Sylhet View 24 PRINT

দোয়ারাবাজারে আব্দুন নুর খুনের ঘটনায় থানায় মামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-০৪ ১৯:৪১:০৮

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের পল্লীতে আব্দুন নুর খুনের ঘটনার ৩ দিন পাড় হলেও ২৬ আসামির কেউই ধরা পড়েনি। ঘটনার পর থেকে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক গ্রাম পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে।  

সূত্রমতে, বুধবার (৩ জুন) নিহতের ছেলে জুয়েল আহমদ বাদি হয়ে একই গ্রামের রবিউল হকের পুত্র মর্তুজ আলীকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন (বুধবার) দুপুরে এএসপি বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ জুন) প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে খুন হন উপজেলার দ্বীনেরটুক আলিম মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সদস্য আব্দুন নুর (৬০)। তিনি ওই গ্রামের মৃত আজমান আলীর পুত্র। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত হন স্ত্রী ও তিন পুত্রসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন। গুরুতর আহত  নিহতের জ্যৈষ্ঠ পুত্র সোহেল আহমদ (৩৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন । প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে তার অবস্থাও আশংকাজনক বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। 
বৃহস্পতিবার নিহতের বাড়িতে সরেজমিন দেখা যায়,  পরিবারের সবাই শোকে মূহ্যমান। একদিকে যেমন স্বামী ও পিতা হারানোর বেদনা, অপরদিকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা জ্যৈষ্ঠ পুত্র (সোহেল আহমদ) এর চিন্তায় গর্ভধারিনী মাতা জ্ঞান হারিয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। জ্ঞান ফিরলেই খুনীদের ফাঁসি দাবি করে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। ‘
নিহত আব্দুন নুর অন্যায়ের প্রতিবাদকারী ন্যায় ও নিষ্ঠাবান একজন আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে এলাকার অনেকেই মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নস্থ দ্বীনেরটুক দারুল কোরআন আলিম মাদ্রাসার ৪তলা ভবনের নির্মাণকাজে বালু-পাথর সরবরাহকে কেন্দ্র করে গত ১ জুন (সোমবার) বিকালে নিহত আব্দুন নুর ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি ব্যবসায়ী মর্তুজ আলীর মধ্যে তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। পরে ওই বিষয়টি মিটমাট করে দেন স্থানীয় মুরব্বিরা। এরই জের ধরে ২ জুন (মঙ্গলবার) বিকালে মর্তুজ আলীর পক্ষের উত্তেজিত লোকজন সুলফি, ঝাঁটাসহ দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুন নুরের জ্যৈষ্ঠ পুত্র সোহেল আহমদের উপর প্রথমে অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় তার বাবা আব্দুন নুর ও তার মা-ভাইরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদের উপরও উপর্যুপরি হামলা চালায় মর্তুজ আলীসহ গংরা। এ সময় উভয় পক্ষের তুমুল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আব্দুন নুর, তার স্ত্রী ও ৩ পুত্রসহ উভয় পক্ষের ১০জন আহত হন। গুরুতর আহত আব্দুন নুর ও তার পুত্র সোহেল আহমদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আব্দুন নুরকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত নিহতের ছেলে সোহেলকে আশংকাজনক অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম ও মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সজিব দত্ত বলেন, নিহতের ছেলে জুয়েল বাদি হয়ে ২৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৪ জুন ২০২০/টিআই/এসএইচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.