আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘তিনটা মাসের কষ্টের ফল পাবে আগামীর বাংলাদেশ’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-২৫ ০১:৫৬:৪৭

জয়নাল আবেদীন :: মানুষ ঠকে শিখে। আমরা যারা ছাত্রলীগ তারাও শিখেছি তবে অনেক পরে। যাইহোক অনলাইনে শেষ পর্যন্ত আমরা নৌকা মার্কা নিয়ে কাজ করা শিখতেছি। অর্থাৎ কাজ শুরু করেছি। এটা পজেটিভ দিক। তবে এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের এই কাজগুলো কতটুকু পৌছাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে। নিজের একটা ছবি দিলে যে রেসপন্স পাই বাট সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ প্রচার করে আমরা কি আসলেই সেই রেসপন্স পাচ্ছি?

আমরা যারা ছাত্রলীগ কিংবা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি তারা ছাড়া আমাদের ফ্রেন্ডলিষ্টে অন্য লোকজন এ্যাড নেই। তাহলে আমাদের প্রচারটা আমরাই দেখতেছি। অনলাইন বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। বিগত কিছুদিন আগের অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো থেকে বুঝা যায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি কতটা এগিয়ে গেছে এই জায়গাতে। তবুও শেষ পর্যন্ত আমরা কাজ শুরু করেছি এটা আশা জাগানিয়া খবর।
যে বিষয়টা নিয়ে বলতে চাই আমাদের নির্বাচন এর আর বেশিদিন নেই। হাতেগোনা তিন মাস। শুধু অনলাইনে কাজ করলেই কি নৌকা জিতাতে আমরা পারবো? এটাও ভাবা দরকার। সকল অপশক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ। ডান বাম মিলেমিশে একাকার। অথচ আমরা কি এখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছি? টনক কবে নড়বে আমাদের? সময় মাত্র তিন মাস,কাজ অনেক। তাই আমাদের এখনি উচিৎ মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়া। প্রতিটি এলাকার তরুণ সমাজের কাছে নৌকার মূলমন্ত্র পৌঁছে দেয়া। এই দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত এটা আমরা সবাই জানি। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। এর মাঝে কিছু ভোটার আছে যারা নিউট্রাল। এই ভোটগুলোই নির্বাচনে হয়ে যাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হয়তবা এই ভোটগুলোই ব্যাবধান তৈরি করে দিবে। এই ভোটারদের কাছে কি আমরা যেতে পেরেছি? আজ ঘরে ঘরে ক্ষমতা পাওয়ার নেশায় ভর করেছে। সবাই এমপি হতে চায়। তাই সরকারের মনোনিত লোকের পিছনেই আঙ্গুল দিয়ে নিজেকে যোগ্য করার চেষ্টা করতে গিয়ে নৌকার মাঠটাই আজ দূর্বল করা হচ্ছে। কারা করছে? আমাদেরই লোকজন। অথচ এখনই সময় সবকিছু ভুলে ক্ষমতার কথা চিন্তা না করে নৌকা আর শেখ হাসিনার কথা চিন্তা করার। মনেরাখা উচিৎ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে জঙ্গলে গিয়েও রক্ষা হবেনা।

আমরা যারা ছাত্রলীগের আছি একটু নিজ নিজ এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেননা কয়টা ওঠান বৈঠক হয়েছে। কোন এমপি তার আসনের লোকজনের কাছে যাচ্ছেন। সরকার এত এত উন্নয়ন কোন জনপ্রতিনিধি তার ভোটারদের বলছেন। সংখ্যাটা খুবই নগন্য।

৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশ, ১৬ কোটি মানুষ। অনেক বড় জার্নি সময় মাত্র তিন মাস। তাই সকলের উচিৎ আমার আপনার আমাদের সবার সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার। বিশেষ করে ছাত্রলীগের, যেহেতু আমরা সারাজীবন ফ্রি কামলাই দেই, কে এমপি মন্ত্রী হল এগুলোতে আমাদের আসলেই কিছু আসে যায়না। কারন ওনারা কোন সুবিধা আমাদের দেননা। তাই আমাদের উচিৎ আরও একটিবার নিঃস্বার্থ ফ্রি কামলা দেয়া। শুধু মাত্র নৌকা আর দেশরত্ন এবং এই দেশের জন্য। অনলাইন এবং মানুষের দরজায় কড়া নাড়তে আরও একটিবার শেষবারের মত ফ্রি কামলাটা দেই। দেখবেন এই তিনটা মাসের কষ্টের ফল আগামীর বাংলাদেশ পাবে। তৃপ্তির ঢেঁকুর তখন আমি আপনি আর আমরাই তুলতে পারবো।

আসুন অনলাইনের সাথে সাথে মাঠেও নেমে পড়ি। নৌকার জন্য, শেখ হাসিনার জন্য, এ কটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য।

লেখক: সাবেক স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন