আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

৮০ শতাংশ তৃণমূল নেতা চায় জামায়াত মুক্ত জোট

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-১৭ ১৫:১৩:২৭

নিউজ ডেস্ক: গত ১১ এবং ১৩ আগস্ট দুই দফায় ম্যারাথন বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এতে জোটের শরিক দল জামায়াতকে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতা। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি সিনিয়র নেতারা। জানা গেছে, তৃণমূলের শতকরা ৮০ ভাগ নেতাই জামায়াতকে জোট থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দিয়েছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নিজেরা বৈঠক করার আগে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির হাইকমান্ড। এতে আগামী নির্বাচন, আন্দোলন, চেয়ারপারসনের মুক্তির পাশাপাশি জোটসঙ্গী জামায়াতকে ছেড়ে দিতেও পরামর্শ দেয় তৃণমূল। বিশেষ করে সিলেটে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র পদে জামায়াত প্রার্থী দেয়ায় মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ক্ষোভ ছিলো বেশি।

ওই বৈঠকে বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জামায়াতের প্রার্থী থাকার পরও বিএনপির মেয়র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় ভোটের রাজনীতিতে জামায়াত বিএনপির জন্য কোনও সমস্যা নয়। ফলে আগামী নির্বাচনের আগে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডাক দেওয়া ‘জাতীয় ঐক্য’ করতে জোট থেকে জামায়তকে বাদ দেওয়া দরকার।

বিএনপির জামায়াত ছাড়ার আলোচনা অবশ্য এখনই প্রথম নয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হারার পর জামায়াতের কারণে ভরাডুবি হয়েছে- এই মত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে জানায় বিএনপির তৃণমূলের নেতারা।

সে সময় জাতীয় নির্বাচনে হারের কারণ জানতে কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু কমিটি গঠন করে তৃণমূলের মতামত জানে দলটি। আর গঠন করা ১০টি কমিটির মধ্যে বেশিরভাগই জামায়াত ছাড়ার পরামর্শ দেয়। তবে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব সুপারিশ গ্রাহ্য করেননি। আবার ২০১৪ সালের নির্বাচনের ঠেকাতে আন্দোলন আর মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের ফাঁসির রায়ের পর নজিরবিহীন সহিংসতার পর বিদেশি একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘সময় মতো জামায়াত ছাড়ার সিদ্ধান্ত’ নেয়ার কথা জানান। তবে তিনি আর এ বিষয়ে পরে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুরনো দাবি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় বিশ্লেষকরা বলছেন, কালক্ষেপণ না করে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। নইলে তৃণমূলের ক্ষোভের মুখে পড়তে পারে দলটি।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন