আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
দেশি মুরগির উৎপাদন কম হওয়ায় বর্তমানে ফার্মের মুরগি আমাদের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে বেশি। তবে সাধারণভাবে পালন করা মুরগির চাইতে ফার্মে বড় করা মুরগির মাংসে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটে এ বিষয়ের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বলা হয়, মুরগির মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় খামারীরা উৎপাদন বাড়াতে সম্ভাব্য সকল উপায় অবলম্বন করছেন। কৃত্রিম এই উপায়গুলো বয়ে আনছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
মুরগির মাংসের গুণগত মান বোঝার জন্য, তা কেমন পরিবেশে প্রতিপালিত হয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। এই ধারণা পাওয়ার একটি উপসর্গ হলো বুকের মাংসে সাদা রেখা দাগ।
মুরগির স্বাভাবিক বৃদ্ধির গতি কৃত্রিম উপায়ে দ্রুত করা হলে এই দাগ দেখা দেয়।
এ থেকে আরও বোঝা যায় যে ওই মুরগির পেশিজনিত সমস্যা ছিল, যার নাম ‘হোয়াইট স্ট্রাইপিং’। এই ধরনের মুরগির মাংসের গুণগত মান কমে। চর্বিজাতীয় উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে ২২৪ শতাংশ পর্যন্ত।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল চিকেন কাউন্সিলের জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে একটি মুরগি গড়ে ৬ পাউন্ড ওজন নিয়ে বাজারে আসছে জন্মের ৪৭ দিনের মধ্যেই। পঞ্চাশের দশকে এর অর্ধেক ওজনে পৌঁছাতেই সময় লাগত প্রায় ৭০ দিন।
২৮৫টি মুরগির উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা যায় ৯৬ শতাংশ মুরগির বুকের মাংসে আছে ওই সাদা দাগ এবং মাংসও শক্ত।
তাই চর্বিহীন মনে করে ফার্মের মুরগির মাংস বেশি খেলে বেড়ে যেতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি।