আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মৌলভীবাজারে আকাশপথে দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দেলোয়ারের রেসিং কবুতর

৬৫ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দেয় ৫৫টি কবুতর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-২২ ১৯:৪২:২৭



নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারে সৌখিন পালকের ৫৫টি কবুতরের অংশগ্রহণে কবুতর দৌঁড় প্রতিযোগিতা চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্টিত হয়েছে। গত শনিবার মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় শুরু হওয়া ওই প্রতিযোগিতাটি শেষ হয় রবিবার (২২ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।

বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের আয়োজনে কবুতরের এ আকাশপথ পাড়ি প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ছয়টি রেসিং কবুতর প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে ৬৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে নিজ গৃহে ফিরেছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা।

চূড়ান্ত পর্বে কামরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মাসুম আহমদ, আব্দুল আহাদ, ইউনুস আহমেদ, মোনায়েম খান মুন্না এই সাতজনের মালিকানাধিন কবুতর অংশ নেয়। নয়টি পর্বের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা। এতে বিজয়ী হয়েছে দেলোয়ার হোসেন মালিকানাধিন রেসিং কবুতর।

প্রতিযোগিতার বিচারক মো. বদরুল ইসলাম জানান, সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বিচারকরা গোপন কোড বাঁধার কবুতরগুলোর খাঁচা খুলে দেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর দেলোয়ার হোসেনের ৬টি কবুতর তার বাড়িতে পৌঁছায়।

আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, শনিবার বড়লেখা থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিভিন্ন রাউন্ড শেষে ফাইনাল হয় রবিবার শ্রীমঙ্গলে। প্রতিযোগিতা শেষে বিচারকরা বড়লেখা থেকে বাক্সবন্দি করে কবুতরগুলোকে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসেন। প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূর থেকে শ্রীমঙ্গলে বাক্স বন্দি এসব কবুতর ছেড়ে দেওয়া হয় মুক্ত আকাশে। এসময় কবুতরগুলো বড়লেখার উদ্দেশ্যে উড়তে থাকে।  কবুতরগুলো কেউ দল বেধে ও আবার কেউ দলের বাহিরে বিচ্ছিন্ন ভাবে রওয়ানা দেয়। সেখানে পৌঁছানো মাত্র কবুতরের পায়ে বাধা গোপন নম্বর বিচারকদের জানাতে শুরু করেন প্রতিযোগী কবুতরের মালিক। আকাশপথে ৬৫ কিলোমিটার হলেও সড়ক পথে এই দূরুত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন বড়লেখা পিজিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা মো. বদরুল ইসলাম, সভাপতি মো. জাবেদ আহমদ, উপদেষ্টা জাকির মোহাম্মদ।

চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ সবুজ, সাংগঠনিক আজহারুল ইসলাম অনিক প্রমুখ। এরআগে গত শনিবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও ইউএনও আশেকুল হক ও অন্যান্যরা।

বড়লেখা পিজিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা ও এই প্রতিযোগিতার বিচারক মো. বদরুল ইসলাম জানান, তরুণ ও যুবকরা যেন মাদক থেকে দূরে থাকে একথা মাথায় রেখে এই জন্যই এই প্রতিযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের এই প্রতিযোগিতা থেকে তরুণ ও যুবকরা কবুতর পালনে উৎসাহিত হবে বলে মনে করছি। এতে তরুণ উদ্যোক্তারা কবুতর লালন-পালন করে সেগুলো বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হতে পারেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ডিসেম্বর২০১৯/শাদিআচৌ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন