আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জে ধ্বসে পড়লো বিদ্যালয় কক্ষের ছাদের পলেস্তার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-১২ ২০:৪৯:১৪

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জীর্ণ ভবনের ছাদের একাংশে পলেস্তার ধ্বসে পড়েছে। তবে দুর্গাপুজায় স্কুল বন্ধ থাকায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে ভবনের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে পড়ায় নির্বাচনী পরীক্ষাসহ পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান নিয়ে বিপাকে শিক্ষকরা।

জানা যায়, উপজেলার চা বাগানে মাধবপুর ইউনিয়নের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৪-৯৫ অর্থ বছরে এ দোতলা ভবন নির্মিত হয়। ভবনটির নিচ তলায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি কক্ষে পাঠদান ও অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠার পরও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভবনের কক্ষ সমুহ ব্যবহার করছেন। তবে দূর্গাপুজা উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পুজার বন্ধের সময় বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারের ভারী অংশ ধ্বসে পড়ে। পলেস্তার বড় বড় ইটের টুকরো চেয়ার-টেবিল ও ফ্লোরে পড়ে আছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অফিস কক্ষের তালা খুলে গিয়ে অফিস কক্ষের ছাদ ধসে পড়ার দৃশ্য দেখতে পান। একইসাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের দুটি কক্ষ খুললে একই দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনায় তৎক্ষণাৎ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন তিনি।

উক্ত বিদ্যালয়টি মাধবপুর ইউনিয়নের একমাত্র পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র। তাছাড়া সোমবার থেকে এসএসসি শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষাও রয়েছে। তবে ভবনের তিনটি কক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ ও ছাদের পলেস্তার ধ্বসে পড়ায় বিপাকে আছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ।
 
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ মৌলভীবাজার এর সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম জানান, ভবনটি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে দুইমাস আগে জেলা শিক্ষা প্রকৌশলীকে জানালে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। 

এ ব্যাপারে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, আল্লাহ'র অশেষ মেহেরবানীতে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। ধসে পড়া ভবনে ১শত ৫০জন শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়েছিল। ছাদ ধ্বসে পড়ায় অফিস করা ও পরীক্ষা গ্রহণে চিন্তিত্ব রয়েছি।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বিদ্যালয় ভবনের কক্ষের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে পড়ার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান। 

সিলেটভিউ২৪ডটকম / ১২ অক্টোবর ২০১৯/ এমজেএ/ এসএইচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন