সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-১৫ ১১:০৯:৩৪
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হাজি কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদে চাকরির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ আহমেদ সহকারী শিক্ষক (গনিত) দীর্ঘদিন ধরে হাজি কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে চাকরি করে আসছেন। তার ইনডেক্স নাম্বার ১০৫২০৯৫। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত এন.টি.আর.সি.এ এর ওয়েবসাইটে জাল নিবন্ধন সনদ তদন্ত করা হচ্ছে। হাজি কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদ ওয়েবসাইটে শো করলে সাকসেস দেখাচ্ছে। কিন্তু শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের নিবন্ধন সনদ ওয়েবসাইটে শো করলে নো আনসার দেখাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ফিরোজ আহমেদ শিক্ষা অধিদপ্তরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তদন্ত কার্যক্রমকে গোপনে স্থগিত করে রেখেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাফিজ আলী অবগত থাকা সত্বেও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি। জাল নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ প্রতিবেদককে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এন.টি.আর.সি থেকে কিছুদিন আগে আমার বিষয়টি অডিট করে গেছে। এখনো অডিট রিপোর্ট আসেনি।
এবিষয়ে হাজি কনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাফিজ আলী জানান, জাল নিবন্ধন সনদের বিষয়টি আমার জানা নেই। সহকারী শিক্ষক ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফতেফুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
দোয়ারাবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান আজাদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/ তাজুল/পিটি-১