আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জে নৌকার বিপক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগে লাঞ্চিত আ.লীগ সভাপতি!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৬ ২০:৪৫:১৩

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নিজ দলের প্রার্থীর বিপক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগে নৌকা প্রতীক সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বড় ভাই মোসাদ্দেক আহমদ। একই বিষয়ে আ’লীগ সভাপতির পক্ষালম্বন করার অভিযোগে অপদস্থ হয়েছেন এক সাংবাদিকও। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ৯টায় পৌরসভার নগর এলাকায় কাউন্সিলর আফজাল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পৌর কাউন্সিলরের আফজালের বাড়িতে লাঞ্চিত করে আটকে রাখার খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতিকে উদ্ধার করেন। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ নেতাকে বিনা কারণে লাঞ্চিত করা হয়েছে এমন মন্তব্য করায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা উপজেলা চৌমুহনায় দৈনিক সংবাদ প্রত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি শাহীন আহমদকেও অপদস্থ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমতিয়াজ আহমদের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাদ্দেক আহমদ শুক্রবার রাতে নগর এলাকায় পৌর কাউন্সিলর আফজাল মিয়ার বাড়িতে যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছোট ভাই ইমাতয়াজ আহমদের পক্ষে ভোট আদায়ে টাকা নিয়ে রাতে আ’লীগ সভাপতি মোসাদ্দেক আহমেদ কমিশনারের বাড়িতে গিয়েছেন এমন অভিযোগ তোলে নৌকার সমর্থকরা সেখানে গিয়ে তাকে লাঞ্চিত করেন।

ঘটনা সম্পর্কে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী রফিকুর রহমান বলেন, দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ছোট ভাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে নৌকার বিরুদ্ধে ব্যস্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোসাদ্দেক আহমদ। এমনকি তারা গত ২ দিন ধরে ভোটারদের টাকা বিতরণের চেষ্টা করছেন। এ খবরেই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কাউন্সিলর আফজালের বাড়িতে নেতাকর্মীরা গেলে বাকবিতন্ডা হয়, তবে লাঞ্চিত করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, সংবাদকর্মী হয়ে প্রকাশ্যে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা ও গণসংযোগে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সাংবাদিক শাহীন, এছাড়া আর কিছু নয়।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোসাদ্দেক আহমদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাদ্দেক আহমদের ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমদ জানান, তার বড় ভাই সামাজিক সম্পর্কের কারণে কাউন্সিলর আফজালের বাড়িতে যান, তার উপর আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। পরিকল্পিততভাবে তার ভাইকে অপদস্থ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার অধিকার সবার রয়েছে, তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না অধ্যাপক রফিকুর রহমান। আর তাই তার ইন্ধনেই নেতাকর্মীরা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, গুজবের উপর আ’লীগ সভাপতিকে কিছু লোক অপদস্থ করেছে। একইভাবে এক সাংবাদিক অপদস্থ হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত জানিয়ে ওসি বলেন, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন সতর্কতার সাথে সবকিছু নজরদারিতে করছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ মার্চ ২০১৯/জেএ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন