আজ বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং

বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পুরস্কৃত ১৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৬-১১-২৯ ০০:২৫:৫৫

এ বছর জুন মাসে ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এক্সামিনেশনে অসাধারণ নৈপূন্যের জন্য শীর্ষস্থান অধিকারী ১৩ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ক্যামব্রিজ আইজিসিএসই, ক্যামব্রিজ ‘ও’ লেভেল, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এএস এবং ‘এ’ লেভেলে বিষয়গুলোর মধ্যে এ শিক্ষার্থীরা বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এছাড়াও, দেশে একত্রিশ জন শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছে।

রবিবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ক্যামব্রিজ আউটস্ট্যান্ডিং লার্নার অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে এ শিক্ষার্থীদের আউটস্ট্যান্ডিং ক্যামব্রিজ লার্নার সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। শীর্ষস্থান অর্জনকারী ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ১৩ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশের সাতটি বিদ্যালয় থেকে এসেছে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার মার্ক ক্লেটন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর জিম স্কার্থ, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামিনেশনস ডিরেক্টর দীপ অধিকারী, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এক্সামিনেশনসের রিজিওনাল ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) রুচিরা ঘোষ, ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এক্সামিনেশনের বাংলাদেশ ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার সুজি চৌধুরী এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ।

অনুষ্ঠানে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করাদের মধ্যে থাকতে পারা সত্যি আনন্দের। আমাদের দেশের সক্ষমতার ক্ষেত্রে মানব সম্পদ অন্যতম। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী। এসব মেধাবী তরুণদের যেন আমরা সঠিক যত্ন নিতে পারি, এটা আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের এক্সামিনেশন ডিরেক্টর দীপ অধিকারী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই আমরা লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশ থেকে মেধাবী সব শিক্ষার্থীরা উঠে আসছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অসাধারণ ফলাফল অর্জন নতুন কিছু নয়। আমরা ব্রিটিশ কাউন্সিলে সবসময় চেষ্টা করি আমাদের সার্বিক সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে। শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য আমরা সিআইই- কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এক্সামিনেশনসের রিজিওনাল ডিরেক্টর (দক্ষিণ এশিয়া) রুচিরা ঘোষ বলেন, ‘গত দশকে ক্যামব্রিজের পরীক্ষা বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সফলভাবে তাদের উৎসাহ দেখাতে পেরেছে এটা আমাদের অত্যন্ত আনন্দিত করেছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা শেখার মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পেরেছে এবং শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের এভাবে প্রস্তুত করেছেন। এজন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল এক্সামিনেশনের বাংলাদেশ ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার সুজি চৌধুরী বলেন, ‘ক্যামব্রিজ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার সব দিক মূল্যায়ণ এবং তাদের চিন্তা করা ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটানো যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে পারে। মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থীদের এ অর্জনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। শিক্ষক ও বাবা-মায়ের আপ্রাণ প্রচেষ্টার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এখন শিক্ষাজীবনের পরবর্তী স্তরের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তুলতে পারবে। কেননা, তাদের এ অর্জন বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই গ্রহণযোগ্য।’ 

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন