আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
মুনজের আহমদ চৌধুরী :: প্রার্থী মনোনয়নের স্রেফ দলীয় বাহ্যত ঐক্যের খোলটাও তারা দেশবাসীর কাছে সুষ্ঠভাবে তুলে ধরতে পারল না। উল্টো তারা নিজেরাই নিজ দলে ছড়াল বিভেদ।
জঙ্গিদের পেছনে অর্থ ঢালার অভিযোগে বিচারের মুখে থাকা ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের ভাষ্যমতে, এ সবকিছু সম্ভবত তাদের আন্দোলনের অংশ। তাদের কোন নৈতিক ও রাজনৈতিক অপরাধের সমালোচনা করলেই বলা হয় আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা এটাকে.. সেটা করছেন।
এবার তারা এক-এক আসনে বিকল্প প্রার্থীর নামে তিন চার জনকেও মনোনয়ন দিল। উদ্দেশ্য বলা হল, সরকার কোন কারণে প্রথম প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়বার অযোগ্য ঘোষনা করলে যাতে দ্বিতীয় প্রার্থী ধানের শীষ নিয়ে যাতে আসনটিতে মাঠে থাকেন। কিন্তু, ক্ষমতা চাইলে যে কোন বিকল্প প্রার্থীকেই মাঠে রাখা যাবে না- অন্তত এ মুহুর্তের বাস্তবতায় সেটা স্পষ্ট বোধগম্য। দলটি কি করল? বিকল্প প্রার্থীর নামে কিছু নিজ দলের প্রায় ক্ষেত্রে বিত্ত ও কানেকশন বান নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে সান্তনা পুরস্কার দেয়ায় ব্যস্ত হল। তাতে করে কি হল ?
কোন্দলে জর্জরিত দলটিতে আসনে আসনে মনোনয়ন প্রাপ্ত দুই তিনজন নেতাকে ঘিরে নতুন কোন্দল সৃষ্টি হল। ফেসবুকে, স্যোশাল মিডিয়ায় প্রার্থীর সমর্থকদের গালাগালি হচ্ছে। তা নিয়ে পত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে ইচ্ছাকৃতভাবে দলটি পুরস্কার বানিজ্যের খেলা খেলে নিজের দলে কোন্দলের চিত্রটি ভোটারদের সামনে স্ব-স্ব আসনে প্রায় ক্ষেত্রে নগ্নভাবে তুলে ধরল। আগামী ৯ তারিখ মার্কা বরাদ্দ পাওয়া প্রার্থীই দলের চুড়ান্ত প্রার্থী, বিএনপির দায়িত্বশীলরা এখন এটা বলছেন। ফলত এবং কার্যত, ৯ ডিসেম্বরের আগে বিএনপির প্রায় আড়াইশ আসনে কোন একক দলীয় প্রার্থী নেই। কর্মীরা এখনো বুঝতে পারছেন না তারা কোন বা কোন কোন মনোনয়নের চিঠি পাওয়া প্রার্থীর সভা সমাবেশে যাবেন। কে পাবেন দলীয় মার্কার চিঠি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিকল্প প্রার্থীরা ঢাকাবাসী, কিছু প্রবাসী ও স্বদেশী বিত্তবান। দলের তৃনমুলে তাদের কোন অবস্থান নেই। চিঠি মনোনয়নের সান্তনা পুরস্কার পেয়ে ৯ তারিখের আগ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান প্রমানে মরিয়া হয়ে মাঠে নামছেন।এলাকায় তাদের পেছনে কর্মীরা বচসা,বিবাদে জড়াচ্ছেন।
বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, গনতন্ত্র সহ সকল পাবলিক আকাংখাময় আশাগুলোকে প্রতিশ্রুতির মুলোতে ঝুঁলিয়ে বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের পর এই প্রথমবার ভোটের মাঠে নামল। নেমে প্রস্তুতি পর্বের লড়াইয়েই নিজেদের দলীয় দুর্বলতা জাতির সামনে তুলে ধরল। দলটির কর্মী আর নেতাদের ভোটের আগমুহুর্তে বিভাজিত করল। যার নিশ্চিত প্রভাব ব্যালটের বাক্সে না হলেও কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালটবাক্স রক্ষার ক্ষেত্রে নিশ্চিত প্রভাব ফেলবে। যেটা এখন তাদের সবচেয়ে বড় দরকার।
কারণ, মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঘিরে ভোটের আগমুহুর্তে আবার দলের ভেতরে পাল্টাপাল্টি অবস্থা নিচ্ছেন। আগামী ৯ তারিখ মার্কা পাবার পর পরই দলের ভেতরে এই সকল সংঘাত মুহুর্তে মিটে যাবে, এটা নিছক অলীক কল্পনা।
আর নেতার স্ত্রী অথবা ১৮ বছর বয়সী কিশোর পুত্রকে কিছু আসনে বিকল্প প্রার্থী দেবার কথাটা একবার ভাবুন তো!
এই মনোনয়নের এক একটা চিঠি দিয়ে পুরস্কার পুরস্কার খেলার বিকল্প নিরাপত্তা প্রকল্পের নামে বিএনপি এসব আসনে কী প্রবঞ্চনা করছে না দলটির ত্যাগী নেতাদের সাথে? চিঠির প্রাপক অনেক প্রার্থী ঢাকায়-বিদেশে থাকতেন। মাঠে দলটাকে বছরের পর বছর ধরে রাখা নেতাদের, যে দু-চারজন নেতা আসনে আসনে,উপজেলায় দলটাকে ধরে রেখেছেন, অন্তত তাদের বিকল্প প্রার্থী দিয়ে তো সান্তনা দিতে পারত দলটি। কিন্তু, তারা তা না করে ভোটের আগমুহুর্তে কর্মী সমর্থকদের সাথে সাথে আসনে আসনে সংগঠন ধরে রাখা নেতাদেরও নিজেদের হতাশার দীর্ঘশ্বাসে আক্রান্ত করল।দলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমান তৃনমুলের নেতাদের আশ্বাস দিচ্ছেন মুল্যায়নের। কিন্তু, মনোনয়নের এই পুরস্কারবানিজ্য দলের তৃনমুলে আর জনগনের কাছে শুরুতেই ভুল ও বিপরীত বার্তা পৌঁছে দিল।
দুই
আর এর বিপরীতে দেশে ভোটের মাঠের প্রতিপক্ষ শিবিরে কি ঘটছে ? আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে আসনে আসনে দলের মুল নেতৃত্ব ইতিমধ্যে মাঠে নেমে ভোট চাইছে জনগনের কাছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে মুল সংগঠনের পর সহযোগী সংগঠন দিয়েও সেন্টার কমিটি করছে। দলে ঐক্য বাড়াচ্ছে। কোথাও কোন আসনে সংঘাত হলে দলীয় সভানেত্রীর সরাসরি ফোন বা হস্তক্ষেপে মুহুর্তে সব প্রকাশ্যে চুপ হয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহীরা মুহুর্তে দলীয় প্রার্থীকে গিয়ে সমর্থন জানিয়ে ফটো তুলে অন্তত কর্মীদের দিয়ে অথবা নিজেরা ফেসবুকে ছাড়াচ্ছেন। তাতে দলীয় কোন্দল ঢাকা পড়ছে। দলটির ফুলে ফেপেঁ উঠা নেতারা নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন।
আর বিএনপি? তারা ধানের শীষ প্রতীকের চিঠি দিচ্ছে , জামায়াতের প্রার্থীর হাতে। দলের প্রতীকটা শুরুতেই নগ্নভাবে সরাসরি তারা অন্য দলের, আদর্শের নেতার হাতে তুলে দিচ্ছে। ব্যাপারটি নিয়ে কৌশল ও নীতিগতভাবে খুব স্থুল প্রবঞ্চনা করছে দলটি।
তাতে তরুন প্রজন্মের নতুন ভোটারদের সম্পুর্নভাবে বিভ্রান্ত করছে তারা নিজেরা। দৃশ্যত, ইচ্ছাকৃত ভাবে। ভাবনার জায়গা থেকে উপরের কারনগুলি ভোট লড়াইয়ের আগেই ভোটারদের দলের প্রতি নিজেরাই বিমুখ করছে। এটাও সম্ভবত দলটির শীর্ষ নেতাদের ভাষায় আন্দোলনের অংশ !
আমি দুটো স্রেফ গতকাল বুধবারের আমার জেলা মৌলভীবাজারের দুটো সত্য ঘটনা বলি।
মৌলভীবাজার-৩ ( সদর রাজনগর) আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীনের শেষ মুহুর্তে দেশের সকল মিডিয়ায় চুড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নাম আসে। কিন্তু, শেষ মুহুর্তে তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হন। তাঁর বদলে দলটি মনোনয়ন দেয় একজন নতুন প্রার্থীকে। এলাকায় তৃনমুল পর্যায়ে তাঁর স্বামী মরহুম সমাজকল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর বিশাল সমর্থকবলয় আছে দলের ভেতরে। বাইরেও।
কিন্তু, দলটির একজন কর্মীও সায়রা মহসীনের পক্ষ নিয়ে নেছার আহমেদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান নি। একজন কর্মীও কোন স্যোশাল মিডিয়ায় দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে বলেনি। উল্টো সায়রা মহসীন নিজে তার অনুসারী ও কর্মীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে এলাকায় ফিরছেন। তার ঘোর সমর্থকরাও ছুটছেন দলীয় প্রার্থীর মিছিলে।
এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান পুত্র নাসের রহমান। দল বিকল্প প্রার্থী দিয়েছে তার স্ত্রী রেজিনা রহমানকে। অথচ, এ আসনে তিনবারের এমপি, দলটির বর্ষীয়ান নেত্রী বেগম খালেদা রব্বানী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করীম ময়ুন মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাদের কেউ দলের দৃষ্টিতে অন্তত বিকল্প প্রার্থী হবার মতো বিশ্বস্ত বা যোগ্য প্রার্থী হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন নি। পারলে কি নামে নাসের রহমানের স্ত্রীকে ই প্রার্থী করা হতো?
এবার বলি মৌলভীবাজার-১ ( বড়লেখা ও জুড়ীর একাংশ) আসনের খবর। এ আসনে বিএনপি প্রতিষ্টার পর ধানের শীষকে একমাত্র একজন ব্যাক্তি জিতিয়ে এনেছেন। নৌকার দুর্গখ্যাত চা-বাগান অধ্যুষিত এ আসনে নৌকার বিরুদ্ধে চারবার লড়ে এমপি হয়েছেন তিনি। সাবেক মন্ত্রী। এলাকায় যাঁর কোন নিজের পারিবারিক বা শক্তির আধিপত্যশালী গোষ্টী নেই। কোন পুত্রসন্তান নেই, টাকা পয়সা নেই। ৭৬ বছর বয়স তার। এ বয়সেও দলের নির্দেশে, কর্মীদের আগ্রহে মনোনয়ন কিনেছেন তিনি। প্রায় ৩০ বছর এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মতো সরকারী পদে থাকার পরও তার বিরুদ্ধে পরবর্তী সরকার আমলেও কখনো দুর্নীতির অভিযোগ বা মামলা বহু চেষ্টা করেও করানো যায় নি। এলাকার উন্নয়নের রুপকার হিসেবে এলাকায় সব দলের মানুষ লোকটাকে সন্মান করে। তার নাম এবাদুর রহমান চৌধুরী। দেশজোড়াঁ খ্যাতিমান পার্লামেন্টারীয়ানের আসনে তাঁর পাশাপাশি দলটি আরেক তরুণ নেতাকে প্রার্থী দিয়েছে। যিনি দলের প্রার্থী হয়ে উপজেলা নির্বাচন করে হেরেছেন। এলাকার সামাজিক সংগঠনের নির্বাচনে সহ সভাপতির মতো গুরুত্বহীন পদে নির্বাচন করে এই গতমাসেই শোচনীয়ভাবে হেরেছেন।
অথচ, এবাদুর রহমান চৌধুরীর আসনে বিকল্প প্রার্থীর একান্ত অনুগত দলের উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফেসবুকে ষ্টাটাস দিয়ে বলছেন, এবাদুর রহমান চৌধুরীর দলীয় মনোনয়নপত্রটাই জাল! ষাট বছর ধরে রাজনীতি করা একজন প্রবীন জননেতার এটাই পাবার বাকী ছিল। বেয়াদবী, কালো টাকার দৌরাত্বে রাজনীতির নষ্টাচারের চলতি স্রোতটা বড্ড হতাশাময়। অথচ এ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চেয়েছেন মাত্র একজন। তিনিই দলের একক প্রার্থী।
এ শুধু দিলাম একটি জেলার কেবল দুটি আসনের আংশিক চিত্রের বর্ননা।
তিন
আওয়ামীলীগও ইয়াবা বদির বদলে তার স্ত্রীকে, টাঙ্গাইলে নিজ দলের নেতাকে খুনের দায়ে জেলে থাকা সাংসদের পিতাকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকা মার্কাটিকে অনৈতিক কাজে এমন অভিযুক্তদের পারিবারিক উত্তরাধীকার বানিয়েছে।
জোট সরকার আমলের দুঃশাষন বিরোধী আন্দোলনের পরীক্ষিত নেত্রী মারুফা আক্তার পপি মনোনয়ন চেয়ে পান নি। তারানা হালিমরা মনোনয়ন পান না। মনোনয়ন পেয়েছেন আগের স্বামীর নাম আর ৫ম থেকে দশম শ্রেনীতে এবার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নত করা মঞ্চকন্যা মমতাজ। দলের বহু ত্যাগী নেতা মনোনয়নবঞ্চিত হলেও মনোনয়ন পেয়েছেন শেয়ার মার্কেট কেলেংকারীর নায়ক। পেয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতির স্ত্রীর মতো বিত্তবানরা। তবে দুদলের মনোনয়নের পার্থক্যটি হলো আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থেকেও দলে মনোনয়ন কেন্ত্রীক বিভক্তি ও কোন্দল সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছে।
আওয়ামীলীগ ও তার সরকারের অ-যৌক্তিক, জন বিরোধী কোন কাজের সমালোচনা করলেই তারা আপনাকে মুহুর্তে বানিয়ে দেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরের লোক। বিএনপির ভূলটি, দৈন্যতাটি ধরিয়ে দিলেই আপনি আওয়ামী পন্থী। দলাদলির, রাজনৈতিক দৈন্যদশার বিভাজন দেশটাকে যে ভাবে গ্রাস করেছে তা হতাশাজনক, বেদনাদায়ক। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হবার যোগ্যতা না থাকা ব্যাক্তিরা দেশে এখন এমপি হচ্ছেন, এ অভিযোগ রাজনীতিবিদ দের-ই।
মুল লেখার নিহিত বার্তাটি এটুকুতেই আমার পাঠকের কাছে পৌছুঁতে পারবার। তবু আরও মিনিট দেড়েক সময় আপনার কাছে চেয়ে নিচ্ছি।
চার
এবার রাজনীতির নষ্টাচারের উল্টোপিঠের একজন কৃতজ্ঞ তিন বারের এমপির আংশিক ত্যাগ স্বীকারের গল্পটা বলি। যিনি এবার তাঁর পুরনো প্রতিদ্বন্দীকে স্রেফ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জিতিয়ে আনতে নির্বাচন করছেন না। অথচ, স্বতন্ত্র দাড়ালেও তিনি ফ্যাক্টর। কুলাউড়া থেকে সুলতান মনসুর ও এম এম এম শাহীন ২০০১ এর পর আর এমপি হতে পারেন নি। অথচ তিনি ২০০৮ সালে এ আসনে নৌকা, ধানের শীষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হওয়া মানুষটার নাম নবাব আলী আব্বাস খান। মৌলভীবাজার-২ আসনের তিন বারের সাবেক সাংসদ। এ আসন থেকে তিনবার এমপি হবার রেকর্ড কেবল কুলাউড়ার মাটির নবাব খ্যাত এ বিনয়ী, সহজ-সরল মানুষটিরই। তিনি তাঁর ২৪ বছর বয়সে রাজনীতিতে এসে নিজ আসনে ঢাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে হারিয়ে এমপি হয়েছেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের শেষ বেলায় এসেও এখনো তার নিদেনপক্ষে একটা ভাঙ্গাচোরা দুলাখ টাকা দামের গাড়ীও নেই। অথচ, জন্মসুত্রে নওয়াব আলী আমজাদের বংশধর। আজীবন দাদার আমলের জমিদারীর সম্পত্তি বেচেঁ রাজনীতি করেছেন। ২০০৮ সালে সুলতান মনসুর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচন না করায় ভোটের মাঠে সরাসরি আলী আব্বাসের পক্ষে ছিলেন। সে সমর্থনের প্রতিদান দিতে তিনি এবার সুলতানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এবং প্রমান করেছেন তাঁর মতো কিছু মানুষ এখনো কিছুটা হলেও এমপি হবার লোভ লালসাকে সংবরন করবার ক্ষমতা রাখে। অন্তত তাঁর মতো কিছু মানুষ দেশের সব নির্বাচনে আদর্শ আর মার্কা রাতারাতি লিঙ্গান্তর করে স্বতন্ত্রের নামে সুবিধাতন্ত্র করে না।
লেখক :: যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৯ নভেম্বর ২০১৮/ এমএসি/আআ