Sylhet View 24 PRINT

সুনামগঞ্জের বন্যা মনিটরিং ও মানবিক সহায়তা তদারকির দায়িত্বে শামীমা হক

বন্যাপরিস্থিতির কোথাও উন্নতি, কোথাও অপরিবর্তিত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৪ ১০:২০:৪৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জসহ দেশের ১০ জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং ও জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম তদারকির জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ১০ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এই দায়িত্ব দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ জুলাই আদেশ জারি করা হয়। এতে সুনামগঞ্জের দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত সচিব শামীমা হক। 

এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ নাছিমকে রংপুর, অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিৎ কুমার সেনকে লালমনিরহাট, অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেনকে নীলফামারী, অতিরিক্ত সচিব আলী রেজা মজিদকে বগুড়া, অতিরিক্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে সিরাজগঞ্জ, অতিরিক্ত সচিব রওশন আরা বেগমকে কুড়িগ্রাম, যুগ্মসচিব আবদুল বায়েছ মিয়াকে গাইবান্ধা, যুগ্মসচিব মোমেনা খাতুনকে জামালপুর এবং যুগ্মসচিব শিখা সরকারকে রাজবাড়ীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে অতিরিক্ত সচিব (জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র-এনডিআরসিসি) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের ভেতরে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে গত এক সপ্তাহ থেকে বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও সদর উপজেলা প্রথমে প্লাবিত হয়। এসব এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

সুনামগঞ্জে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি, আবার কোথাও অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। গত চার দিন ভারী বৃষ্টি না হওয়া এবং উজান থেকে ঢলের পানি কম নামায় নদী ও হাওরে পানি কমছে। তবে পানি ধীরে কমায় বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দী মানুষজন এখনো দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

জেলায় ১২৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৪টি পরিবার আশ্রয় নেয়। এসব উপজেলায় পানি কমেছে। তবে এখনো মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে পানি রয়েছে। এরপর প্লাবিত হয় জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলা। এসব উপজেলায় এখনো পানিবন্দী আছেন মানুষজন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নিচু এলাকায় এখনো ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে বন্যার পানি রয়েছে।

বন্যার পানির তোড়ে সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কের নোয়াগাঁও এলাকা ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। একইভাবে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকা ভেঙে যাওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কে। বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের দুটি স্থান বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত ওই সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ ছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী প্রিতম পাল জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জি এবং সুনামগঞ্জে গত চার দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় সুনামগঞ্জের বন্যা–পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে জানান তিনি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ৪ জুলাই, ২০২০ / ডালিম

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.