আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সমন্বিত কার্যক্রমে যুক্ত হল আইইডিসিআর

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৪-০৪ ১০:৫৫:০৭

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সমন্বিত কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট-আইইডিসিআর। এতে করোনা মোকাবেলায় ‘ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট’ বাস্তবায়িত হল। বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে অধিদফতরের অধীন এই প্রতিষ্ঠান সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের বাইরে থেকে কাজ করছিল।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইইডিসিআর প্রত্যক্ষভাবে সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের বাইরে থাকায় এতদিন কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালকের কক্ষে সভা হয়।

এতে অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ চিকিৎসক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আলোচনায় উঠে আসে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে আইইডিসিআর আলাদাভাবে চললে অধিদফতরের কাজের গতি কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের স্বার্থেই এখন একসঙ্গে কাজ করাটা জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই আইইডিসিআর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদফতরের এক পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, এখন থেকে আইইডিসিআরের ভাইরোলজি ল্যাবের দায়িত্ব পালন করবেন ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ ড. তহমিনা। অন্যদিকে সারা দেশের করোনা সংক্রান্ত রোগতাত্ত্বিক বিষয় নিয়ে কাজ করবেন অধ্যাপক ফ্লোরা। প্রয়োজনে তিনি দেশের বিভিন্ন করোনা প্রাদুর্ভাব অঞ্চল পরিদর্শন করে করণীয় নির্ধারণ করবেন। এতে সামগ্রিক কাজের গতি আরও বাড়বে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অধিদফতরের সব উইং নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এটি একটি ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট। যেখানে এক ছাতার নিচে বসে সবাই কাজ করবে। তাহলে কজের গতি বাড়বে। দেশে যে পিসিআর ল্যাবগুলো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, সেগুলো এখন থেকে শুধু পরীক্ষা করবে। আর একজন এপিডেমিওলজিস্ট (রোগতত্ত্ববিদ) হিসেবে অধ্যাপক ফ্লোরা রোগতাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন। তবে সারা দেশ থেকে সব ল্যাবের তথ্য তার কাছে আসবে। তিনি সেগুলো প্রস্তুত করে অধিদফতরের পরিচালককে (রোগনিয়ন্ত্রণ) পাঠাবেন। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের মৃদু সংক্রমণ শুরু হলেও আইইডিসিআরের পক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে বেশি করে পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পিসিআর (পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়।

ইতোমধ্যে আইইডিসিআরের পাশাপাশি ঢাকায় আরও ৯টি এবং ঢাকার বাইরে ৫টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বায়োসেফটিহুড বসানো হয়েছে। এরই ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ৪০টিরও বেশি জেলায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামীতে বাকি জেলাগুলোও এতে অন্তর্ভুক্ত হবে।

সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৪ এপ্রিল ২০২০/মিআচৌ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন