আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আমাদের সচেতন হতে হবে...

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-১৫ ০০:২৭:৪৯

মেহের হোসেন জাকির :: শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহি সংগঠন, উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহি ও সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী ঢাকার কার্জন হলে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির রাখাল রাজা ও রাজনীতির মহাকবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬দফা, ১৯৬৮ সালের আয়ূব বিরোধী আন্দোলন, , ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন সহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে "মুজিব বাহিনী" নামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং ১৭ হাজার নেতৃবৃন্দ শহীদ হোন।

ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭১তম বছরে পদার্পন করেছে ঐতিহাসিক এই ছাত্র সংগঠনটি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সৃষ্টি থেকে আজ অবধি প্রতিটি ইতিবাচক কাজের ব্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মানবতার মিছিল নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিটি সামাজিক কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।অধিকার আদায়ে
প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে দাড়িয়ে আন্দোলোনকে সফল করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একদল কুচক্রীমহল দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। যারা অনুপ্রবেশ করছে ছাত্রলীগে তারা সুযোগ সন্ধানে এক-দুইটা ছবি তুলে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে। তারা তৃণমূলে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে ছাত্রলীগ হিসেবে। আজকাল অনেক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নিজের বলয় বড় করতে কোন প্রকার যাচাই-বাচাই না করে যাকে তাকে দলে ভীড়াচ্ছেন যার দায় সংগঠনের উপর পড়ে।

এমনও দেখা যায় ‘মাই ম্যান’ খোঁজে বের করতে প্রকৃত মুজিব আদর্শে বিশ্বাসীদের উপেক্ষা করে অনুপ্রবেশকারীদের প্রধান্য দেওয়া হয়, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বিভিন্ন মিছিল করা হয়, যা প্রকৃত ছাত্রলীগকে ব্যাথা দেয়। অবহেলা ও বঞ্চনায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রতৃক ছাত্রলীগের মেধাবীরা।

একটানা ৩য় মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিশাল বিজয় ও সরকার গঠনের পর থেকে তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারী নির্বাচনের পূর্বে সকল সংগঠনের লোক চিহ্নিত ছিলো, কিন্তুু ২০১৯ সালে এসে সবাই ছাত্রলীগ হওয়ায় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে৷ একটা বিষয় খেয়াল করলাম, সরকারের, ছাত্রলীগের ইতিবাচক কাজগুলোর প্রচারণা কম হয়, প্রচার হলে তা ভাইরাল হয় না। আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে সরকারের উন্নয়ন একসাথে প্রচার করতে হবে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতিদিনের মেসেজ টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে৷ কেউ গুজব ছড়ালে তা যুক্তি দিয়ে গুজব প্রমাণ করতে হবে। কেউ ভুল ও বানোয়াট কিছু বললে মাথা ঠান্ডা রেখে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে সে ভুল পথে চলছে, তাকে আলোর পথ দেখাতে হবে।

আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে ছাত্রলীগ মেধাবীদের সংগঠন, এখানে কোন সন্ত্রাস, কোন অপরাধী, কোন ইভটিজার বা কোন মাদকাসক্তির স্থান নেই।অবহেলিত, বঞ্চিত ছাত্রলীগের প্রকৃত মেধাবীদের অভিমান ভেঙে নেতৃত্বে আনতে হবে।

আমাদের সবাইকে আরও ইতিবাচক হতে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে ইতিবাচক কাজের প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রমাণ করতে হবে সকল ইতিবাচক কাজের ব্যান্ড এম্বাসেডর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হউক...

লেখক: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মৌলভীবাজার জেলা শাখা।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন