আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সুষমা স্বরাজের কাছে খালেদার নালিশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-০৬ ০০:৫৯:৪৬

ভারতকেন্দ্রিক ইস্যু বাংলাদেশের রাজনীতির বড় উপাদান হিসেবে আগেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এর ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নৃতাত্ত্বিকগত কারণ রয়েছে।

অন্যদিকে তেমন কোনো গুরুত্ব বহন না করলেও পাকিস্তান ফ্যাক্টরের প্রভাব থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি এখনো মুক্ত নয়। পাকিস্তান একটি ধর্মীয় আদর্শ ভিত্তিক সমরতন্ত্রে বিশ্বাসী রাষ্ট্র, যার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই আমরা ২৩ বছর সংগ্রাম এবং একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ১৯৭৫ সালের রক্তাক্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা পরপর দুজন সামরিক শাসক দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, যার ধারাবাহিকতা আমাদের রাজনীতিতে এখনো অব্যাহত থাকায় পাকিস্তান এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফ্যাক্টর হয়ে আছে।

তাছাড়া একাত্তরে পাকিস্তান যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার ক্ষতিপূরণ এখনো দেয়নি, ২৩ বছর একীভূত রাষ্ট্রের গচ্ছিত সম্পদের ভাগ দেয়নি, অঙ্গীকার করা সত্ত্বেও পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেনি, সংঘটিত অপরাধের জন্য ক্ষমাও চায়নি। বরং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এদেশীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে ঔদ্ধত্য ও শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছে। এসবের সঙ্গে যোগ হয়েছে পাকিস্তান, সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সর্বত সাহায্য-সহযোগিতা দিচ্ছে, হাতেনাতে ধরাও পড়েছে। অথচ পঁচাত্তরের পরে পাকিস্তানি ভাবাদর্শ নিয়ে যারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুনভাবে আবির্ভূত এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওইসব গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য শোনা যায় না, বরং পাকিস্তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারা ভারত বিরোধিতা ও ভারত বিদ্বেষকে সম্বল করে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠকে সরব রাখার অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার একই সঙ্গে দেশের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অযাচিতভাবে ভারতের কাছে ধরনা দিচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মানুষ বিভ্রান্তিতে থাকছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না। এটা দেশের জন্য অসামান্য ক্ষতি করছে।

ধর্মকে তারা রাজনীতির মাঠে এনে ধর্ম ও রাজনীতি দুটোরই ক্ষতি করছে। তবে একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার প্রভাব এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতির সমীকরণে রাজনীতিতে ধর্মতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। সুতরাং বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া যাবে না, এরকম উপলব্ধিতে বাংলাদেশে ধর্মীয় রাজনীতির প্রবর্তক ও পথপ্রদর্শক বিএনপি বোধ হয় এখনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও উভয় সংকটের মধ্যে আছে। জামায়াত, খেলাফত মজলিশ, ইসলামী ঐক্যজোটের মতো প্রচণ্ড অন্য ধর্মবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে মিত্রতার বন্ধন অটুট রেখেও তলে তলে আবার কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে ভারতের কাছে এমনভাবে ধরনা দিচ্ছে যা, অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক ও লজ্জার বিষয়। দুই সপ্তাহ আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২৬ ঘণ্টার একটা ঝটিকা সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশে। দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কাউন্সিলের রুটিন সভা করার জন্যই মূলত তিনি এবার এসেছিলেন। সঙ্গত কারণেই এতবড় উচ্চপর্যায়ের সফরে সবকিছু রুটিন এজেন্ডার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুসারে এরকম গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা সাধারণত সরকারের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতানেত্রী ও সুশীল সমাজের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় করে থাকেন। পত্রিকার খবর মতে বিএনপি অনেক চেষ্টা করেছে যাতে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় অথবা বাসায় এসে যেন সুষমা স্বরাজ বিএনপির আতিথ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাই দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া হোটেলে গিয়ে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পত্রিকার ছবিতে উভয় নেত্রীর কূটনৈতিক হাসির ছবি প্রকাশ পেয়েছে। কূটনীতিতে হাসির মূল্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার অর্থ বোঝা সব সময়ই কষ্টকর। বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশের মর্যাদা জড়িত। সুতরাং হোটেলে গিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য মহাসচিব ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটা দল গেলে সেটাই হতো বাংলাদেশের জন্য যথার্থ মর্যাদাকর। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া স্বয়ং গেলেন। এর আগে ২০১৪ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রথম বাংলাদেশ সফরের সময়ে আরও বেশি অমর্যাদাকর ঘটনা ঘটেছিল বলে তখন পত্রিকায় খবর বেরিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে নাকি হোটেলে পৌঁছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। বিব্রতকর এ কথাগুলো লিখতে হচ্ছে এই কারণে যে, দেশের বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যখন ভুল রাজনীতি করে এবং ধর্মান্ধ উগ্রবাদী গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয় তখন শুধু ওই দল নয়, সঙ্গে দেশের জন্যও সেটা অমর্যাদাকর হয়। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে সরকারের বিরুদ্ধে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশের জন্য এটা কতখানি মর্যাদাকর হয়েছে সে কথা বিএনপির নেতৃবৃন্দ কি একবারও ভেবে দেখেছেন। বিএনপির ভারতবিদ্বেষী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি যে ভুল এটাই তার প্রমাণ। বিএনপি যদি সত্যিই সাম্প্রদায়িক ও ধর্মতান্ত্রিক রাজনীতি পরিত্যাগ করে তাহলে অবশ্যই সেটা দেশের জন্য মহা খুশির খবর। শুধু মুখের বুলিতে নয়, জামায়াত, খেলাফত, ইসলামী ঐক্যজোটসহ ধর্মান্ধ সব রাজনৈতিক দলকে বিএনপি যদি পরিত্যাগ করে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থার পক্ষে দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য অবস্থান ঘোষণা করে তাহলেই কেবল সেটা দেশের মানুষ এবং প্রতিবেশীসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে। অন্যথায় ওপরে ওপরে যতই বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে নতজানু ভাব দেখানো হোক না কেন তাতে কোনো কাজ হবে না, বরং সেটি দল ও দেশের জন্য সব সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করেছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন আর বোঝা নয়, সম্পদ। বাইরের কোনো দেশ বা শক্তি বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে সেটা কেউ ভাবলে ভাবতে পারেন। কিন্তু সেটা হবে অলীক ভাবনা। তবে এ কথাও সত্য, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি বলয়ের একটা রাজনৈতিক প্রভাব আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ওপর অনেক ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে যার প্রভাব নির্বাচনের ফলের ওপর পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের এবারের সফরের  উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও দুটি ইস্যু সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতের সর্বশেষ অবস্থান জানার আগ্রহ ছিল। এর প্রথমটি রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দ্বিতীয়টি তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির আপডেট। প্রথম ইস্যু রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পাশে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথা বলেছেন এবং সুষমা স্বরাজ ঘোষণা করেছেন এ রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারকে ফেরত নিতে হবে। সাম্প্রতিক ভয়াবহতা শুরুর প্রথমদিকে ভারতের অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে অসন্তোষ ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছিল। সুষমা স্বরাজের ঘোষণার মধ্যদিয়ে প্রমাণ হয়েছে মানবিক সংকটে মানবতার পক্ষে না দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উপায় থাকে না। এ কারণেই ভারতের অবস্থান পরিবর্তন হলেও এখনো চীনের অবস্থান মিয়ানমারের পক্ষে আগের মতোই কঠোর ও কঠিন জায়গায় রয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির ব্রুটালিটির মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিই এ জন্য দায়ী। সুষমা স্বরাজের কথার মধ্য দিয়ে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হলো, মিয়ানমারের সঙ্গে ভারত তার বাণিজ্যিক ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থ বজায় রাখবে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের কাঁধ থেকে বোঝা নামানোর জন্য রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত পাঠানোর পক্ষে কাজ করবে। বাংলাদেশও মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং সে জন্যই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই বন্ধু রাষ্ট্রের মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য,  এ সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি এককভাবে চীনের হাতে চলে গেছে। কমিউনিস্ট পার্টির ব্রুটালিটির কাছে বরাবরই মানবতা ভূলুণ্ঠিত হয়ে আসছে। তাছাড়া চীনের আগ্রাসী ভূমিকা এতদিন এ অঞ্চলে যে একটা ভারসাম্য অবস্থান ছিল তা নষ্ট করে দিচ্ছে। একটি অঞ্চলে এককভাবে কোনো রাষ্ট্র অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠলে তা অঞ্চলের সব দেশের জন্য অশনি সংকেত দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ইউরোপ জার্মানির একক অপ্রতিরোধ্য উত্থান সমগ্র ইউরোপের জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে এনেছিল। ভারতের প্রকাশ্য ইতিবাচক অবস্থান বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেটি সুষমা স্বরাজ ঘোষণা করেছেন। বিশ্ব রাজনীতির হিসাব-নিকাশ যারা রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর অর্থ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান বাংলাদেশের পাশে আছে। তবে বাংলাদেশকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং ধৈর্য ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা, সমর্থন ও সহায়তা নিতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের জন্য কঠিন সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এ সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে আমরা যেন এমন কোনো পথ অবলম্বন না করি যেটি সমস্যার সমাধানে তো দেবেই না বরং সেটিকে আরও জটিল করবে এবং ভিন্ন কোনো কঠিন সমস্যায় বাংলাদেশ পড়ে যাবে। গরম কড়াই আর জ্বলন্ত চুলার উদাহরণ আমরা জানি। সুষমা স্বরাজের সফরে দ্বিতীয় যে ইস্যুটি সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের জানার আগ্রহ ছিল তাহলো তিস্তা, নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে ভারতের সর্বশেষ অবস্থান। এ সম্পর্কে তিনি তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কথা বলেননি। তাতে ধরে নিতে হবে এ ব্যাপারে আগের অবস্থান থেকে এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বাংলাদেশের মানুষ এই প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছে। ভারতকে মনে রাখতে হবে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তিটি এখন শুধু পানি পাওয়া-না পওয়ার বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিকতা ও অনুভূতিতে এটি এখন অন্যরকম এক সংবেদনশীলতার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের এ অনুভূতিকে উভয় দেশের স্বার্থেই ভারত মূল্য দেবে এ প্রত্যাশা করে আজকের লেখাটি শেষ করছি।

লেখক :

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
sikder52@gmail.com

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন