সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১০ ১৮:৪০:০০
সুজাত মনসুর :: ব্যক্তি ও সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেখানে চলছে চরম পচনশীলতার চাষ। সেখানে মিডিয়া জগত ও এর বাসিন্দারাও রেহাই পাবার কথা নয়। কেননা, মিডিয়া কর্মীরাও রক্ত মাংসের মানুষ এবং পচনশীল সমাজেরই অংশ। শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্ব মিডিয়াতেই এই পচনশীলতা কমবেশি বিদ্যমান।
তবে এই পচনশীলতার মাঝেও যে ক'জন সাংবাদিক সততা ও নিষ্ঠার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের মধ্যে আমাদের সুপ্রিয় অগ্রজ কবি ও সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ হচ্ছেন অন্যতম পুরোধা। স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন বলতে হয়তো তাঁর ছিলো না, কিন্তু সুখি ছিলেন নিজের মতো করে, থাকবেনও আজীবন।
জাফর ভাই এখন একাধারে কবি, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক। সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক হিসেবে। আশির দশকের শুরুতে যে জাফর ওয়াজেদ-এর সাথে আমার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা হয়েছিলো, আমার জানামতে তিনি ছিলেন কেবলই একজন রাজনৈতিক কর্মী ও কবি। আশৈশব মুজিবাদর্শের একজন শর্তহীন কর্মী হিসেবে পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ পুনর্গঠনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো, হয়েছিলেন ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক। ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীতে।
অত্যন্ত সজ্জন ও বন্ধু বৎসল জাফর ওয়াজেদের সাথে দীর্ঘ বিচ্ছেদ ঘটে আমি প্রবাসী ও বেশ কয়েক বছর রাজনীতি ও লেখালেখির জগৎ থেকে নিজেকে গুছিয়ে নেবার কারনে। আবার যোগাযোগ স্থাপিত হয় দুই/তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। যোগাযোগ স্থাপিত হওয়া মানেই আগের মতো হৃদ্যিক সম্পর্ক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, আগের মতোই আছেন। অগোছালো জীবন আর সততা, নীতি-নিষ্ঠতা আর আদর্শের পতাকা হতে বহমান। ভাঙবেন কিন্তু মচকাবেন না। সমাজের পচনশীলতা তাঁকে বধ করতে পারেনি।
আমরা যারা তাঁর ভক্ত, সজন, বন্ধু, জাফর ভাইয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ভাবিত হয়েছি, শংকাবোধ করেছি। কিন্তু তিনি একেবারেই নন। ভরসা রেখেছেন নীতি-আদর্শ আর বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর। আজ জাফর ভাই জিতে গেলেন।
আবারো জয়ী হলো সততা, নিষ্ঠা আর আস্থা। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তটি নিলেন কবি জাফর ওয়াজেদকে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে। মর্যাদা রাখলেন একজন শর্তহীনভাবে মুজিবাদর্শ অন্তরে লালনকারী কবি ও সাংবাদিকের
আস্থা ও ভরসার। অভিনন্দন ও শুভ কামনা জাফর ভাই। জয়তু শেখ হাসিনা। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।