আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ ইং

এরশাদের কবরের পাশে জায়গা রাখার অনুরোধ রওশনের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১৬ ১৬:৫১:২১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের আবেগ, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতাবোধকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরেই দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ এমপি। একইসঙ্গে প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কবরের পাশে নিজের কবরের জায়গা রাখতেও অনুরোধ জানিয়েছেন রওশন।

মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী খন্দকার দেলোয়ার জালালী সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে রওশন এরশাদ এমপি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি রংপুরের গণমানুষের ভালোবাসা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। তাদের আবেগ ও অনুরাগেই রংপুরে পল্লীবন্ধুকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু এরশাদ রংপুর-৩ (সদর) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি এ আসন থেকে টানা ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রংপুরকে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বিবেচনা করা হয়। এরশাদ জেলে থেকেও এখান থেকে ভোট করে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।

পল্লীবন্ধুকে নিয়ে রংপুরের মানুষের এক ধরনের আবেগ কাজ করে। সেই আবেগ থেকেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখানকার নেতাকর্মীরা পল্লী নিবাসে এরশাদের জন্য কবর খুঁড়ে রাখেন। তারা এরশাদকে রংপুরেই সমাহিত করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।

মঙ্গলবার বেলা ২টা ২৯ মিনিটে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় এরশাদের জানাজা।

রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পল্লী নিবাসে। এরশাদের কফিনবাহী গাড়িতে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।

এরশাদের জানাজায় ইমামতি করেন রংপুর করিমিয়া নুরুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহম্মদ ইদ্রিস আলী। জানাজা শুরু হয় দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে। শেষ হয় ২টা ২৯ মিনিটে।

জানাজা শেষে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এরশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

জানাজার আগে এরশাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়ে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ।

রংপুরের মেয়র পল্লীবন্ধুকে রংপুরে পল্লী নিবাসে খোঁড়া কবরে সমাহিত করার ঘোষণা দেন। তখন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান। এর পরই লাশবাহী গাড়ি পল্লী নিবাসের উদ্দেশে রওনা হয়।


সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১৬ জুলাই ২০১৯/গআচ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন