করুন। বর্তমান রাজনৈতিক ডামাডোল থেকে বেরিয়ে অাসার জন্য, রাজনৈতিক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দেশ এবং রাজনীতিকে রক্ষা করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে একটি সুস্থ পথ খুজেঁ বের করুন। দুর্নীতিমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ দেখবার প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে রইলাম।
লেখকঃ যুক্তরাজ্য প্রবাসী অাইনজীবি ও সমাজকর্মী।