Sylhet View 24 PRINT

করোনাভাইরাস: বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তা হাওরের কৃষককুল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৯ ১৫:৫০:৫৮

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: একদিকে বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয়, অন্যদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। এই দুই নিয়ে দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মদন উপজেলার হাওরাঞ্চলের কয়েক হাজার কৃষক পরিবার।

এক ফসলি বোরো ধান কেটে গোলায় উঠাতে পারবে কিনা এ নিয়ে তারা অনিশ্চিয়তায় রয়েছেন। কৃষকের কষ্টার্জিত সোনালি বোরো ফসল শীষ থেকে ধানে রূপান্তরিত হয়েছে। চৈত্র মাসের শেষ দিকেই ধান কাটা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সোনালি ফসল কৃষকের ঘরে ওঠার কথা রয়েছে। কিন্তু সেই ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় আর করোনা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা, আতঙ্ক যেন কাটছে না সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকদের।

করোনাভাইরাস আতঙ্কে বাহির জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসার অনীহা প্রকাশ করায় সৃষ্ট শ্রমিক সংকট, পর্যাপ্ত ধান কাটার মেশিন না থাকা ও আগাম বন্যার পূর্বে বোরো ফসল ঘরে তুলা নিয়ে হতাশা তৈরী হয়েছে জেলার লক্ষাধীক কৃষকদের মাঝে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার সুনামগঞ্জেন বিভিন্ন হাওরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ২ লাভ ১৯ হাজার ৩০০ টন। যার চালের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৬২ হাজার ৪শ ৩৩টন। জেলায় এবার  ৩৩ টি হারবেস্ট মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সপ্তাহ ১০দিন পরে ধানকাটা পুরোপুরি শুরু হয়ে যেতে পারে বলে জানয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারনে ধানকাটায় শ্রমিকের সংকট দেখা দিতে পারে। শ্রমিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন পেশার লোকজনদের কৃষিকাজে শ্রম দিতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সফর আলী।

কৃষক জানান, বিগত বছরগুলোতে বোরো ধান কাটার জন্যে সুনামগঞ্জে আসতেন শ্রমিকরা। করোনাভাইরাসের আতঙ্কে লকডাউন অবস্থায় এবার ধান কাটতে  সুনামগঞ্জে আসতে অনিহা প্রকাশ করেছেন ভাগালোরা। তাই স্থানীয় শ্রমিকদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের।

এদিকে কৃষি বিভাগ থেকে ধানকাটার যে মেশিন দেয়া হচ্ছে তা প্রর্যাপ্ত ও সহজলভ্য না থাকায় ধান কাটায় তা ততোটা ভূমিকা রাখতে পারবে না বলে মনে করেন কৃষকরা। সময় মতো ধান কাটতে না পারলে অকাল বন্যায় ফসল ডুবি হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বুনিয়াদি কৃষক ঝুনু মিয়া জানান, এ বছর ১৭ কেয়ার জমিতে ধান চাষ করেছি। ধান গাছে ধান চলে এসেছে। সপ্তাহ দিন পরে কিছু ধান কাটতে পারবো। সিলেটের কানাইঘাট এলাকার ৬ জন ভাগালো ঠিক করে রেখেছিলাম। দুই দিন আগে ফোন করে তারা বলেছে ভাইরাসের কারনে আসতে পারবে না। এই সময়ে এসে ধান কাটা নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি। আমরা মতো এলাকার সকল কৃষক বিপদে আছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সফর আলী বলেন, এবার বোরো ধানের ভালো ফল হয়েছে। যার চালের উৎপাদন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৪শ ৩৩টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিতে পারে। আমরা বিভিন্ন পেশার লোকজনদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করছি যে ফসল কাটতে শ্রম দেয়ার জন্যে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৯ এপ্রিল ২০২০/এসএনএ/এসডি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.