আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
জানি এসব নিয়ে কথা বলে কোনও লাভ নেই। তারপরও সিনিয়র অফিসারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিরক্তি উৎপাটন করার জন্য দুঃখিত।
এখানে পুলিশের চরিত্রকে পজিটিভ না নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করা হবে আমি সেই বিতর্কে যাবনা। আমি শুধু দৃষ্টি আকর্ষণ করব পবিত্র ইউনিফর্ম এর যা ইচ্ছে তাই ব্যবহারের বিষয়টির প্রতি।
একটু খেয়াল করুন নাটকের এই অভিনেত্রীর ইউনিফর্ম এর দিকে।
র্যাংক ব্যাজের সাথে ক্যাপের মিল নেই, বেল্ট পরা হয়েছে উলটো করে,.. পুরো ইউনিফর্ম এর অবস্থা ১২টা বাজিয়ে এক হাস্যরকর অবস্থা তৈরি করে তা অন এয়ারের প্রস্তুতি চলছে।
আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি হাস্যরসের বাকিটা উপভোগ করার জন্য।
দীর্ঘ এই নাটকটির নাম দেওয়া হয়েছে "আকাশে মেঘ নেই" যা বাংলা ভিশনে দেখানো হবে বলে সেই নাটকের এই চরিত্রটি তার ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনীর ইউনিফর্ম এর যাতে অবমাননা না হয় এবং নাটক -সিনেমার মাধ্যমে যাতে পুলিশকে বাজে ভাবে উপস্থাপন না করা হয় তার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স নাটক এবং সিনেমায় পুলিশের চরিত্র উপস্থাপনের আগে অনুমতির জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স হয়তো আমাদের সবার ভালোর জন্যই কাজটি করেছিলেন বাট আমাদের পরিচালকবৃন্দ সেটাকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে শুরু থেকেই বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে আসছেন।
ইউনিফর্মধারী যে কোন পেশার সদস্যের কাছে তার ইউনিফর্মটা খুব পবিত্র এবং সম্মানের পোশাক। আর সেই পবিত্র এবং সম্মানের জায়গায় আঘাতটা লাগে বলেই এগুলো নিয়ে বৃথা কথা বলা।
কথাগুলো এই জন্য বলা, নাটক এবং সিনেমার কাল্পনিক চরিত্রগুলো অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তব পুলিশের সাথে একেবারেই মিল থাকেনা এবং এই নাটক -সিনেমাগুলোও ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে পুলিশ সম্পর্কে নেগেটিভ মেসেজের মাধ্যমে জনগনের মধ্যে রাস্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনীর প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে অনেকটা জেনে শুনেই।
যেখানে পুলিশ একটি জনবান্ধব পুলিশ তৈরির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে, পুলিশ এবং জনগণের দুরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সেখানে বিনোদনের নামে পুলিশেকে অত্যন্ত বাজে ভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে পুলিশ ও জনগনের মধ্যে যে গ্যাপ সেটা বৃদ্ধির জন্য এই নাট্য নির্মাতারা কি কিছুটা হলেও দায়ী নয়!
- সাব ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরানের ফেসবুক থেকে