আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটের রাজনীতির মাঠে সব থেকে বোকা এবং বিশ্বাসী মানুষ

ইশতিয়াক চৌধুরী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-১৫ ১৬:০২:৪০

ইশতিয়াক চৌধুরী :: সিলেট বোকা সেই মানুষটির পরিচয় হল আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী সাবেক সাংসদ, সিলেট-২ ও সাধারণ সম্পাদক সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ যিনি শুধু আমার রাজনীতিক অভিভাবক না একজন পিতার সমতুল্য ছোট বেলা থেকে যার স্নেহ, মমতা পেয়ে বড় হয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।

নিজের বাবাকে নিয়ে কয়েকটা ঈদের নামাজ ছাড়া আমার জীবনের বাকী ঈদের নামাজ গুলো যার সাথে পড়েছি, তার সাথে নামাজ আদায় করার কারণটা হচ্ছে তার পরিবারের কেউই দেশে নেই, তাই প্রতিটা ঈদ তার পরিবার ছাড়া একদম একাই কাটাতে হয়। তাই নিজের বাবাকে রেখে যার সাথে ঈদ এর নামাজ গুলো আদায় করি আর এর জন্য কখনি আমার বাবা দুঃখ পাননি বরং আরো বেশি খুশি হতেন।

একজন শফিকুর রহমান চৌধুরী কতটা একা কেউ জানেন?
যখন আপনি আপনার মা, বাবা স্ত্রী, সন্তান, ভাই বোন এর সাথে নিয়ে একসাথে থাকেন। তখন সেই শফিক চৌধুরী মা-বাবা শুয়ে আছেন কবরে, পরিবারের সবাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী হওয়ায় স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোনদের সাথে বছর দুই বছরেও ভালো ভাবে তার দেখা হয়না।

যখন আপনি আপনার সন্তান্দের স্নেহ মমতা দিচ্ছেন তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াচ্ছেন ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এ সন্তানদের পড়ালেখার টাকা জোগাড় করছেন তখন শফিক চৌধুরী শুধু তিন কন্যা যারা তাদের বাবার সাথে বেড়ানোত দূর বাবাকে দু তিন বছরেও একটি দিন বাবার মুখটি না দেখে তাদের শুধু মার সাথে সময় কাটাতে হয়। আর এর কারণ খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি যুক্তরাজ্য এ যান আর যেদিন যান ওইদিন থেকে দলের নেতাকর্মীদের সাথে ব্যস্ত থাকেন। বিভিন্ন দলীয় ও সামাজিক মিটিং শেষে যখন গভীর রাত বাসায় ফিরেন তখন তার সন্তানরা ঘুমিয়ে পড়ে আর খুব ভোরে উঠে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দেন যার কারণে আর বাবার সাথে তাদের দেখা হয়না একজন সাবেক সাংসদ এর মেয়ে হয়েও পড়ালেখার খরচ তাদের নিজে কাজ করে জোগাড় করতে হয়। অন্যান্য এমপি, মন্ত্রীদের সন্তান্দের মত তাদের নেই কোনো অহংকার নেই কোনো গড়িমা। তাদের চলাফেরা একবারে সাদামাঠা আওয়ামী ঘরানার সন্তান।

শফিকুর রহমান চৌধুরী রাজনীতিতে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণায়। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু বিশ্বনাথে আতাউল গনি ওসমানীর নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আসেন। উক্ত অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সংস্পর্শে আসেন। পিতা আব্দুল মতলিব চৌধুরী তাকে বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু শফিকুর রহমান চৌধুরীকে রাজনীতি করার জন্য উৎসাহ দেন। ১৯৬৯ সনে গণঅভুত্থানের সময় সিলেটের দি এইডেড হাইস্কুলের ছাত্র হিসাবে শফিকুর রহমান চৌধুরী ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে চান্দভরাং হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং তৎকালীন সরকারী এম.সি. উচ্চ মাধ্যমিক মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এম.সি. কলেজে বি.এ. পড়ার সময় তিনি এম.সি. কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগ এর সম্পাদক মন্ডলীর সদ্যস ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সাংসদ এর সদ্যস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সামাজিক সংগঠন এর মধ্য ঐতিহ্যবাহী টিলাগড় ক্লাব ও মোহামেডান ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

এম.সি.কলেজের ছাত্র থাকাকালীনই শফিকুর রহমান চৌধুরী পিতা-মাতার সাথে যুক্তরাজ্য চলে যান। তারা বাবা মরহুম আব্দুল মুতলিব চৌধুরী যুক্তরাজ্যে বাঙালী কমিউনিটির প্রথম সারির নেতা ছিলেন। দেশেও সমাজসেবক হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলন মরহুম আব্দুল মতলিব চৌধুরীর লন্ডনস্থ দিলশাদ রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। যা আজ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। তার বড় ভাই মরহুম মতিউর রহমান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গঠিত এ্যাকশন কমিটির সদস্য হিসাবে যুক্তরাজ্যে আন্দোলন করেন।

যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষ করে পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করার ভার নেন এবং পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালীন সময় দেশে এসে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির পাশাপাশি তিনি যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির আঞ্চলিক শীর্ষ নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক দায়িত্ব ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের বাঙালী কমিউনিটির শীর্ষ নেতা হিসাবে বাঙালীদের নেতৃত্ব দেন। তিনি একদিকে বৃটেনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অন্যদিকে দেশে প্রবাসীদের হয়রানি নির্যাতনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতা হিসেবে প্রায় দুই যুগ আন্দোলন সংগ্রাম করে সেখানে বাঙালী সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে অভিভূষিত হন। তিনি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং চেয়ারম্যান হিসাবে বিভিন্ন মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রবাসীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ সার্টিফিকেট নিঃখরচা করা, বিমানের হয়রানি বন্ধ, প্রবাসী এস, মিয়া হত্যার বিচার, প্রবাসীদের ভোটাধিকার ইত্যাদি ইস্যুতে কার্যকর আন্দোলন করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। প্রবাসীদের ভোটাধিকারের দাবির আন্দোলনের সুত্রেই তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের চিন্তাভাবনা করেন। বৃটিশ নাগরিকত্ব বর্জন করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জয়লাভ করার পর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তিনি একাধিকবার প্রবাসীদের ভোটাধিকারের জন্য প্রশ্ন উত্থাপন করেন। অবশেষে তিনি এবং প্রবাসীরা জয়লাভ করেন। তিনি যুক্তরাজ্য থাকাকালীন সময়েও দলের যে কোনো দূর সময়ে যুক্তরাজ্য বসে থাকেননি ছিলেন।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে দেশে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। শফিকুর রহমান চৌধুরীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে তাকে পেশি শক্তি দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কারাভোগ করতে হয়েছে বারবার। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানানোর অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রলীগের দুর্দিনকালীন সময় তিনি তরুন ছাত্রকর্মীদের নিয়ে জেলা ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সিলেটে আন্দোলন গড়ে তুলেন এজন্য তাকে গ্রেফতারকরে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন এবংকারাবরণ করতে হয়। সত্তর দশকের শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন এবং এ সময়কার পার্লামেন্ট ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তিনি ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার শাসনামলে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণের কারণে আবারো গ্রেফতার করে দীর্ঘ দিন কারাভোগ করতে হয়। সিলেট-২ এর সাবেক সাংসদ মরহুম শাহ আজিজুর রহমান এর নৌকার পক্ষে কাজ করায়, সারা দেশে প্রহসনের নির্বাচন এ কেন্দ্র দখল করে ভোট দিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হোয়ার পর সন্ত্রাসীর গডফাদার ইলিয়াস আলীর ক্যাডাররা তাকে হত্যার উদ্যসে তার বাসায় এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে ঘটনার কিছু দিন আগে তিনি যুক্তরাজ্য চলে যাওয়ায় অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেও গুরুতর আহত হোন তার বাসার কাজের লোক লুটপাট হয় তার বাসা এবং ভাংচুর চালানো হয় তার বাসার ভিতরে এং তার ব্যবহিত তার বাবার রেখে যাওয়া সেই জীপ গাড়িটিতে, যে গাড়িটি আজো তার বাসায় সৃতি হিসাবে রাখা আছে।

২০০৭ সালে জরুরী অবস্থা জারির পর নিজ বাড়িতে এক অনুষ্ঠান থেকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্য ও প্রবাসী নেতৃবৃন্দসহ তাকে আটক করা হয়। এজন্য বিনা অপরাধে ৪ মাস ২২ দিন জেলে নির্যাতন ভোগ করতে হয়।
উল্লেখ্য ২০০৭ সালে জরুরী আইন জারীর পর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লন্ডন থেকে ফেরার পথে যখন বাঁধা দেয়া হয় তখন আন্দোলন করে নেত্রী দেশে আসেন। আসার পূর্বমুহূর্তে তিনি শফিক চৌধুরীর লন্ডনস্থ দিলশাদ রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে আসেন এবং কয়েকজন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা জননেত্রীর সাথে দেশে আসেন।

সিলেট-২ আসন সন্ত্রাস এর জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল,সারা দেশে বিএনপির ১০ জন শক্তিশালী প্রার্থীর মধ্য ছিলেন সন্ত্রাসীর গডফাদার এম.ইলিয়াস আলী ওরফে পিস্তল আলী ও ১ জন। যে পার্লামেন্ট এ দাঁড়িয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে চেলেঞ্জ ছুড়েছিল তখন এই সন্ত্রাসীর গডফাদার ইলিয়াস আলী কে ২০০৮ এর জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সেই চেলেঞ্জের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দিয়েছিলেন শফিক চৌধুরী। শফিক চৌধুরী যে কখনই দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেন না সদ্য সমাপ্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হচ্ছে এর উৎকৃষ্ঠ প্রমান। কারণ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়ে শফিক চৌধুরী এলাকার যে উন্নয়ন করিয়ে ছিলেন, তাতে তিনি যদি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হতেন তাহলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন বলে এখনও বিশ্বাস করেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার  সিদ্ধান্তে ও নির্দেশে মহাজোটের জাতীয় পার্টির ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়াকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে বিশ্বনাথ- বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরের গ্রামে-গঞ্জে দিনরাত পরিশ্রম করে তার বিজয় নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে।

তার সত্যতা,ত্যাগ, পরিশ্রমের গুনে যখন সিলেট -২ আসনের জনগনের নেতা থেকে হয়ে উঠেন সারা সিলেট এর কোটি মানুষের নেতা জননেত্রীর কাছে হয়ে উঠেন প্রিয় যার নি ঃস্বার্থ ও দিন-রাত বিরামহীন পরিশ্রম এর কারনে মানুষ তার নাম দেয় সিলেটের -২৪ ঘন্টার রাজনীতিবিদ।

তখনি তার বিরুদ্ধ গড়ে উঠে একটি খন্দকার মোস্তাক চক্র যে চক্রের জন্ম হয় নৌকার বদলে স্বাধীনতা বিরুধী কুড়ালমার্কা নিয়ে এবং বালাগঞ্জে গণহত্যা চালিয়ে সিলেট -২ আসনের শফিক চৌধুরী কে সরিয়ে দিয়ে এমপি হবার লক্ষ্য চারিদিকে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকা ডুবায় এবং দলের মধ্য বিভেদ সৃষ্টি করে এবং তাদের ঐ চক্রে ভুল বঝিয়ে যোগ দেওয়ায় স্থানীয় কিছু পদ বঞ্চিত নেতাদের আর সেই নেতারা শফিক চৌধুরী জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত নির্বাচনী এলাকায় দলকে সুঃসংগঠিত করতে যারা এখন প্রশ্ন তুলেন সেই সব বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন তারা যারা একসময় শফিক চৌধুরী সাংসদ থাকা অবস্থায় যাদের খুব সকালে তার বাসায় বিভিন্ন তদবির নিয়ে তাদের দেখা যেত?শফিক চৌধুরী এলাকায় গেলে গাড়িতে সবচেয়ে বেশি তাদের দেখা যেত? কেন সেই দিন শফিক চৌ আস্থাভাজন পরিচয় দিয়ে তার নাম ভাংগিয়ে সরকারি টেন্ডার, সরকারি কাজ এবং থানায় বাণিজ্য চালিয়েছিলেন? আর কেনই বা গতবারের নির্বাচন সবাই সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে মনোনয়ন দিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন?কই তখন কেউ তার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন না কেন?তখন কেনই বা চুপ ছিলেন? শফিক চৌ সাবেক এমপি হোয়ার সাথে সাথেই কেন আপনারা এন্ট্রি শফিক চৌধুরী হয়ে সেই মোস্তাক চক্রে যোগ দিলেন?

শফিক চৌধুরী একজন বোকা মানুষ এই অর্থে

জননেতা শফিকুর রহমান যদি ভাইলীগ করার ইচ্ছা করত তবে শফিকুর রহমান চৌধুরী ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নিশ্চিত বিজয় জেনেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করতেন না তার যে জনপ্রিয়তা ছিল তাতে ১০ % ভোট মহাজোট মনোনীত জাপা প্রার্থী এহিয়া আর বিদ্রোহী প্রার্থী মুহিবুর রহমান মিলেয়ো পেতেন না।

কিন্ত তিনি তা করেন নি দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি নৌকা মার্কার টিকেট পেয়েয়ো জননেত্রীর নির্দেশ এ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ছিলেন এবং মহাজোট মনোনীত জাপা প্রার্থী যার কোনো সেন্টারে ক্ষমতা ছিল না,সেই প্রার্থী কে আওয়ামী লীগ পরিবার কে সাথে নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছিলেন। শফিক চৌ পরিবারতন্ত্র রাজনীতি বিশ্বাস করতেন না বর্তমান রাজনীতিতে যখন নেতারা তাদের বউ, ভাই, ছেলে কে এমপি প্রার্থী করে তখন তাদের পরিবারের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ কর্মী হলেয় তাদের কাউকেই তিনি দলীয় কোনো পদে নিয়ে আসেননি।

শফিক চৌধুরী ভুল ছিল সন্ত্রাসীর গডফাদার ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে সিলেট -২ আওয়ামী লীগ এর শূন্য মাঠে তিনি এলাকায় ভাইলীগ তৈরি না করে সিলেট ২ এ আওয়ামী লীগের এর সৃষ্টি করেছেন যার বাস্তব প্রমাণ জননেত্রীর শেখ হাসিনার জনসভা যেখানে অর্ধেক মাঠি ছিল সিলেট -২ এর আওয়ামী লীগ পরিবার এর দখলে রেখে। তার ভুল ছিল আপনারা যখন তাকে বোকা বানিয়ে স্বার্থ উদ্ধার করে খন্দকার মোশতাকচক্রে যোগ দেওয়ার পরো আপনাদের যেকোনো সমস্যায় বা বিপদে সবকিছু ভুলে গিয়ে আপনাদের পাশে দাঁড়ানো।

আর সিলেটের সব থেকে বিশ্বাসী এই অর্থে
কিন্তু আপনারা যাকে সিলেটের বোকা মানুষ ভাবছেন, আমার চোখে সেই সরল মনের মানুষটি সিলেটের সব থেকে বড় বিশ্বাসী মানুষ যাকে বোকা বানিয়ে ধোকা দেয় সে বোকা হয় না সে বিশ্বাসী হয় আর যারা ধোকা দেয় তাদের নাম হয় বিশ্বাসঘাতক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আমি দেখিনি তবে তার প্রতিচ্ছবি হিসেবে তার আদর্শ লালন করা শফিক চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই দেখেছি। খন্দকার মোশতাককে আমি দেখিনি তবে শফিক চৌধুরীকে বোকা বানিয়ে স্বার্থ উদ্ধার করে যারা ধোকা দিয়ে ওই মোস্তাক চক্রে যোগ দিয়েছেন সেই নব্য মোস্তাক রুপে আপনাদের আমি দেখেছি। শফিক চৌধুরীকে যারা ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তাদের বলতে চাই মনে রাখবেন খাটি মুজিব কর্মী কে কখন ধবংস করা যায় না। আর শফিক চৌধুরী একজন সৎ মানুষ তাই আপনাদের শত ষড়যন্ত্র তিনি এক বিন্দু ভয় পাননি তারচেয়ে বেশি হয়ে উঠেছেন শক্তিশালী।

সিলেট-২ নৌকার প্রার্থী কে হবেন জানি না তবে আমার মতে শফিক চৌধুরীবিকল্প কেউ নেই আর জননেত্রীর উপর আমার পুরো আস্থা এবং বিশ্বাস আছে তিনি সঠিক মানুষ চিনতে ভুল করেন না, তাই আশা রাখছি শেষ হাসিটা শফিক চৌধুরী হাসবেন। পরিশেষে সিলেট-২ আওয়ামী লীগ পরিবারের সবার প্রতি অনুরোধ রাখছি প্রতিহিংসার রাজনীতি ত্যাগ করুন প্রতিহিংসার রাজনীতি কখনোই রক্ত ছাড়া মঙ্গল বয়ে আনে না, তাই সবাই চলুন সব হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে আবারো নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করে এই আসনটি আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেই মনে রাখবেন ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বুলেট এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখকঃ ইশতিয়াক চৌধুরী, সাবেক সহ সম্পাদক, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫নভেম্বর২০১৮/পিডি/এমইউএ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন