আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

অনুকরণীয় সংগঠন ‘দে-ছুট’ এর রজতজয়ন্তী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-১০ ১২:০৭:১৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ‘আসুন পাহাড়, বনায়ন রক্ষা করি-ভবিষ্যৎ প্রজম্ম নিরাপদ রাখি। এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে,সম্প্রতি তারুণ্যের উদ্দিপনায় প্রতিষ্ঠিত দেশের ঐতিহ্যবাহী বিসম্ময়কর, অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুকরণীয় ভ্রমণ সংগঠন “দে-ছুট” ভ্রমণ সংঘ’র ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী রাঙ্গামাটি জেলার কপ্তাই উপজেলার পাহাড়,লেকের ধারে প্রশান্তি পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেখতে দেখতে ২৫বছর। মাঝে অনেক গুলো দিন-মাস-বছর পেরিয়ে আজকের পরিপক এই ভ্রমণ সংগঠন “দে-ছুট”।

এই অস্থির সময়েও স্থীর থেকে সম্পূর্ণ অলাভজনক সংগঠন “দে-ছুট” এতটা বছর পার করতে পারায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।এই সংগঠনের মাধ্যমে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের নিকট, ভ্রমণ লেখক মো.জাভেদ হাকিম নিয়মিত ভাবে মিডিয়াতে তুলে ধরেন।

বিকালে শুরু হওয়া পাহাড়ের কুলে নৈসর্গিক পরিবেশে উদযাপিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায়,আগত সদস্যদের শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্ব শেষে দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র প্রধান প্রতিষ্ঠাতা চীফ অর্গানাইজার মো.জাভেদ হাকিম তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ পরিচালক ও সদস্যদের প্রাতি।সভাপতিত্বের বক্তব্যে মো.জাভেদ হাকিম বলেন সেই ১৯৯৩ সালে প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আজকের দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র পথ চলা। এই দীর্ঘ সময় ধরে সংগঠন পরিচালনা ও দেশ-বিদেশের নানান জায়গা ভ্রমণ করতে গিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে।

তিনি বলেন পাহাড়ে ঘুরাঘুরি দিয়ে শুরু হওয়াতে “দে-ছুট” এর বন্ধুদের মনমানসিকতাও পাহাড়ের মতই বিশাল।অনুষ্ঠানটির সার্থক রুপ দেয়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রিন্টিং ও অনলাইন পোর্টাল মিডিয়াতে“দে-ছুট” ভ্রমণ সংঘ’র পরিচিতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেলে ধরার সুযোগ করে দেয়ার জন্য, তিনি বাংলাদেশের শির্ষস্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের বিভাগিয় সম্পাদকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।জাভেদ হাকিম বলেন সৎ ও যোগ্য একনায়কতান্ত্রিকতাই পারে যে কোন পাবলিক গ্রæপের সফলাতা বয়ে আনতে তবে সঙ্গিদের গঠনমূলক মতামতেরও গুরুত্ব থাকা চাই। দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ পরিচালনা করতে গিয়ে শুরু থেকেই সেই সহযোগিতা বন্ধুদের কাছ থেকে পেয়ে আসছি এবং আমিও দিয়ে আসছি। একটি সংগঠন তখনিই চূড়ান্ত সফলতা পাবে যখন সেই সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি স্বার্থের চাইতে সংগঠনের স্বার্থর প্রতি গুরুত্ব দিবেন।

 দে-ছুট এ নানান সময় নানান শ্রেণী-পেশার ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভ্রমণের সুযোগ পেয়ে আসছেন।দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ একটি সু-শৃঙ্খল স্বেচ্ছাসেবক ভ্রমণ সংগঠন।যার অর্থায়ন নিজেদের মধ্য থেকেই সংগ্রহীত। দে-ছুটের বন্ধুরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমনের পাশাপাশি দুস্থদের ত্রাণ দেয়া সহ নানারকম সমাজসেবা মূলক কার্যক্রমেও অংশ নিয়ে থাকেন।সংগঠনের বন্ধুরা ভ্রমণ সূচীতে পাহাড়,বন,জঙ্গল,ঝিরি পথ এরকম জায়গা গুলোকেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। চীফ অর্গানাইজার বলেন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ কাউকে হারানোর ভয়ে ভিতু নয় সুতরাং কোন প্রকার অনিয়ম প্রশ্রয় দেয়ারও সুযোগ নেই। পরিশেষে তিনি গর্বের সাথে বলেন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’ই বাংলাদেশের একমাত্র ভ্রমণ সংগঠন, যে সংগঠনের সাথে ভ্রমণ কিংবা সদস্য হতে হলে পুরো পরিচয় জানাতে হয়।

বক্তব্য শেষে মো.জাভেদ হাকিম সংগঠনের প্রিয়মুখদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ মে ২০১৮/প্রেবি/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন