আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন বিষয়টি আমি দেখব’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-০৯ ১৯:৪১:০০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি করতে কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে নালিশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।  বিষয়টি শুনে প্রধান বিচারপতি তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘মাসদার হোসেন মামলার আলোকে আমার ক্ষমতা অনুযায়ী বিষয়টি আমি দেখব।’

আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় দেখা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

আইনজীবী প্রতিনিধিদলে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করেছি, সংবিধানের অভিভাবক হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্টের অভিভাবক হচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। সুতরাং কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে গেজেট নোটিফিকেশন ১৯ (বি) চ্যাপ্টার ১ সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ হাইকোর্ট রুলস ১৯৭৩ অনুসারে এইটা সুপ্রিম কোর্টের পাওয়ার। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা না করে এই ধরনের কোর্ট স্থাপন করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে না। এই কথাগুলো আমরা বলেছি। এও বলেছি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, আপনি এই জুডিশিয়ারির অভিভাবক। আমরা মনে করি, আপনার সুপ্রিমেসি এবং সুপ্রিম কোর্টের সুপ্রিমেসি অবশ্যই থাকতে হবে। আপনার সঙ্গে আলোচনা না করে রাতের অন্ধকারে এই ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি বিচার বিভাগের জন্য খুবই দুঃখজনক। কোনো বিচারালয় এভাবে স্থানান্তর করতে পারে না।’

জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি রাতের অন্ধকারে এই রকম একটি আদালত গেজেট করার জন্য আপনি অনুমতি দেন নাই। প্রত্যেকটি পয়েন্ট অনুযায়ী আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে বলতে সক্ষম হয়েছি। প্রধান বিচারপতি ধৈর্যের সঙ্গে সেটি শুনেছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রধান বিচারপতি আমাদের বিষয়টি যেভাবে শুনেছেন তিনিও চান বিচার বিভাগের সুপ্রিমেসি থাকবে এবং প্রধান বিচারপতি আমাদের এটা গ্রহণ করেছেন। আমরা আশাবাদী। তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’

এর জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমি এটা দেখব।’ তিনি বলেছেন, আমার ক্ষমতাবলে, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে এবং ১৯ বি অনুযায়ী আমার যেটুকু ক্ষমতা আছে সে অনুযায়ী আমি বিষয়টি বিবেচনা করব।’ আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা প্রধান বিচারপতি ধৈর্য সহকারে আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। তিনি তাঁর ক্ষমতাবলে এ বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন