Sylhet View 24 PRINT

তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-২২ ১৭:৫৫:৫৫

তাহিরপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাইদুল্লাহ মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও এডিপি খাতের প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ও তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানরা। বুধবার বিকালে তাহিরপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম, মো. বোরহান উদ্দিন, হাজী আজাহার আলী, আবুল কাশেম, আপ্তাব উদ্দিন, বিশ্বজিৎ সরকার, আব্দুর জহুর এই লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে সকালে উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সভাটি শুধু মাত্র দায়িত্বভার গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বিষয়ে কোন আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। পরবর্তীতে ২৫ জুন সকালে উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এতে ৯ মে তারিখে অনুষ্ঠিত মাসিক সভার কার্যবিবরণীতে অনেক প্রকল্পের আলোচনা ও প্রস্তাব সিদ্ধাস্ত আকারে গৃহীত হয়েছে বলে দেখানো হয়। যা নিয়ে পূর্ববর্তী সভায় কোন রূপ অলোচনাও করা হয়নি। বিষয়টি উপজেলার ৭ ইউপি চেয়ারম্যানগণ সভার সভাপতি করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলকে অবহিত করেন। তখন তিনি সভার কার্যবিবরণীতে বিগত সভায় ‘গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর’ বিষয়ে সংশোধনী আনবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন।

অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, সভায় সকল ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে উন্নয়ন ও এডিপি খাতে কত টাকা বরাদ্দ আছে জানতে চান। তিনি শুধুমাত্র এডিপি খাতের ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বরাদ্দের কথা জানান। এডিপি খাতের বরাদ্দের টাকা দিয়ে সকল ইউপি চেয়ারম্যানগণের সাথে সমন্বয় করে বেঞ্চ ক্রয় করে  উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমবন্টন করার প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটি সভায় সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়। পরে ৩য় সভায় বিগত সভাগুলোর কার্যবিবরণী পেশ করা হলে তাতে তারা ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করেন। ১ম সভার যে সংশোধনী আনার কথা ছিল তাও করা হয়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রকৌশলী তাদের সঙ্গে কোন সমন্বয় না করেই এডিপি খাতের ৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় ৮২ জোড়া বেঞ্চ নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্রয় করেন। কিন্তু ক্রয়কৃত ৮২ জোড়া বেঞ্চের বাজারমূল্য সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা হবে বলে তাদের ধারণা। এ ছাড়াও ৮২ জোড়া বেঞ্চ উপজেলার ২ ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে বাকি ৫ ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়। কেন সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় না করে ৮২ জোড়া বেঞ্চ ক্রয় ও বিতরণ করা হলো তা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে তিনি দাম্ভিকতা ও স্বেচ্ছাচারী মনোভাব দেখিয়ে বলেন, উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন ও সমন্বয় সভার সকল সিদ্ধান্তই আমার একক সিদ্ধান্তেই গৃহীত হবে। তার এমন আচরণে সকল ইউপি চেয়ারম্যানগণ সভা বর্জন করে চলে আসেন। এ সময় তিনি চিৎকার করে তাদেরকে দেখে নিবেন ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিও দেন বলে চেয়ারম্যানগণের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত নই।’

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যাতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ আগস্ট ২০১৯/রাজ্জাক/আরআই-কে

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.