আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ওসলোর টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে যাচ্ছে বাংলাদেশের ২ শিক্ষার্থী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৯-২৪ ২১:৫০:৩৩

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের বাংলাদেশ রাউন্ড থেকে আইবিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিয়া মো খেইং ও রাকিব রহমান শাওন আগামী ডিসেম্বর মাসে নরওয়ের অসলোতে বৈশ্বিক অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
  
নোবেল পিস সেন্টার (এনপিসি) ও টেলিনর গ্রুপ আয়োজিত ইয়ুথ ফোরাম ১৩টি দেশের ১৮ থেকে ২৮ বছরের তরুণ-তরুণীদের জীবন বদলানো ধারণা উপস্থাপনের সুযোগ দেয়। ফোরামের মূলভাব "শান্তির জন্য ডিজিটালকরণ।"  গ্রামীণফোনের আয়োজনে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে এর চূড়ান্ত নির্বাচনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয় । এ বছর ১৪০০ এর বেশি এই কর্মসূচীতে অংশ নিতে আবেদন করে। চলতি বছরের বিজয়ী ধারণাগুলো হচ্ছে মুক্তি এবং মেক দেম স্ট্রং।

কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত ৭ জন প্রতিযোগী গ্রামীণফোন কর্মকর্তা, বাইরের অতিথিদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক প্যানেলের সামনে তাদের ধারণা উপস্থাপন করে।  এই ৭ জনের মধ্যে থেকে ২জনকে ডিসেম্বর মাসের ৮ থেকে ১১ তারিখে অসলোতে অনুষ্ঠিতব্য চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়। সে সময় অসলোতে নোবেল শান্তি পুরষ্কারও দেয়া হবে।  অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্থানীয় উদ্যোক্তা, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ডিজিটাল ও সোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ।

জিপিহাউজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী  নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি । এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের সিইও এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন বলেন যে, শিক্ষা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের প্ল্যাটফর্ম থেকে শেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আয়োজন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিসেল ব্লেকেন বলেন, "তোমাদের ধারণা এবং উদ্ভাবনগুলো  বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম এবং ডিজিটালাইজেশন ফর পিস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এদের বাস্তবায়ন করতে আমি তোমাদের আহবান জানাচ্ছি।"
 
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি বলেন, ‘আজকে যেসব অসাধারণ ধারণা উপস্থাপিত হয়েছে তা আমাকে উজ্জীবিত করেছে, কারণ এর সবগুলোই বাংলাদেশকে আরো ভালো একটি দেশে পরিণত করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে।’

আজকের বিজয়ীরা বিশ্বের অন্যান্য স্থানের বিজয়ীদের সাথে অসলোতে তিনদিনের সম্মেলনে মিলিত হবে যেখানে তারা মোবাইল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির রূপান্তরের ক্ষমতাকে বোঝার এবং তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। পাশাপাশি, তারা নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ারও সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন চলতি বছরের মে মাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৭-এর সূচনা ঘোষণা করে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থী এবং আগ্রহী প্রতিযোগীদের টেলিনর কিংবা গ্রামীণফোনের ওয়েবপেজ ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ধারণাপত্র জমা দিতে আহবান জানায়।

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের থিম "শান্তির জন্য ডিজিটালাইজেশন" ও এই প্ল্যাটফর্মের তারুন্য কেন্দ্রিক অবস্থান, গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য "সামাজিক ক্ষমতায়ন" এর পরিপূরক।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/প্রেবি/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন