Sylhet View 24 PRINT

দোয়ারাবাজার উপজেলা খেয়াঘাটে নানা অনিয়ম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৬ ০০:১৭:১০

তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা খেয়াঘাটে ভীড়তে গেলেই মেলে নানা অনিয়মের বেড়াজাল। এই অনিয়মের ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জেলা সদরে যাতায়াত করা সুরমা নদীর উত্তর পাড়ের চার ইউনিয়নসহ উপজেলা সদরে আসা দক্ষিণ পাড়ের তিন ইউনিয়নবাসী। একমাত্র ছোট্ট একটি স্টিলের ইঞ্জিন নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন নদীর উভয় পাড়ের জনসাধারণসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাজারো জনতা।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টানানো হয়নি জেলা পরিষদ কর্র্তৃক প্রদত্ত যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা। ওই সুবাদে যাত্রী, মালামাল ও যানবাহন পারাপারে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদারের নিযুক্ত লোকজন। সাধারণ যাত্রী পারাপারে ২ টাকার স্থলে নিচ্ছেন মাথাপিছু ৫ টাকা। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই সেখানে নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। গরু, ছাগল, ভেড়া, রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল পারাপারের বেলায়ও একই অবস্থা। অপরদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের খেয়া পারাপার ফ্রি হলেও তাদের কাছ থেকেও আদায় করা হচ্ছে নিয়মিত ভাড়া। মূলতঃ কেউই রেহাই পাচ্ছেনা তাদের কবল থেকে। এ ছাড়া ছোট্ট একটি নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পারাপারকালে অতীতে ভরা বর্ষা মওসুম ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

অপরদিকে দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরস্থ ওই খেয়াঘাটটি প্রতিবছর জেলা পরিষদ কর্তৃক ইজারা প্রদান করা হয়। অধিক লাভজনক হওয়ায় এর ইজারা নিয়েও চলে নানা অনিয়ম। প্রতি বছর দরপত্র আহবান করা হলেও শেষমেষ কোন অদৃশ্য কারণে ক্রেতাদের দরপত্র গ্রহন করা হয় না। প্রতি বছর একই বক্তির নামে ইজারা প্রদান করা হয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ২০১২ সালের এক স্মারকপত্রে আলোচিত খেয়াঘাটটি প্রতি বছরই যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সমিতি সুনামগঞ্জের অনুকুলে ইজারা প্রদান করা হলেও বাস্তবে তা আজও প্রতীয়মান হয়নি। মূলত: ওই সময় থেকেই একই ব্যক্তিই ইজারা পেয়ে থাকেন। তবে জানতে চাইলে ওই সমিতি কর্তৃপক্ষ বলেন, গত দুই বছর ধরে আমরা ওই খেয়াঘাটের ইজারা পেয়েছি।

দোয়ারাবাজার উপজেলা নদীভাঙন সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার অধিক ব্যস্ততম ওই খেয়াঘাটে দীর্ঘদিন যাবত নদী পারাপারে জনপ্রতি ২ টাকার স্থলে ৫ টাকা করে বিধি বহির্ভূত ভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে। সন্ধ্যা যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে রিকশা, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেলসহ সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, তিনগুণ বা ততোধিক হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় যেন নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত অর্ধযুগ ধরে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় মুরাদপুর গ্রামের সমির আলী অধিক হারে এককভাবে ওই খেয়াঘাটের উপস্বত্ব ভোগ করছেন। এতে নদীর উভয়পাড়ের সহস্রাধিক মানুষ আর্থিকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমরা এলাকার সচেতন মহল এর প্রতিকার চাই। তাই এলাকাবাসীর ভোগান্তি লাঘবে অচিরেই নির্ধারিত হারে টোল আদায়ের সাইনবোর্ড যথাস্থানে টানানোর নির্দেশ প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। খেয়া পারাপারের নির্দিষ্ট তালিকা সাটানো না হলে আমরা এলাকাবাসী মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হব।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ নভেম্বর ২০১৯/টিআই/পিডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.