আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

পড়ার বই নেই, ঘুমাতেই লাইব্রেরীতে আসে শিক্ষার্থীরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৬-১১ ০১:৩৩:৪২

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার নয় বছর পার হলেও সমৃদ্ধি হয়নি সেন্ট্রাল লাইব্রেরী এন্ড ইনফরমেশন সেন্টারের । লাইব্রেরী ঘুরে দেখা গেছে- দ্বিতীয় তলায় বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-গবেষকদের জন্য একটি এবং অন্যান্য অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্যে একটি করে রুম থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় বই। রিডিং রুমে বইয়ের সেলফ আছে কিন্তু সেলফ গুলোতে নেই বই। অধিকাংশ সেলফগুলোই ফাঁকা। জার্নাল কক্ষেও নেই পর্যাপ্ত সংবাদপত্র। প্রয়োজনীয় বই, দেশি-বিদেশী জার্নাল, দৈনিক পত্রিকা না থাকায় সাধারণত লাইব্রেরী মাড়াতে আসে না ছাত্র-ছাত্রীরা। কিছু শিক্ষার্থী আসলেও প্রয়োজনীয় বই না পেয়ে ঘুমিয়েই সময় কাটান তারা। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই নেই অথচ নিজেদের বই নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরী মুখী হচ্ছে না। সীমিত বইয়ে সব সময় সবার চাহিদা থাকে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ বই না থাকায় আর প্রয়োজন মতো বই ভেতরে আনতে না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেখানে তেমন যান না।

লাইব্রেরী সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ হাজার কপি বই এখানে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি বিভাগের মধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা , লোকপ্রশাসন, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম, উইমেন এ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞাসহ মোট ৬টি বিভাগের কোন বই এখনো গ্রন্থাগারে নেই। আবার যেই বিভাগগুলোর বই সেখানে আছে তাও পর্যাপ্ত পরিমাণ না।

বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক আব্দুস সামাদ প্রধান বলেন, বই কেনার দায়িত্ব হচ্ছে উপাচার্য এবং প্রকৌশলীর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম প্রজেক্টের টাকা দিয়ে বই কেনা হয়েছিল প্রায় ষাট লক্ষ টাকার। এর পরে গত ২১ শে বই মেলা থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার বই কেনা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় বইয়ের সংকট এখনো রয়েই গেছে। 

শিক্ষার্থীদেরকে কীভাবে আরো বেশি করে গ্রন্থাগারমুখী করা যায় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, যে সকল বিভাগের বই নেই সে সকল বিভাগের বই যোগান দিতে পারলে এবং চাহিদা মোতাবেক বিশেষ করে প্রতিটি বিভাগের গবেষণা সম্পৃক্ত বই সংগ্রহ করলে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরীতে আসবে। ইতোমধ্যে চাকরির প্রিপারেশন সম্পৃক্ত কিছু বই জব কর্ণারে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরীতে আসার চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে উপর মহলের সুদৃষ্টিতে সেন্ট্রাল লাইব্রেরী ও ইনফরমেশন সেন্টারকে কাঙ্খিত মানে নেওয়া সম্ভব বলে জানান এ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন