আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

'ছিনতাই' একটি সামাজিক অবক্ষয়ের নাম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-২৭ ১২:২৯:৫৫

তুষার মজুমদার :: ধারণা করা হয় মানুষ চুরি করে দারিদ্রের কারণে ক্ষুধা নিবারণের ব্যবস্থা নেই বলে। কিন্তু অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ছিনতাই তাতো আর ক্ষুদা নিবারণের কারণ বলে বিবেচিত হতে পারে নাহ। ছিনতাই এর কাজে অগ্রসর হতে পারে কেবলমাত্র যারা ধনসম্পদ লোভী কিংবা অধিক সম্পদ আয়ত্বে অভিলাষী অথবা অন্যায় কাজে বিলাসিতায় আসক্ত। সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গঠনে ছিনতাই বিপর্যয় বয়ে নিয়ে আসছে এবং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা সমাজের প্রগতিশীল মানুষদের মধ্যে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। কেউ রেহাই পাচ্ছে নাহ এই ধরণের অপরাধ থেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী সকলে স্বীকার হচ্ছেন এর দ্বারা।

কোন ভাবেই দমন করা সম্ভব হচ্ছে নাহ এই ঘৃণ্য অপরাধটি। কিছুদিন আগেই শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এর স্বীকার হয়েছেন। এবার তারই ধারাবাহিক স্বীকার হলেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এতে করে তারা তাদের সাথে থাকা সেলফোন, নগদ অর্থ সহ মূল্যবান কাগজ সবকিছু নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা এমনটাই বলেছেন পুরকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র অর্ক চন্দ্র ও একই বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া বশরা। তারা অভয়ই থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। তারা এটাও বলেছেন যে আজ আমরা এই ধরণের ঘটনার স্বীকার হয়েছি কাল অন্যরা হবে। এখন থেকেই যদি প্রশাসন এটাকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে না দেখে তবে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগবে।

তারা আরও জানায় যে, বর্তমানে সিলেটের টিলাগড় সংলগ্ন আলুরতল সড়কে নিরাপত্তা বাহিনীদের তৎপরতা অনেকাংশে কমে গিয়েছে। তারা বলেছেন পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার থাকলে এই ধরণের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকতো নাহ। তাই তারা প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছে যে, প্রশাসন যাতে তাদের পুলিশি তৎপরতা আরও জোরদার করেন যাতে করে আর অন্য কোন ছাত্রছাত্রীদের এই ধরণের ঘটনার স্বীকার হতে না হয়।

তবে ছিনতাইয়ের প্রতিরোধে প্রশাসন বরাবরই সচেষ্ট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন