আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মৌলভীবাজার-১ আসনে কার হাতে যাচ্ছে ধানের শীষ ?

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-২০ ২২:২৯:১০

এ.জে লাভলু, বড়লেখা :: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের ১৩জন। এতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি। তবে শেষ পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ মো. শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোটের মাঠে কে লড়ছেন, তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।

অবশ্য, ঘুরে-ফিরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী এবাদুর  রহমান চৌধুরী,  মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু ও কাতার বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল হক সাজুর নাম আলোচনায় এলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন কে পাচ্ছেন, তা জানতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।

এ আসন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী এবাদুর  রহমান চৌধুরী, কাতার বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন মিঠু,  বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ ও সহসভাপতি আমেরিকা প্রবাসী দারাদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খসরু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌরমেয়র প্রভাষক ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাসনা, বড়লেখা পৌর বিএনপির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আইনুল হক মিনু ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আসকর, কাতার প্রবাসী বিএনপি নেতা লোকমান আহমদ।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রায় সকলেই জানিয়েছেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য দল যাকে যোগ্য মনে করে দলীয় মনোনয়ন দেবে তারা তার পক্ষে কাজ করবেন।

বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দলের দুঃসময়ে যিনি দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, পাশে থেকেছেন, দলকে সুসংগঠতি করতে কাজ করেছেন, এমন কোনো ত্যাগী নেতাকে দল মনোনয়ন দিলে তারা তার পক্ষে কাজ করে যাবেন। এক্ষেত্রে তারা নতুন কাউকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এই আসনে আমি ৭ বার নির্বাচন করে ৪ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। মানুষের এখনো তা মনে আছে, ভোলেনি। আমি শতভাগ আশাবাদী, দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।’ দলের স্বার্থে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আপনি তার পক্ষে কাজ করবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কাজ করবো।’

কাতার বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল হক সাজু বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করে আসছি। দলকে সুসংগঠিত করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। বিপদে-আপদে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা করি, দল আমাকে আমাকে মূল্যায়ন করবে। আর দল যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়, তবে তার পক্ষে কাজ করে যাবো।’ 

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। তৃণমূলের সবাই চাইছেন, আমি নির্বাচন করি। সেজন্য দলীয় মনোনয়নপত্র জমা করেছি। আশা করি, দল এসব কিছু বিবেবচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেবে।’

বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান খছরু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাদের দল দশ বছর ক্ষমতার বাইরে। কর্মীরা মামলা-হামলায় জর্জরিত। এরপরও দল সাংগঠনিক দিক থেকে ঐক্যবদ্ধ, মজবুত ও গোছানো আছে। নির্বাচন করতে এ আসনে অনেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। আমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি দলের জন্য কাজ করে যাবো। কিংবা দলের দু:সময়ে যিনি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছেন, এমন কাউকে কেন্দ্র মনোনয়ন দেয়, তবে আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।’

প্রসঙ্গত, দুটি উপজেলা, একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসন। এ আসনের দুই উপজেলা মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৪ জন। সারা দেশে মতো এ আসনেও বেশ জোরে-শোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। 

সিলেটভিউ/২০ নভেম্বর ২০১৮/এজেএল/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন