আজ বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং

কাব্য সাধক ফজলুর রহমান ফজলু

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১২-০১ ১৫:৩৯:২০

বামে লেখক ও ডানে কবি ফজলুর রহমান

কবি কামাল আহমদ :: কাব্য কাননে কবি ফজলুর রহমান ফজলু এক পরিচিত নাম। বৃহত্তর সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নীরবে নিভৃতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন শুধু কবি হিসাবে নয় একজন সফল সংগঠক হিসাবে। কবিতার আসর সাহিত্য আড্ডা ও সংস্কৃতি চর্চায় এখনো সকাল সন্ধ্যা তিনি ঘুরে বেড়ান প্রকৃতির উন্মুক্ত প্রান্তরে-সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। সত্য সুন্দরের অণ্বেষণই তার কাব্যচর্চার মূল লক্ষ্য। সমাজ সংসারের প্রতি উদাসীন এ কবি নিজ জীবনের মোহমায়া ত্যাগ করে প্রতিনিয়ত কবিতা, গান, ছড়া ও নাটক রচনা করে চলেছেন। তাঁর কবিতা ও গান সত্যিই প্রেরণা যুগাচ্ছে জাতীয় সাহিত্যের পুষ্টিসাধনে।

তরুণ প্রজন্মকে তিনি কাব্যচর্চায় উৎসাহিত করে আসছেন পথে প্রান্তরে। হাতে-কলমে তাদের শেখাচ্ছেন কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, গান ও নাটক রচনার কলাকৌশল।  

কাব্য সাধক এ কবি ২০০০ ইং সনে জকিগঞ্জ সাহিত্য সংসদ ‘জসাস’ নামের এক সাহিত্য সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে নীরবে নিভৃতে সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষুদে ছড়াকার থেকে শুরু করে দেশবরেণ্য কবি-সাহিত্যিক ও সুধীজনের কাছে রয়েছে তার সমান পরিচিতি। উদারমনা এ মানুষটির সংস্পর্শে যে কেহ সহজেই বন্ধুবৎসল হয়ে যায়। পল্লী অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত জকিগঞ্জ সাহিত্য সংসদ ‘জসাস’ আজ তারই কর্মতৎপরতায় বৃহত্তর সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গনে সুনামে সম্মানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি সংগঠনটির হাল ছাড়েননি।

আসুন এবার এই কবির কিছু কবিতা আর গান নিয়ে আলোচনা করি। কবির নিজস্ব উচ্চারণ:  
বাহাত্তরে জন্ম আমার ফজলুর রহমান নাম
জকিগঞ্জের অন্তর্গত মাজবন আমার গ্রাম।
স্নেহময়ী দাদী আমার বিদ্যা শিক্ষার গুরু
পাঠশালাতে প্রথম পাঠ যার উছিলায় শুরু।
দাদীর দেয়া বিদ্যার জোরে এমএ করে পাশ
চিত্ত সুখে কাব্য লিখি কুঁড়েঘরে মোর বাস।

এ যুগে কবিতার বাজার দর কমে গেছে। কবি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন কবিতা আর লিখবেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবি প্রাণ না লিখে স্বস্তি পায় না । কবির নিজস্ব ভাষায়:
নিত্যদিনে তওবা করি কবিতা আর লিখব না
শত চেষ্টার বদৌলতে বদভ্যাসটা গেল না।
আমি কবিতারে তুচ্ছ ভাবি নিত্য করি ভুল
জীবন পথে এই কবিতাই অমরতার ফুল।

কবি ফজলুর রহমান ফজলুর কাব্য সাধনায় গ্রামীণ চিত্র ফুটে ওঠে। তিনি ডিজিটালের স্বপ্নে বিভোর হলেও অতীতকে ভুলে যাননি। কবির লেখা গানটাই তার বাস্তব প্রমাণ:
বদলে গেছে যুগের হাওয়া ডিজিটালের সুরে গাই
ভাটি বাংলায় গানের জন্ম ভাটিয়ালি নাই।
গহুর বাদশা গাজী কালু এ যুগে আর নাই রে চালু
সারি গাঙ্গে চায় না বালু মন মাঝি তোর বৈঠা নাই।

কবি আবহমান বাংলার রূপ ঐতিহ্য ও ঋতু বৈচিত্রের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন তার বৈশাখী গানে:
তুমি আইও রে পরাণের বন্ধু বৈশাখী মেলায়
শাক নালিতা ইলিশ পান্তা খাওয়াব তোমায়।
নিত্য আস যাও রে বন্ধু নূপুর পায়ে দিয়া
কাল বৈশাখে আইও তুমি লাল শাড়ি পরিয়া
থাকব তোমার পন্থ চাইয়া-কদমের তলায়।।
কবি ফজলুর রহমান ফজলু শুধু কবি নন। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, ছড়াকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও একজন সফল সংগঠক। তার গানের মধ্যে প্রাণ আছে। মরমী ভাব সম্বলিত তার গানের আবেদনটাই আলাদা।

তিনি তার মাটির পিঞ্জিরা গানের অ্যালবামে লিখেন:
খাঁচা ছেড়ে পাখি যেদিন দিবে রে উড়া
পড়ে রবে মানব দেহ মাটির পিঞ্জিরা।
কবি সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় চমৎকার কবিতা লিখতে পারেন। কবির লিখা করোনা ট্রাজেডি কবিতাটাই তার উদাহরণ:
বুধাই বিবি ফকির বেটি ভিক্ষা করে খায়
রমজানেতে বড় লোকের লিল্লা যাকাত পায়।
চলার পথে বুধাই বিবিরে বলে ময়নার মায়
মা অই তুমি বের হইওনা ধরব করোনায়।
কবি জন্মে স্বাধীন। তিনি মানুষের বিচারকে প্রহসন মনে করেন। তার কাছে প্রকৃত বিচারকর্তা একমাত্র স্রষ্টা। গানের ভাষায়:
বিচার যদি তোমার হাতে-হাকিম কেন আদালতে
জন্মে স্বাধীন এই ধরাতে মানব বিচার সঠিক নয়।
কবি স্রষ্টার সৃষ্টিরাজ্য, সৃষ্টি নৈপুন্য অন্তরে অনুভবে উপলব্দি করে সুরে ছন্দে তা ব্যক্ত করেন:
খুঁটি ছাড়া বিশাল আকাশ মহাশুন্যে রয়
নিম তিতা খেজুর মিটা এক মাটিতে হয়।
ফজলু বলে ও দয়াময় তোমার শরীক নাই।
অপুর্ব কারিগর আমার আল­াহ মালিক সাঁই।
কবি ভাবদর্শনে বিভোর হয়ে দেহতত্ত¡ সম্পর্কে গান রচনা করেছেন।
আল­াহর দেয়া মানবদেহ আজব এক মেশিন
জন্ম থেকে হাওয়ায় চলে কি অপুর্ব এক ইঞ্জিন।
সাড়ে তিন হাত লম্বা গাড়ি, বত্রিশ ফুট ইঞ্জিনের বেড়ি
চব্বিশ হাজার ছয় শ পাড়ি, যাত্রা নিশীদিন।
সৃষ্টার সৃষ্টি নৈপুণ্য সম্পর্কে কবি চমৎকার গান রচনা করেছেন। শানে এলাহি গ্রন্থে তার নিজস্ব উচ্চারণ:
বাগানে ফুল ফুটিল সপ্তবর্ণ ধরিয়া
কে দিয়াছে বিচিত্র রূপ দেখনা মন ভাবিয়া।
বকুল জবা জুঁই চামেলী,ফুটিয়াছে ডানা মেলি
সৃষ্টির মুলে কোন সে মালি, পাইনি তারে খুঁজিয়া।

কবি মনে করেন মানুষ এক অকৃতজ্ঞ প্রাণী। সে তার মাবুদের দয়া পায় কিন্তু তাকে স্মরণ করেনা। গানের ভাষায়  
বিপদে পড়িলে মানুষ দয়া ভিক্ষা চায়
দয়ালের দয়া পাইলে দয়াল ভুলে যায়।
উত্তাল সাগর মাঝ দরিয়ায় আসিলে তুফান
প্রাণের ভয়ে গাইতে থাকে মাবুদ আল­াহর গান
মুশকিলে পাইয়া আছান মাঝির গুণ গায়।
কবি প্রেমের চিরন্তন রহস্য নিয়ে অসংখ্য গান রচনা করেছেন।
১। আমি প্রেম করিয়া প্রাণ বন্ধুর পাইলাম নারে মন
কোন বা দোষে বন্ধু আমার হইলনা আপন।
২। পিরিতের শেল যার কলিজায় নিদ্রা নাই নয়নে
শিল্পী মনে ভাবের আগুন জ্বালায় নিরঞ্জনে।
কবি প্রাণ বিরহের আগুনে সর্বদা জর্জরিত হয়। আত্মার সাথে পরমাত্মার বিয়োগ ব্যথা আর প্রিয়জনের জ্বালাতনই বিরহের মুর্চনা সৃষ্টি করে। কবির বিরহী উচ্চারণ:
বিরহিনীর বন্ধুরে প্রেম শিখাইয়া
কেন ভুলিলে আমারে
ভুলে যদি যাবেরে বন্ধু কেন প্রেম করিলে
প্রতিজ্ঞা করিয়া কেন পাষাণও সাজিলে।
আওরে বন্ধু ভাবের সুজন ফজলুর নয়ন মণি  
তোমার লাগি বারণ হয়না দুই নয়ানের পানি
এসব মরমী গান হৃদয়ের দান। যার আবেদন থাকে চিরদিন। পল্লীর এ নিভৃতচারী করির কাব্যসাধনাকে উৎসাহিত করলে দেশ ও জাতির কল্যাণে অসংখ্য মরমী কবিতা আর গান রচিত হবে।
 
কবি ফজলুর রহমান ফজলু শুধু কবি, গীতিকার, নাট্যকার নন। তিনি একজন সফল সংগঠক। জ্ঞান রাজ্যে রয়েছে তার দৃপ্ত অবদান। শিক্ষকতা জীবনে তিনি অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষা দিয়েছেন। তাদের কাছে আজো তিনি প্রিয় শিক্ষক হিসাবে সমাদৃত। তার সবচেয়ে বড় গুণ হল তিনি অনেক ঝরে পড়া ছাত্রকে জ্ঞানরাজ্যে নিয়ে এসেছেন। দীক্ষা দিয়েছেন, পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তার মতে ছাত্র দু’ ধরণের। প্রাতিষ্ঠানিক ও আত্মিক। প্রাতিষ্ঠানিক ছাত্ররা শুধু জ্ঞানের শিক্ষা পায় আর আত্মিক ছাত্ররা জ্ঞানের দীক্ষা গ্রহণ করে। এখানে গুরু শিষ্যের ভাবদর্শন প্রতিফলিত হয়। গুরুর মানস প্রতিভার বাস্তব ছাপ পড়ে ঐসব শিষ্যের উপর। যার কারণে তাদের শিখন হয় ভিন্ন। পরশ পাথরের সংস্পর্শে রাঙ যেমন সোনা হয়ে যায় এদের বেলায়ও তেমনি।

কবি ফজলুর রহমান ফজলুর সান্নিধ্যে থাকা কিছু ছাত্র যাদের কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি তাদের মধ্যে আপ্তাব উদ্দিন নয়ন (বর্তমানে পুলিশে কর্মরত) খালেদ আহমদ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসএস অনার্স) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ (কামিল ফলপ্রার্থী) জাহাঙ্গীর আলম (আইটি বিশেষঞ্জ) সাব্বির আহমদ শাওন (নাট্যকার গীতিকার ও কলেজে অধ্যয়নরত) সৈয়দ রাকিব হোসেন (নাট্যকর্মী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী)। আমি বাস্তবে দেখেছি কবি ফজলুর রহমান ফজলু তাদের কে আত্মার বন্ধনে তিলে তিলে জ্ঞান রাজ্যে নিয়ে যেতে। কখনো ধমকের সুরে, কখনো বন্ধু সুলভ আচরণ করে। আসলে গুরু শিষ্যে ভাব হয়, মান অভিমান হয়। সিরাজ সাঁই লালন ফকিরকে যে দীক্ষা দিতেন তার সুস্পষ্ট ছাপ লালনের গানে প্রতিফলিত। কবি ফজলুর রহমান ফজলুর সকল কর্মের প্রেরণা তার শিষ্যরা। তিনি শুধু তাদের কে জ্ঞানরাজ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি। সুধীজনের কাছে তাদের প্রতিভার পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছেন। এমনকি কবিতা আর গান লিখে তাদের কে উৎসাহ উদ্দীপনা সহ জীবনের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সোজা কথায় পিতা মাতা যেখানে ব্যর্থ তিনি সেখানে সফল। ফজলুর রহমান ফজলু বলেন শাসন যেখানে ব্যর্থ হয় সোহাগ সেখানে কাজ করে। হৃদয় যেখানে পাষাণ থাকে সেখানে সুরের মুর্চনা কাজ করে। রাগ যেখানে মনুষ্যত্ব হারায় রস সেখানে রাগকে বশিভুত করে। অসম্ভব যেখানে বাসা বাঁধে প্রতিভা সেখানে লাইট পোষ্ট করে। আমি ক্ষেত্র বুঝে নীরস হৃদয়ে রসের সঞ্চার করেছি। আলোর মিছিলে সমবেত করার জন্য চিত্তে আনন্দ যুগিয়েছি। তাদের ভুল কে সর্বদা ফুল হিসাবে দেখেছি। জ্বালাকে মালা বানিয়েছি। ফজলুর রহমান ফজলু আরো বলেন-নি:স্বার্থ আদর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকেও হার মানায়। প্রিয়জন কালো হলেও কুৎসিত হয়না। কবির প্রেম পাথরে ফুল ফোটাতে পারে। কবি বলেন: বাস্তব গল্প লিখে জীবনের দিক নির্দেশনা দিয়েছি। সত্য সুন্দর আর প্রেমের সাধনায় তাদেরকে নিমগ্ন রাখার চেষ্ঠা করেছি। বলেছি-উপকার না পারিলে করিওনা ক্ষতি-প্রীতি যদি নাহি পার ভুলিওনা স্মৃতি। কবি ফজলুর রহমান ফজলু তার শিষ্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন:
আশা করি বন্ধুরা মোর অনেক বড় হবে
ধন্য তোদের মানব জীবন ইতিহাসে রবে।
আমি যেদিন থাকবোনা এই ধরণীর বুকে
অপ্রিয় এই অভাগারে ভুলে যাবে লোকে।
ভূল করে মোর ক্ষুদ্র স্মৃতি যদি মনে ভাসে
একটুখানি করিস স্মরণ প্রাণে ভালোবেসে।
প্রতিদানে করিস দোয়া কবরে আমার
প্রিয়জনের এই দোয়াটা শেষ উপহার।

ফজলুর রহমান ফজলু ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার মাজবন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হাজি মো. আব্দুন নুর মাতা মরহুমা করিমুন নেছা। ফজলুর রহমান ফজলু পেশায় একজন শিক্ষক ও লেখক। তিনি বাংলা সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি জকিগঞ্জ সাহিত্য সংসদ (জসাস) র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও রাগীব-রাবেয়া রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক। তার প্রকাশিত বই কুহেলিকা (দাখিল বাংলা গাইড), কাব্যগ্রন্থ: রাগীব নগরের সোনার ছেলে, মক্কা মদীনার পথে, সুরে ছন্দে ড. আহমদ আল কবির ও রাগীব আলীর কারাজীবন। গানের সংকলন: সুরের ভূবনে দানবীর ড.রাগীব আলী, গানে গানে ড.আহমদ আল কবির, মাটির পিঞ্জিরা ও শানে এলাহী। প্রবন্ধ সংকলন: কালের দর্পণে রাগীব আলী, রাগীব আলীর মহৎ গুণাবলী ও বাউল দর্শনে বাংলার বাউল। সম্পাদিত গ্রন্থ: ছড়ায় ছড়ায় রাগীব আলী ছড়াগ্রন্থ: ছড়ার ছন্দে রাগীব আলী। সম্পাদিত ম্যাগাজিন: জসাস মুখপত্র সীমানা

তার আত্মজীবনী মুলক গ্রন্থ: আমার জীবন। ফজলুর রহমান ফজলু দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা, গান প্রবন্ধ, ছড়া ও গল্প লিখে আসছেন। এ পর্যন্ত পত্র পত্রিকায় তার প্রকাশিত কবিতা ও গানের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। আমি কবি ফজলুর রহমান ফজলুর কাব্যসাধনার মূল্যায়ণসহ দেশ জাতির কল্যাণে আরো অগ্রণী ভুমিকা পালনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তার পুণ্য সুস্থ দীর্ঘায়ু কামনা করি।

লেখক: কবি কামাল আহমদ ,সিলেট।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১ ডিসেম্বর ২০২০/জুনেদ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন