আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাইবেলে বর্ণিত ভয়াবহ সেই 'দুর্ভিক্ষ' আবার দেখবে পৃথিবী?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-২৩ ২০:৩১:০২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: 'সাত বছরের প্রাচুর্য্যের পর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নেমেছিল প্রাচীন মিশরে। একমুঠো অন্নের জন্য ক্ষুধার্ত জনস্রোত ছুটে গিয়েছিল সর্বশক্তিমান ফারাওয়ের প্রাসাদে। তবে সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাদের। শেষে ত্রাতার ভূমিকা নিয়ে মিশরীয়দের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ঈশ্বরের দূত জোসেফ।' বাইবেলের এই কাহিনী প্রায় সবারই জানা। ওল্ড টেস্টামেন্টে ওই দুর্ভিক্ষের বর্ণনা পড়লে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। এবার তেমনই বিপদ ডেকে আনতে চলেছে নভেল করোনাভাইরাস। এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, করোনা মহামারি শেষ হলেই বিশ্ববাসীর জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ৷ এরই মধ্যে বিশ্বের একটা বড় অংশে খাদ্যাভাব শুরু হয়ে গেছে এবং খুব শীঘ্রই তা দুর্ভিক্ষের আকার নেবে৷ আফ্রিকা ও এশিয়ার কিছু অঞ্চলে এরই মধ্যেই দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে৷ অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সাক্ষী থাকবে বিশ্ববাসী৷ বহু মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবে৷

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (এফএও)-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডেভিড বিসলের বলেন, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এবারই মানব সভ্যতা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে৷ সিরিয়া, ইয়েমেন-সহ একাধিক দেশে যুদ্ধ, আফ্রিকায় পঙ্গপালের হানা। লেবানন, কঙ্গো, সুদান ও ইথিওপিয়ায় একের পর এক প্রাকৃতি দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক মন্দা, তার সঙ্গে করোনা মহামারি বিশ্বকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷'

তিনি আরও জানান, বিশ্বে প্রায় ৮৩ কোটি মানুষ রাতে চরম ক্ষুধার জ্বালা নিয়ে ঘুমাতে যায়৷ সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ প্রায় খেতেই পাচ্ছে না৷ করোনার জেরে ২০২০ সালের শেষে আরো ১৩ কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে৷ ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ১০ কোটি মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে৷ ৩ কোটি মানুষ তো এই প্রকল্পের উপরেই বেঁচে আছে৷

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ছিলেন ডেভিড বিসলে স্বয়ং। তবে মারণ রোগকে হারিয়ে ফের লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। তাঁর এমন সতর্কবার্তায় রীতিমতো অশনিসংকেত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই লকডাউনের জেরে ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও পরিযায়ী শ্রমিকরা অথৈ জলে। একধাক্কায় তলানিতে ঠেকেছে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার। ফলে এখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে পদক্ষেপ না নিলে দুর্ভিক্ষ থামনো যাবে না বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

সৌজন্যে :সংবাদ প্রতিদিন,  কালের কণ্ঠ

সিলেটভিউ ২৪ডটকম /২৩ এপ্রিল ২০২০ / মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন