আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বেলজিয়ামে উচ্চশিক্ষা…

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৪-০৯-২৩ ০১:৩৮:০১

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত উত্তর পশ্চিম ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম। উন্নত এ দেশটি উভয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েই জার্মানির দখলে ছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দেশটি আদর্শ হতে পারে।

বেলজিয়ামের শিক্ষা ব্যবস্থা:
ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের মত বেলজিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ব্যাচেলর ডিগ্রী, পিএইচডি পর্যায়ে বিভিন্ন কোর্স বিদ্যমান। এখানে ব্যাচেলর কোর্সগুলো ৩-৪ বছর মেয়াদ।

যে বিষয়ে পড়তে পারেন:
এখানে মডার্ন হিস্ট্রি, ল্যাটিন, গ্রিক, জার্মান, আর্কিওলজি, নরডিক স্টাডিজ, কমিউনিকেশন স্টাডিজ, পলিটিক্যাল সায়েন্স, ল, সোসিওলজি, জিওগ্রাফি, বায়োলজি, কেমিস্ট্রি, জেনেটিক্স, মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্স, প্যাথলজি, সার্জারি, ডেন্টিস্ট্রি, মাইক্রো বায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি, রেডিওলজি, টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন, আর্কিটেকচার, আরবান প্লানিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইকোনমিক্স, বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ফার্মেসি, ভেটেরিনারি, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স, ম্যাথমেটিক্স, হর্টিকালচার ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাটিসটিকসসহ আরো অনেক যুগোপযোগী বিষয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদান করা হয়।

পড়াশোনার ভাষা:
বেলজিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারণত ডাচ ভাষায় পড়াশোনা করানো হয়। অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানে ইংরেজিতে পড়াশোনা করা যায়। তাই বেলজিয়ামে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী হলে ডাচ ভাষার উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

পড়াশোনার খরচ:
বেলজিয়ামে পড়াশোনার খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের চেয়ে অনেক কম। এখানে একজন বিদেশী শিক্ষার্থীকে বছরে সাধারনত ৩২ হাজর ৮শ’ টাকা থেকে ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা পর্যন্ত টিউশন ফি প্রদান করতে হয়।

থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচ:
এখানে থাকা খাওয়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ একজন শিক্ষার্থীর মাসে প্রায় ৩২ হাজার থেকে ৪০হাজার টাকার প্রয়োজন।

কাজ করার সুযোগ:
বেলজিয়ামে বিদেশী শিক্ষার্থী সপ্তাহে ১৫-২০ ঘন্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারে। সামার এর ছুটিতে আপনি ৯০ দিন ফুলটাইম কাজ করতে পারবেন।

আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং:
বেলজিয়ামে পড়াশোনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য ও প্রসপেক্টাস চেয়ে আবেদন করলে তারা বিস্তারিত প্রসেসিং প্ল্যান পাঠিয়ে দিবে। প্রাথমিক আবেদন সাধারণত ই-মেইল করা যায়। তারপর তাদের নির্দেশনা মোতাবেক যাবতীয় শিক্ষাগত ও অন্যান্য কাগজপত্রসহ ফি কুরিয়ার করে পাঠাতে হবে।

ভিসা প্রসেসিং:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমানপত্র বা অফার লেটার, আর্থিক সামর্থের প্রমানপত্র বা ব্যাংক সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট, শিক্ষাগত কাগজপত্র, অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র বেলজিয়াম দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত তথ্য জানতে বেলজিয়াম দূতাবাস অথবা বেলজিয়ামের ন্যাশনাল স্টাডি পোর্টাল ভিজিট করতে পারেন http://www.studyinbelgium.be/en

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন