আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ক্ষুধা কমায় যেসব খাবার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১০-০৭ ০০:২২:৩০

ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ চিন্তিত থাকেন। এসব করতে গিয়ে কেউ কেউ ডায়েট এবং ব্যায়াম করেন।

আবার অনেকে না খেয়ে অসুস্থই হয়ে পড়েন। কিন্তু এত কিছুর পরও ওজন কমে না। অথচ একটু সচেতন হলেই কিন্তু আমরা নিয়ম মতো খাওয়াদাওয়া করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। অবাক হলেও সত্য যে, কিছু খাবার খেয়ে আপনি ওজন কমাতে পারেন সহজেই।

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই ক্ষুধা কমায় এমন কিছু খাবার সম্পর্কে। 

১. কাঠবাদাম
কাঠবাদামে ভালো ফ্যাট এবং প্রোটিন রয়েছে যা দেহকে নানা রোগের হাত থেকে বাঁচায়। মাত্র আধা কাপ কাঠবাদামে রয়েছে ৯ গ্রাম ফাইবার। তাই ক্ষুধা লাগলে একমুঠো কাঠবাদামই খেয়ে নিন। এতে শুধু ক্ষুধাই কম লাগবে না, আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

২. গাজর
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, বেটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন রয়েছে। এটি অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আপনাকে দূরে রাখার পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কাজেই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারটি রাখার চেষ্টা করুন।

৩. আপেল
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। একটি মাঝারি আকারের আপেলে ৪.৪ গ্রাম ফাইবার রয়েছে; যা অনেকটা সময় ধরে পেট ভরা রাখবে। ফলে ক্ষুধাও কম লাগবে। এতে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এতে আরও নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

৪. ওটমিল
শক্তিবর্ধক খাবার হিসেবে পরিচিত হলো ওটমিল। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাকতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটমিল খেলে তা সারা দিন শরীরে এনার্জি ধরে রাখে। আবার ক্ষুধাও অনুভূত হয় না। এছাড়া দেহে খারাপ কলেস্টোরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে ওটমিল।

৫. পেয়ারা
একটি মাঝারি আকারের পেয়ারাতে প্রায় ৫.৫ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এই খাবারটিও আপনাকে দীর্ঘ সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

৬. ডাল
স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মধ্যে ডাল অন্যতম। মাত্র আধা কাপ ডালে ৮ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এই খাবারটিও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ক্ষুধার উদ্রেক করে না, আবার পেটও ভর্তি রাখে।

৭. ব্রোকলি
মাত্র এক কাপ সেদ্ধ ব্রোকলিতে পাঁচ গ্রাম ফাইবার রয়েছে, যা অনেকটা সময় আপনাকে নানা ধরনের ফাস্টফুড থেকে বিরত রাখবে। ফলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন