Sylhet View 24 PRINT

তাহিরপুরে সর্দি কাশিতে মৃত গার্মেন্টস কর্মীর দাফন, ১২ পরিবার লকডাউনে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৩ ১৪:৩৬:৫৩

এম.এ রাজ্জাক, তাহিরপুর :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জ্বর, সর্দি কাশিতে গার্মেন্টসকর্মী মৃত ব্যক্তির ১২ পরিবারের বাড়ীর সামনে লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে লকডাইন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এই পরিবারগুলোকে লকডাউনে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মৃত ব্যাক্তির আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে গিয়ে লকডাউনের নির্দেশনা দিয়ে লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে দেন। লকডাউনে থাকা পরিবারগুলো হল, মৃত ব্যাক্তি জহিরলের পিতা কফিল উদ্দিন (৫০), মা তাসলিমা বেগম (৩৫), স্বজন আব্দুল মনাফ (৭৫), আবুল বাদশা (৩৫), গাজীপুর থেকে লাশ নিয়ে আসা কুলসুমা (২৬), মালিক উস্তার (১৬) ও আত্মীয় মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পরিবার, মনা মিয়ার পরিবার, আব্দুল মালিকের পরিবার, মঙ্গল মিয়ার পরিবার ও মোক্তার মিয়ার পরিবার।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় তাহিরপুর উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের জহিরুল নামের এক জনকে নিজ বাড়ির মাহতাবপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বুধবার সন্ধায় তিনি জ্বর, সর্দি, কাশিতে মৃত বরণ করেন ঢাকার একটি হাসপাতালে। জহিরুল (২২) তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের কাফিল উদ্দিনের ছেলে। গত দুই বছর ধরে সে গাজীপুরে একটি গার্মেন্টেন্সে চাকরি করতো।

জহিরুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সপ্তাহখানেক সময় ধরে সে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিল। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় তার মরদেহ গাজীপুর থেকে সিলেট কোম্পানীগঞ্জের বালুচর গ্রামের কুলসুমা ও মালিক উস্তার নামে দুইজন মাহতাবপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। সংবাদ পেয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ মাহতাবপুর গ্রামে যান।

জহিরুলকে যারা গাজীপুর থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং লাশ ধোয়ানোর কাজ করেন আত্মীয় স্বজন সহ মোট ১২ পরিবারকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ্যে লকডাউন করে বাড়িতে লাল নিশানা টাঙ্গিয়েন দেন।
 
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, তিনি ঢাকায় যোগাযোগ করেছেন। তারা নির্দেশনা দিয়েছেন লাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগামী দুই সপ্তাহ লকডাইনে থাকার।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে ঢাকায় মারা যাওয়া ওই তরুনকে কাউকে না জানিয়ে তাহিরপুর উপজেলার মাহতাবপুর  গ্রামের বাড়ি এনে দাফন করা হয়েছে। এজন্য মৃত ব্যাক্তির সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ১৪ দিন লকডাউনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৩ এপ্রিল ২০২০/এমএআর/এসডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.