আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
বিপ্লব কুমার পোদ্দার :: দিকে দিকে অাজ অনৈতিকতার প্রতিযোগীতা চলছে। নাম থাকে গনতন্ত্রের। সে হোক উন্নত বা উন্নয়নশীল কোন দেশ। ক্ষমতায় যারা অাছেন যে কোন কিছুর বিনিময়ে তারা ক্ষমতা অাকড়ে থাকতে চান। এই যেমন ধরা যাক থেরেসা মে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটেনের সংসদের ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে হেরেছেন। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়েন নি।
থেরেসার পুর্বসুরী ডেভিট ক্যামেরুন একই ছুতোয়ঁ ক্ষমতায় থেকে যেতে পারতেন। কিন্তু, তিনি গনতন্ত্রের মুল অাদর্শকে সমুন্নত রেখে ক্ষমতার মোহ থেকে নিজেকে মুক্ত করে বিদায় নিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকালে অামরা দেখতে পাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বৈরতান্ত্রিক অথবা খামখেয়ালীপুর্ন অবস্থান সমগ্র দেশটিকে বিপদের মুখে দাড় করিয়েছেন।
এবার ফিরে অাসি বাংলাদেশের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন প্রসংগে। যদিও অগনিত মানুষ অগনিত লেখনীর মাধ্যমে যে যার দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন নির্বাচন ২০১৮ কে। কিন্তু, অামার কাছে মনে হয় নির্বাচনী ফলের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়ী নন। তাই ছোটবেলার একটি ঘটনা মনে পড়ে যায়। তা হলো কোন এক ছাত্রের অংকে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১১০ পাবার বিষয়টি। পরে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, সে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তরের চেয়ে একটি অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তরও দেয়। উদ্দেশ্য যে কোন মুল্যে তাকে ১০০ পেতেই হবে। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশের সব বিভাগগুলোই তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য একটু বেশি দিয়েছেন। ঠিক সেই অংক পরীক্ষার অাদলে। যার দায়িত্বের সবটুকু এসে পড়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে।
অার অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো ছিলো নববধুর হানিমুন পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত। বিরোধী দল ভুলে গিয়েছিল, শুধুমাত্র সমর্থক দিয়ে নয়, মাঠের ১১ জন খেলোয়াড় পরিকল্পনা মাফিক খেললেই বিজয় সুনিশ্চিত হয়। নতুবা কোটি কোটি সমর্থককে অজানা সমুদ্রে উদ্বেল ঢেউয়ে নিক্ষেপ করার শামিল হয়। ঠিক যেভাবে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী নতুন হামলা এবং মামলার শিকার হয়ে অাজ ঘরছাড়া।
এরপরই অামরা জানতে পারি, বিএনপি নাকি নতুন করে তার সংগঠনে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সে পরামর্শদাতারা সম্পুর্নভাবে ব্যর্থ হলেন তাদের ভিতরে এমন কি নতুন অালাউদ্দীনের চেরাগ এসে উপস্থিত হলো? একই ব্যার্থ বুদ্ধিদাতাদের মাধ্যমে ব্যর্থতা ধুয়ে নাকি নতুন যুগের সুচনা করবেন?
যে বিএনপি জিয়াউর রহমানকে ভুলে যায়, যে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কোন অাগ্রহ দেখায় না, সে বিএনপি নিয়ে সাধারন মানুষ অথবা তৃনমুল বিএনপির কতটুকু অাগ্রহ থাকবে সেটা ইতিহাস বিচার করবে।
এবার অামরা অাসি ভারতের বিজেপী সরকারের নতুন ঘৃন্য পরিকল্পনার বিষয়ে। যেখানে বাঙালীকে দ্বিধাবিভক্ত করে এবার শুধুমাত্র বাঙালী মুসলমানকে বাংলাদেশে জোর করে পাঠানোর অপচেষ্টা চলছে।বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে অসহায় রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষ অাজ পরিত্রান চায় দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের ছোবল থেকে।
অাজকের বাংলাদেশ সরকারের কাছে উপরের বিষয়গুলোর সুষ্ঠ্য সমাধান কল্পে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে দেশের স্থিতিশীলতা দেখতে চায় দেশের মানুষ। একই সাথে গনতন্ত্রের স্বার্থেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী করছি।
লেখক- লন্ডনে কর্মরত অাইনজীবি ও সমাজকর্মী