আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গ্রেফতার বোমা মিজান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-০৯ ২০:১৭:৫০

অবশেষে ধরা পড়লেন নিষিদ্ধ জেএমবির শীর্ষ নেতা জাহিদুল ইসলাম সুমন ওরফে জঙ্গি মিজান। তিনি বোমারু মিজান নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি এতো দিন পালিয়ে ছিলেন ভারতে। বোমা মিজান প্রথমে ভারতের কলকাতায় পলাতক ছিলেন। এরপর তাকে  ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এলাকার কাছাকাছি রমন নাগরার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বোমারু মিজানকে গ্রেফতার করে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। ২০১৪ সালের পর থেকে কুখ্যাত বোমা মিজান ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেছেন এবং দুর্ঘটনার মূলহোতাও তিনি । ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের মূল হোতা এই বোমারু মিজান। বোমারু মিজানকে গ্রেফতারের সময় তার ডেরায় বেশ কয়েকটি উন্নত মানের ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া যায় এবং সেই সাথে পাওয়া যায় বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। এই বোমা মিজান অন্যান্য জেএমবি সদস্যের তুলনামূলক অনেক কম সময়ে বোমা তৈরী করতে পারত। এজন্য বেশির ভাগ বোমা এই কুখ্যাত মিজানের হাতে তৈরি হত।

মিজানের বোমারু মিজান নামে পরিচিত থাকলেও ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে তার নাম ‘কাওসার’। ২০১৪ সালে এই বোমা মিজানকে পুলিশ গ্রেফতারের পর প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় বোমা মেরে ও গুলি করে আরো দুই জঙ্গির সঙ্গে বোমারু মিজানকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।  বাকি দুইজন জঙ্গি ছিল জঙ্গি সানি ওরফে সালাউদ্দিন সালেহীন ও রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ। যদিও হাফেজ মাহমুদকে ওই দিন রাতে টাঙ্গাইলে সাধারণ জনতার সাহায্যে ফের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন পুলিশ এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। অন্যদিকে বোমারু মিজান ও সালেহীনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা এরপর থেকে ভারতে আত্মগোপনে ছিল। অবশেষে গ্রেফতার হয় সেই কুখ্যাত আসামি।

বোমা মিজান গ্রেফতার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারেক। কারণ জঙ্গির মদদদাতা ছিলেন এই তারেক। বোমা মিজান গ্রেফতার হওয়ায় তারেকের অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে এজন্যই অনেকটা কোনঠাসা হয়ে আছেন তারেক। জঙ্গি সংগঠন পরিচালনার জন্য তারেক অর্থের

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন