আজ শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ ইং

আমি ছিলাম বাবার হৃদপিন্ড, বাবা ছিলেন আমার বটবৃক্ষ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-১৭ ১৩:২০:২০

হিল্লোল পুরকায়স্থ :: আজ ১৭ জুন রবিবার বিশ্ব বাবা দিবস। ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় প্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয়। আবার সনোরা স্মার্ট ডড নামে ওয়াশিংটনের এক নারীর মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। এই দিনটি বিশ্বের ৫২টি দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হয়ে থাকে। আমার কাছে এই দিবসটির মর্যাদা শুধু এই দিনে নয় বছরের প্রতিদিনই বাবা দিবস।

বাবা সম্পর্কে কি বলব, আজ বাবা বেঁচে নেই শুধু এইটুকু জানি যখন বাবা ছিলেন আমি ছিলাম বাবার হৃদপিন্ড, আমাকে ছাড়া বাবার হৃদপিন্ড যেন অচল হয়ে যেত। সারাদিন কর্ম ব্যস্তময় দিন কাটিয়ে এসে বাবা আমার খোঁজ করতেন, আমাকে না দেখলে যেন পাগল হয়ে উঠতেন। বাবার সবকিছু ছিল যেন আমাকে ঘিরে। আমার যতসব আবদার ছিল সবই সামর্থ অনুযায়ী পূরণ করতেন। বাবা সারা দিনটাই যেন আমাকে উদ্দেশ্য রেখে ব্যায় করতেন।

বাবা সব কিছুই করতেন আমার জন্য। সারাদিন কর্মব্যস্ততা, জীবনের নানা জটিলতা সবকিছু যেন আমার মুখের একটু হাসি দেখার জন্য মোকাবিলা করতেন। বাবা পৃথিবীতে সবচেয়ে যেটি বেশি ভালবাসতেন সেটি ছিলাম আমি।

বাবা বেঁচে থাকতে কখনও বাবার শূন্যতা বোঝা হয়নি। আজ বাবা নেই বাবার শূণ্যতা আজ হৃদয়ে প্রতিটা মুহূর্তে শিহরণের চিন চিন ব্যাথার আঘাত করছে। আজ বুঝতে পেরেছি ধন-সম্পদ না থাকলে মানুষ যতটা না অসহায়, তাঁর চেয়ে বেশি অসহায় বাবা-মা না থাকলে। বাবা ছিলেন আমার কাছে বটবৃক্ষ। সবসময় আমাকে ছাঁয়া দিয়ে রেখেছেন। যতদিন বাবা আমার জীবনে ছিলেন কোন কিছু যেন আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। কোন ঝামেলাকে কখনও বাবা আমার ধারে কাছে ভিড়তে দেননি। বাবার কল্যাণে এই পৃথিবীর রূপ, রং ও আলোর দর্শন। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন।

আসলে পৃথিবীতে মা-বাবা ছাড়া কোনো আপনজন নেই। আমার বাবা আমায় যতটা ভালোবাসতেন, এ ভালোবাসা কেউ কোনোদিন দিতে পারবে না। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একজনের শূণ্যতা অন্য আরেকজন মানুষকে দিয়ে পূর্ণতা অর্জন করা অসম্ভব।

কিন্তু, বাবা তো বাবাই। বাবা না থাকলে জীবনে যে শূন্যতা থেকে যাবে, সেটা সারাজীবনই থাকবে। ঐ শূণ্যতা পূরণ কখনই সম্ভব নয়।

দুই অক্ষরের এই একটি শব্দের মাঝেই লুকিয়ে আছে সন্তানের জন্য স্নেহ-ভালোবাসা, নিরাপত্তা, আরো অনেক কিছু। বাবা শব্দটি ছোট হলেও এর ব্যাপকতা অনেক। আমার জীবনে তো বটেই।

লেখক : দিরাই প্রতিনিধি, সিলেটভিউ২৪ডটকম।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন