আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

একজন মতিউর রহমান: প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, সাহসী সাংবাদিক, দক্ষসংগঠক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-০৮ ২০:৩২:০৩

আনহার সমশাদ :: শিক্ষায়-পোষাকে মৌলভী ধার্মিক। মার্জিত ব্যবহার, সদালাপী, একজন অসাম্প্রদায়িক উদার মানষিকতায় সচেতক মানুষ। ট্রাভেল ব্যবসা'র পাশাপাশি সামাজিক সচেতন মানুষ হিসেবে সদা-তৎপর প্রাণবন্ত মতিউর। হজ্জ এজেন্সি পরিচালনার সাথে জড়িত তাই বহুবার পবিত্র হজ্জ পালন করার সৌভাগ্যবান তিনি।

মৌলভীবাজার ২৪ সম্পাদক অনুজপ্রতিম মাহবুবুর রহমান রাহেলের অফিসে প্রথম পরিচয় হয়। পরিচয় শুরুতে মনে যায়গা করে নেয়ার মতো গুন ছিলো তার। আমার কাছে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে মতিউর রহমান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। প্রেসক্লাবের বাহিরে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িতদের একটি প্লাটফর্ম জরুরী ছিলো। বিভিন্ন জাতীয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগণ প্রেসক্লাবে আবেদন নিবেদন করে সদস্যভুক্তি হতে পারছিলেননা। কতিপয় দায়ীত্বশীলদের হিনমন্যতা নতুন ও পুরাতনদের প্রবেশে বাধাগ্রস্থ করা ছিলো পূরনো ঐতিহ্য। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে বাহিরে থাকা মেধাবী সাংবাদিকদের একিভুত করে রাখার চেষ্টা করি। অনলাইন গণমাধ্যমকে নাক ছিটকানো পরিস্থিতি থেকে টেনে তুলতে যে কয়েকজন নেতৃত্ব দেন তার মধ্যে মতিউর রহমান ছিলেন অন্যতম।

তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার স্যারের উদ্যোগে ‘অনলাইন প্রেসক্লাব’ নামে সারাদেশব্যপী সংগঠন মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। (যদিও বাহিরে থাকা সাংবাদিকদের ইউনিটির কারণে পরে ডেকে নিয়ে সম্মানের সহিত সদস্যপদ প্রদান করা হয়)। মতিউর রহমানের সাংবাদিকতা পেশায় খুব বেশী দিন হয়নি। তবে কম সময়ে পরিচিতি ছিল ঈর্ষনীয়। সামাজিক তৎপরতা'র ফলে সকল শ্রেণী পেশা'র মানুষের কাছে প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেন।

সামাজিক অসংগতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিলেন আপসহীন। অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্বের পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
মতিউর রহমান চার সন্তানের জনক। দুই সন্তান শারীরিক প্রতিবন্ধী, এমন কঠিন পারিবারিক প্রতিবন্ধকতায় মতিউর সামাজিক সাংগঠনিক কাজে খুব তৎপর ছিলেন। একজন দক্ষ সমাজ সচেতন দেশপ্রেমী তার দায়ীত্ববোধ থেকে ভালো কাজে নিজেকে জড়িত রেখেছেন।

ক্ষণ জন্মা মতিউর গত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পারি দিয়েছেন। দুই প্রতিবন্ধী শিশুসহ চার সন্তান, স্ত্রী, পরিবার, বন্ধুমহল ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। মতিউর রহমান আমাদের মাঝে নেই বিশ্বাস করতে পারছিনা। দয়ালু আল্লাহ তাকে বেহেশতের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করুন।

সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীগণ এতিম শিশুদের সার্বক্ষণিক খোঁজ নিয়ে নিজেদের মহানুভবতার সাথে জড়িত করি।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন