সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-২২ ১১:৪৭:৫২
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকায় একটি শিশুর গলাকাটার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে ওই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটককৃত যুবকের নাম জয়নাল হোসেন (৩৫)। সে উপজেলার চারাগাঁও সংসারপাড় গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। রবিবার দুপুরে পুলিশ কোর্টের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কলাগাও গ্রামের ফিরোজ মিয়ার শিশু প্রতিবন্ধী ছেলে মতি মিয়া (১৪) কলাগাও বাজার থেকে আসছিল। এসময়ে নদীর তীরে একা পেয়ে জয়নাল মিয়া তার ছুরি লাগিয়ে গলাকাটার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শিশুটি দৌড়ে কলাগাও গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সামসুদ্দিন মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে বাড়ির লোকজন ও পথচারীরা জয়নাল হোসেনকে গণধোলাই দিয়ে একটি ঘরে আটক করে রাখে। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার শত শত লোক তাকে মারার জন্য জড়ো হয়।। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে।
স্থানীয় ইউপি ওয়ার্ড সদস্য হাসান মিয়া ও কয়লা ব্যবসায়ী আনিছ মিয়া জানান, শিশু মতি মিয়া প্রতিবন্ধী, সে দৌঁড়ে এক বাড়িতে এসে জানায় ছুরি লাগিয়ে তার গলাকাটার চেষ্টা করেছে জয়নাল হোসেন। পরে স্থানীয়রা জয়নালকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
তারা জানান, জয়নাল উপস্থিত সকলের সামনে এ ঘটনা স্বীকার করেছে। ছুরিটি সে পল্লী চিকিৎসক সামসুদ্দিনের পুকুরে ফেলে দিয়েছে।
ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাড়িঁর এ এস আই কবির হোসেন জানান, জয়নাল হোসেন নামের এক যুবককে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান জানান, আকটকৃত ব্যাক্তি কিছু বলছেনা। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে সে এমনটা করেছে। তার বিরুদ্ধে মতি মিয়ার বড় ভাই তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ জুলাই ২০১৯/এমএআর/ডিজেএস