আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
বিপ্লব কুমার পোদ্দার :: কোথা থেকে শুরু করবো আর কোথায় থামবো জানিনা। বুকের ভিতরের কষ্ট শেয়ার না করেও পারছিনা। তাই তো একটু লেখার চেষ্টা মাত্র। মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী এক খবরে দেখলাম, আপনি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী নয়, আপনি চাইবেন মানুষের ম্যান্ডেট, আমি আজ ভীষন গর্বিত। যদি আপনি সত্যিই মনে প্রাণে এই কথাটা বিশ্বাস করে বলে থাকেন। আপনি এবার নরেন্দ্র মোদিকে জিজ্ঞেস করুন বাংলাদেশিকে বিজেপি উইপোকা বলেছে কেনো ? বাংলাদেশ দখল করার কথা কি সন্ত্রাস নয়? আমি বাঙালি, আমি হিন্দু। আমি ইন্ডিয়ার বাঙালি হিন্দুদের চেয়ে বাংলাদেশে ভালো আছি, তাই আমার বাংলাদেশ কে নিয়ে কেউ কিছু বললে মেনে নিতে পারিনা।
আসামের বাঙালি নিয়ে যে খেলা চলছে, চলুন এখনই প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ করি, গোটা দুনিয়াকে অবহিত করি আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে। তাহলে বিজেপির চক্রান্ত বন্ধ হয়ে যাবে, আমরা মুক্তি পাবো এক ভয়ঙ্কর সমস্যা থেকে।
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী হাতেনাতে প্রমান পেলেন, শুধু মাত্র দলীয় আনুগত্য যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রধান যোগ্যতা হয়, তাহলে একদিন সেই ভ্রান্ত প্রক্রিয়া কিন্তু আপনাকে ডোবাবে। শুধু আপনাকে নয়, দেশকে নিয়ে। তাই এই সুযোগে বিশেষ অনুরোধ করছি, আর দেরি না করে বিশেষ দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করা সেই লোকগুলোকে আপনার পাশ থেকে সরিয়ে নিয়ে, নতুন সিদ্ধান্ত নিন। দেখবেন আপনার ভালো হবে, দেশ অস্থির অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে। আমি শুধু সমস্যা নিয়ে লিখতে পছন্দ করি না। তার সাথে সাথে আমি সমাধানের কথা লিখি। একটি উদহারণ দিয়ে সমাধানের কথা লিখছি। আপনি অনেক দিন বাংলাদেশে ঢুকতে পারেননি, অনেকে ভেবেছিলো, আওয়ামীলীগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে, বাস্তবে তা কি সম্ভব হয়েছে?
তাই আমি আমার সামান্য অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আপনি সরাসরি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করুন। তিনি যেহেতু হাসপাতালে তাই সে সুযোগ বিদ্যমান। মানুষের বিশ্বাস আপনি পারবেন। যদি আপনি চান। তবে অাশে-পাশে যারা আছে, তাদের সাথে এবিষয়ে আলাপ করলে আপনাকে বিভ্রান্ত করে দেবে। কারণ তারা জানে হাসিনা- খালেদা এক হয়ে কিছু সমাধান বের করলে, অনেকের মসনদ এবং স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে।
এবার আসি কোটা বিষয় নিয়ে, আমাদের দেশে চলছে এই বিষয় নিয়ে নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধার করার এক চেষ্টা। আপনাকে একটু সংযত হয়ে কথা বলতে হবে এবং পরিষ্কার করে বলতে হবে। কারণ আপনি প্রধান মন্ত্রী। দেখলেন তো মুক্তি দযোদ্ধারা কেউ রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে চায় না। তাই কয়েক জন কানা মাছি ভোঁভোঁ খেলার মতো একটা ছোট বৃত্তের মধ্যে বসে প্রতিবাদ করছে। শুধুমাত্র যারা অন্ধ অথবা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী তাদের জন্য ৫% কোটা সংরক্ষণ করে বাকি সব কোটা বিলুপ্ত করুন।
আবার পরিবহন খাতে অরাজকতা শুরু হলো। মানুষ আইন মানতে নারাজ। এক্সিডেন্ট কমেনি। এবিষয়ে একটা সাজেশন। আর তাহলো মানুষের মৃত্যুর খবরেও হাসতে থাকা মন্ত্রীকে অপসারণ করে দিন। সে সাথে ঘোষণা দিন পরিবহন খাতে কোনো অরাজকতা মানবেন না। দেখবেন, সর্প যেমন গর্তে ঢোকার সময় সোজা হয় নিজ থেকে। ঠিক তেমনি ভাবে এই পরিবহন বাবস্থা ঠিক হয়ে যাবে।
আজকের সর্বশেষ ইস্যু নতুন ষড়যন্ত্রের অারেক নমুনা সেন্টমার্টিনকে তাদের নিজেদের দাবি করা.। ভবিষ্যৎকে সামনে রেখে আমাদের সেনাবাহিনীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী করি। দেখলেন তো গণতান্ত্রিক ভারত সাতজন রোহিঙ্গা নাগরিককে কিভাবে দানবের হাতে তুলে দিলো?
দেশ বাঁচলে সবাই বাঁচবো, সবাই রাজনীতি করতে পারবেন, তাই শুধু নির্বাচন নয়, সব গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা করি।
লেখক: লন্ডনে কর্মরত আইনজীবী এবং লেখক।