আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক, আইন-শৃঙ্খলা সভা পণ্ড

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-১২ ১৯:০৪:৫৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইন-শৃঙ্খলা সভা পণ্ড হয়ে গেছে।

উভয়পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিআরশেল নিক্ষেপ করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিষদের অফিস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সভায় উপস্থিত হওয়ার পূর্বে তার অনুসারী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষের সমর্থকরা জড়ো হতে শুরু করেন।

এমপি উপজেলা পরিষদের উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা পাল্টা হামলা শুরু হয়। আধা ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এসময় উপজেলা পরিষদের আইন-শৃঙ্খলা সভা শুরু হলে এরই মধ্যে উভয় গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

সংঘর্ষে পুলিশের এসআই নাজমুল হোসেন ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম রিপন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন মনির, ছাত্রলীগ নেতা জয়, হাবিব, কাশেম, রিয়াদ, হাসান, সাহেদ সুজন, নাছির কাইয়ুম এবং এমপির অনুসারী পুতুল সরকার, আলাউদ্দিন, আলআমিন, রায়হান, মোহন মিজি, সৈকত, মিঠুন, নুর আলআমিন, সাগরসহ অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এক পর্যায়ে ৬ রাউন্ড টিআরশেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইউএনও সভা স্থগিত করে দেন।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রকিব জানান, উভয়পক্ষ শান্ত করতে পুলিশ প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ ৬ রাউন্ড টিআরশেল নিক্ষেপ করে। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও ডিবি পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির কারণে মাসিক সমন্বয় ও আইন-শৃঙ্খলা সভা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, মাসিক সমন্বয় সভা ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য না এমন লোক এবং মাদক কারবারি পরিষদে উপস্থিত হওয়ায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান জানান, আমি আইন-শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভার নিমন্ত্রণ পেয়ে উপস্থিত হওয়ার পর উদ্দেশ্যমূলক ভাবে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। ইউএনওর কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমার সঙ্গে রুঢ় আচরণ করেছেন। তার অনুমতি নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসার জন্য বলেছেন তিনি।

সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ ডিসেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন