আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

শীতের হাওয়ার লাগল নাচন

আল-আমিন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০১-১৯ ০০:৪৯:৫৯

কুয়াশা মোড়া শীতের সকাল। চোখ বুজলেই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে গ্রামের দৃশ্য। কনকনে শীতে জবুথবু একটি গ্রামের ভোর। আমি খুব কাছ থেকেই গ্রাম দেখেছি, শৈশবে আমি গ্রামে শীতের এক আলাদা অনুভূতি অনুভব করেছি। আমি দেখেছি কুয়াশায় আচ্ছন্ন শীতের সকালে বাড়ির পশ্চিম পাশের বিশাল পুষ্পিত সরিষাখেত, সবুজ রং ধরা গমখেত, টমেটো , কাচামরিচসহ বিভিন্ন ধরনের সবজিখেত। বাড়ির দক্ষিণ দিকে পুকুরপাড়ের খেজুর গাছে নানু মিয়ার মাটির কলসে খেজুরের রস আহরনে দৃশ্য আমার চোখ এড়াতে পারে নি। আমি দেখেছি কুয়াশা ঢাকা গ্রামের উঠোনের একপ্রান্তে জলন্ত উনুন। সে আগুনের কাছে উনুনের ধার ঘেষে বসে থাকা বাড়ির ছেলেবুড়ো । হাসিখুশী বাড়ির গৃহিণীর হাতে ঢাকনা ঢাকা হাড়ির উপরে কাপড়ের ভাজে ভাজে উঠছে আতপ চালের গুড়োর সাথে নতুন খেঁজুর গুড় আর নারকেল কোরে দেওয়া ধোঁয়া ওঠা ভাপাপিঠা। এরপর চুলা থেকে ধোঁয়াসহ ভাপা পিঠা হয়ে একেকবার একেকজনের কাছে পরম মমতায় ও ভালোবাসার বাঁধনে গ্রামের চিরচেনা শীতকাল। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে পূর্ব দিকে সূর্যের আলো উকি দিয়ে ফুটে ওঠা মিষ্টি রোদও আমি দেখতে ভুল করিনি।

শীতের ঠান্ডা বাতাস আর শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় মুক্তোর মতো দানা সকাল-সন্ধ্যার কুয়াশার চাদর মুড়ে দেয় চারপাশ। ভোরের কাঁচা রোদ, হিমেল হাওয়া প্রাণে তুলে শিহরণ। পৌষ-মাঘ শীতকাল হলেও অগ্রহায়ণ থেকে শীতের শুরু। এসময় প্রকৃতিকে আমরা নতুন করে আবিষ্কার করি। কুয়াশায় আচ্ছন্নতা ঘিরে রাখা চারপাশে দিনের সূর্য ঢেলে দেয় মায়াবি রোদ। রাতের আকাশে রূপালি তারা খচিত শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়ে। চাঁদের ধবধবে সাদা জোছনার পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে ওঠে শিশির ধোয়া রূপার থালা।

আকাশে ছন্নছাড়া নীল মেঘের সাথে কাঁশবনের শন শন শব্দ আর পাখিদেরর কিচির-মিচিরে মুখর থাকে জনপদ। হৃদয়ে আসে প্রেমের বার্তা। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শীত পঞ্চমে অবস্থান। শীতকাল অন্য ঋতুগুলোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। গ্রীষ্মের মাঠ-ঘাট ফাটা প্রখর তাপ, বর্ষায় নূপুরের শব্দে অবিরল বারিধারা, শরতের স্নিগ্ধতা ও স্বচ্ছতা পেরিয়ে আসে ঋতুরাণী হেমন্ত। নবান্নের ঋতু হেমন্তের হাত ধরেই আগমন শীতের। মাঠের সোনালি ধান গোলায় ভরার পর আনন্দে মেতে থাকা মানুষের শরীরে লাগে শীতের কাঁপন। নতুন ধানের পিঠা-পায়েস নিয়ে সকালের মিষ্টি রোদ্দুরে পিঠ ঠেকিয়ে রসনা তৃপ্তি- শীতের অনুভূতি খেজুরের মিষ্টি রসের হাঁড়িতে পাটকাঠি ডুবিয়ে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের চুকচুক করে রস খাওয়ার দৃশ্য শীতের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। খেজুরের রস, পাটালি গুড়, কোঁচাভর্তি মুড়ি-মুড়কি, পিঠা-পায়েস, খড়-পাতার আগুন তাপানো, গমের ক্ষেতে পাখি-তাড়ানো, লেপ-কম্বলের উত্তাপ, কুয়াশা ঢাকা ভোরে ও সন্ধ্যায় আনন্দের শীত জনজীবনকে রাজ্ঞিয়ে তুলে। শীতের মিঠে রোদ, কুয়াশার চাদর, উঠোনের কোণে মাটির চুলায় রান্না, চুলার পাশে বসে বসে হাতের তালু গরম করে নেয়া, চায়ের কাপের সাদাটে ধোঁয়া, হলুদের ডালি বিছানো সষের্র মাঠ, হাট বাজারে ক্যাম্পাছারের মজমা, গ্রামের স্কুলমাঠে যাত্রাগানে মাতোয়ারা এসব গল্প এই শীতকে ঘিরেই।


শীতের সৌন্দর্য্য বিরাজ করে সরিষা ক্ষেতেও। মাঠের পর মাঠ জুড়ে ফুটে থাকা হলুদ সরিষার ফুল যেন বিছিয়ে রেখেছে হলুদ ফুলেল চাদরে। আর এই ফুল ও কলিদের উপর উড়ে চলা রঙ্গিন প্রজাপতি আর মৌমাছিদের নৃত্যে মন কেড়ে নেয়। মটরশুঁটি আর সবুজ ঘাসের ডগায় ঝুলে থাকে শিশির বিন্দু আর সকালের রোদের আলো ছড়ানো নানা রঙ। কনকনে শীতে গ্রামের চা দোকানে ভোর হতে জমতে থাকে আড্ডা । সবাই যে যার মতো শীতের চাদর, সোয়েটার গায়ে দিয়ে গল্পে আড্ডায় মেতে ওঠেন নিজেদের মতো করে।

শুস্ক এ ঋতুতে শুকিয়ে যায় খাল বিলের পানি। কোথাও হাঁটুজল, কোথাও খটখটে চর জাগে। তাই গ্রামের কিশোর-কিশোরীরা মেতে ওঠে অল্প পানিতে মাছ ধরার উৎসবে। সেইসঙ্গে খাবারের খোঁজে খাল-বিল আর মাঠে-ঘাটে ঝাঁকে ঝাঁকে নামে সাদা বকের ঝাঁক। ঝাঁকে ঝাঁকে সাদাফুলের মত বসে থাকা বকের শুভ্রতাও শীতের এক অপরূপা দৃশ্য তৈরি হয়।
শীতের বাতাসে শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনির সাথে আমরা দেখি গাছের পাতাগুলো বিবর্ণ রূপ ধারণ করে। একটা সময়ে কিছু গাছের পাতা ঝরে পড়ে। বাকী গাছের পাতাগুলো ধুলাবালি মেখে কদর্য রূপ ধারণ করে। সকল ঋতুরই যেমন আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেমনি শীতের বৈশিষ্ট্য এই সৌন্দর্য। কুয়াশা মোড়া নিঝুম রাতে আর সকালে পুকুরের পানি ধোঁয়া ছড়িয়ে আসে মিষ্টি রোদ । তখন কুয়াশা ভেদ করা রূপালী রোদ গাছের পাতার উপর চিকচিক করে। রাতে টিনের উপর শিশির ঝরে। নদীর পানি শুকিয়ে যায়। শুকনো পুকুর বা ডোবার তলায় মেয়েরা কুতকুত, বউছি আর ছেলেরা হাডুডু বা দায়রাবান্দা খেলে। কেউবা খেলে কানামাচি ভোঁ ভোঁ। বাউল সাধকরা একতারা হাতে নিয়ে বাউলা গান গায়।
এই শীতের সকালে ছেলেমেয়েরা দলবেঁধে মক্তবে যায়। গাছ থেকে খেজুর রস নামায় গাছি। সে রসের গন্ধে চারিদিক মৌ মৌ করে। দূর্বাঘাসের মাথায় বিন্দু বিন্দু শিশির ফোটে। কলমির ডগা আর বেগুন গাছেল মাথায় কুয়াশা জমে থাকে। সে শিশির বিন্দুকে দেখে মনে হয় কিশোরী মেয়ের নাকফুল। শিশিরের নূপুর পায়ে শীত সমাগত হয় বাংলার মাঠে ঘাটে । তাই শীত এলে কুমড়ো ফুল হাসে। দূর্বাঘাস শিশিরের নূপুর পায়ে হাঁটে।
শীতের সকাল মানেই নতুন কোন পিঠার স্বাদ নেওয়া। শীত এলে তাই পিঠা বানানো হয় আনন্দ নিয়ে। ভাপাপিঠার সাথে, চিতই, পাকান, ম্যারা, ফুলপিঠা, পাটি সাপটা, পুলি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে চিতই বা রসপিঠা খাওয়া সবচেয়ে বেশি মজার। শীতের সময় গ্রামাঞ্চলে গেলে দেখা যায় বাড়িতে বাড়িতে পিঠা বানানোর ধুম। শীতে খেজুর রসের পায়েস এক মজাদার খাবারও তৈরি হয়। শীতের সন্ধ্যায় সন্ধ্যেরস খাওয়ার মজাই আলাদা।


আবহমান বাংলার অন্যতম ঋতু এই শীতকে নিয়ে দেশের কবি, সাহিত্যিকরা রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা, প্রবন্ধ,গান। এঋতু নিয়ে সবচেয়ে বেশি কবিতা লিখেছেন জীবনানন্দ দাশ।কবিগুরুও লিখেছেন অসাধারণ কবিতা যেমন-বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে,
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে।
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু।
তিনি প্রকৃতি নিয়ে গান রচনায় লিখেছেন-
শীতের হাওয়ার লাগল নাচন আমলকির এই ডালে ডালে।
পাতাগুলি শিরশিরিয়ে ঝরিয়ে দিল তালে তালে।
উড়িয়ে দেবার মাতন এসে   কাঙাল তারে করল শেষে,
তখন তাহার ফলের বাহার রইল না আর অন্তরালে।
শীতকে কেউ কেউ নীরবতা ও অন্ধকারের অনুভূতি বলে প্রকাশ করেন। পৃথিবীজুড়ে কবিগন শীতকাল নিয়ে যে সাহিত্য রচনা করেছেন, তাতে পাওয়া যায় মানুষের সম্পর্কের প্রতি বিশেষ মনোযোগ বা সম্পর্ক নবায়নের বিভিন্ন প্রসঙ্গ ও মাত্রা। শীত ঋতু বাঙালির জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেছে।
পৌষের প্রবল শীতে সুখী যেজন।
তুলি পাড়ি আছারি শীতের নিবারণ,
মাঘ মাসে কাননে তুলিতে নাহি শাক।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন-
শীত, যদি তুমি মোরে দাও ডাক দাঁড়ায়ে দ্বারে। সেই নিমেষেই যাব নির্বাক অজানার পারে। জসীম উদ্দীনের কবিতায় শীতকে একান্ত নিজস্ব ঋতুরূপে ফুটিয়ে তুলেছেন।যেমন-
ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে, সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে। আমার সাথে করত খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই, সরষে ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে একটু খেলে যা।
নগর জীবনে শীতের আমেজ আলাদা। গ্রামে প্রতি পদক্ষেপে আলাদা করে অনুভব করা যায় শীত ঋতুর তাৎপর্য্য। বাংলার পথে-প্রান্তরে, মাঠেঘাটে তাকালেই চোখে পড়ে খেজুরগাছের আগায় ঝুলছে ছোট্ট রসের হাড়ি। আর ফসলের মাঠজুড়ে সোনালি আভায় সকাল সন্ধ্যা জমে হিম হিম কুয়াশা। শীতে জ্বাল দেওয়া গরমরস বা কাঁচারস দুই এর স্বাদই অতুলনীয়। আর রসে ভেজানো রসের পিঠাও সবার প্রিয়।
এসময় গ্রামের সন্ধ্যাকাশে উড়ে চলে অতিথি পাখির দল। পাখিদের এই কিচির-মিচির শব্দ শীতের প্রকৃতি দোল দিয়ে যায় মনকে। শীতের দিনে ভোরে ঘুম ভাঙ্গলেও বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না । তুলে রাখা লেপ কাঁথা কম্বলের ভিতর এক অসম মজা অনুভব হয়। তুলোর ফাঁকে ঢুকে থাকা রোদের গন্ধ এসময় ঘুমের দীর্ঘতা বাড়িয়ে দেয়।


সৃজনশীলতার বিকাশ এবং ভাবনার সময়ও এই শীত ঋতু। এই সময় যাত্রা ও পালা গানের শিল্পীরা বেরিয়ে পড়ে গ্রামের পথে প্রান্তরে। সুফি ও বাউল ভাব দর্শনে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠীরা মেতে ওঠে নানা অনুষ্ঠানে। বিভিন্ন মরমী সাধকের মাজার ও খানকা ঘিরে শুরু হয় ওরস ও মেলা। মুসলমানেরা ওয়াজ মাহফিল ও তফসিরুল কোরআনের মাধ্যমে নিজেদের বিশ্বাস, ইমান ও আকিদার কাজ করে। এই সময়টাতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা স্বচ্ছল থাকার কারণে গ্রামে গ্রামে চলে বিয়ে, সুন্নতে খতনার আয়োজন। এসবের মাধ্যমে বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতিতে যোগ হয় নতুন মাত্রা। হাটবাজারগুলো ভরে ওঠে সবুজ সতেজ শাক-সবজিতে। বাংলাদেশে পিঠা-পুলির অবস্থান অন্যান্য মজাদার খাবারের শীর্ষে। শুধু স্বাদে নয়, এগুলো বাজ্ঞালির সংস্কৃতিরও ধারক। পিঠার খাঁজে খাঁজে ফুটে ওঠে নিবিড় শিল্প নৈপুণ্য। পাটিসাপটা, দুধপুলি, ভাজাকলি, নারিকেলী, ভাপা, চিতই নকশীপিঠা ইত্যাদি। এছাড়া দুধচিতই, বড়াপিঠা, ক্ষীরপুলি, চন্দ্রপুলি প্রভৃতি পিঠারও বেশ প্রচলন রয়েছে। বাঙালির খাদ্য রুচিকে বাস্তবিকই একটি স্বাতন্ত্র্যরূপ দিয়েছে শীতকালের খেজুরের রস। বছরের অন্যান্য সময় বাজারে টাটকা সবজি কম পাওয়া গেলেও শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণ শীতকালিন শাক-সবজি পাওয়া যায়। এ সময় ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, সিম, ঢেঁড়স, বেগুন, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, করলা, আলু, বরবটিসহ শীতকালীন সবজিতে ভরপুর থাকে বাজার। পালং শাক, মুলা শাক, লাল শাকসহ নানা জাতের টাটকা শাকও পাওয়া যায় বাজারে। প্রকৃতিও শীতের আমেজ শিশিরভেজা এই সময়ে প্রকৃতিতে সৌরভ ছড়ায় শীতের ফুল। শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে গোলাপ আর গাঁদা ফুলের চাষ হয়। গ্রামের খেতে শোভা পায় গোলাপ আর গাঁদার বাগান। আর নার্সারিগুলো শীতকালীন ফুলে রঙিন হয়ে উঠে। শীতের শিশির সময়ে দেশি ফুলের মধ্যে মল্লিকা, ডালিয়া, নয়নতারা, মাধবীলতা অন্যতম। দেশি ফুলের পাশাপাশি বিদেশি ফুলের মধ্যে শীতের প্রকৃতি রাঙিয়ে তোলে নানা বিচিত্র ফুল। এসময় জীবনের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা প্রজাতির পাখি ক্লান্তিহীনভাবে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে নির্মল সুখ আর আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে এ বাংলায়। শীত মৌসুম শুরু হলেই অতিথি পাখির আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠে বাংলার নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর, ঝিল, জলাশয় ও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। এ সময় অতিথি পাখির গুঞ্জনে গ্রাম বাংলা জেগে ওঠে নতুন রূপে। পাখিরা প্রতি বছর অগ্রহায়ণের শেষে ও পৌষ মাসের শুরুর দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে আসতে শুরু করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বলে এই পাখিগুলোকে অতিথি পাখি বলা হয়। শীতজুড়েই থাকে অতিথি পাখিদের বিচরণ। আমাদের দেশে শীত মৌসুম শুরু হতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বার্ষিক শিক্ষা সফরের আয়োজন হয়ে থাকে। আর শীতের সময়ে গ্রামে গ্রামে চলে পিকনিক খাওয়ার ধুম। গ্রামের বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েরা চাঁদা তুলে মাইক বাজিয়ে খোলা বিলে কিংবা মাঠে পিকনিক উৎসব আর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা চড়ুইভাতিতে মেতে ওঠে। এ এক নির্মল আনন্দ।

লেখক: কথাসাহিত্যক ও প্রাবন্ধিক।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন